মালদা, 3 ডিসেম্বর: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর, টাকাপয়সা দাবি করা অভ্যাসে পরিণত করেছিল স্বামী ৷ শুধু মারধরই নয়, শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টাও করত সে ৷ গত বুধবার রাতে অত্যাচার চরমে ওঠে ৷ সহ্য করতে না-পেরে দুই বাচ্চাকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন স্ত্রী ৷ সবার সঙ্গে আলোচনা করে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে পুলিশ ছেড়েও দেয় ৷ এরপরেই মাঝরাতে শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে স্ত্রী-সন্তান সহ বাড়ির সবাইকে পুড়িয়ে খুন করার চেষ্টা করে কীর্তিমান জামাই ৷
সৌভাগ্যবশত হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ তবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ওই বাড়ির দু'টি ঘর ৷ ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছে কীর্তিমান ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ব্লকে ৷ এই ঘটনায় মানিকচক থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ বাপের বাড়ি মানিকচক এলাকায় ৷ 11 বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয় ৷ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাঁদের ৷
স্ত্রী বলেন, "স্বামী প্রচণ্ড নেশা করে ৷ সবসময় নেশার কাফ সিরাপ, ট্যাবলেট খায় ৷ নেশা করে আমাকে কারণে অকারণে মারধর করে ৷ বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার চাপ দেয় ৷ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এতদিন ওর অত্যাচার সহ্য করে চুপ ছিলাম ৷ কিন্তু গত বুধবার অত্যাচার মাত্রা ছাড়ায় ৷ আমি ওর কঠোর শাস্তি দাবি করছি ৷"
ভোর রাতে অভিযুক্ত স্বামীকে শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগাতে দেখে ফেলেছিলেন গ্রামেরই এক বধূ ৷ ক্যামেরার সামনে তিনি মুখ খুলতে না-চাইলেও তিনি জানান, আগুন দেখে তিনি চিৎকার করে ওঠেন ৷ তখনই দেখেন, তাঁর চিৎকার শুনে সে সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে ৷ এই ঘটনায় মানিকচক থানার পুলিশের ভূমিকা এখন কাঠগড়ায় ৷ এ প্রসঙ্গে আইসি পার্থসারথি হালদারকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি ৷
আরও পড়ুন: