মালদা, 15 জুন: জেলা পরিষদের একই আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন স্বামী-স্ত্রী। না আলাদা দলের প্রার্থী হয়ে নয়, মনোনয়ন দিলেন একই দলের প্রার্থী হিসেবে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদায়। জেলা পরিষদের 43 নম্বর আসনে মনোনয়ন দাখিল করেলেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার ও তাঁর স্বামী পরিতোষ সরকার। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই দাবি করেন, ওই আসনে পরিতোষবাবুর নাম দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে বুধবার গোপনে প্রার্থীদের ডেকে দলের টিকিট বিলি করেছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি ও মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। 40টি আসনে প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হলেও জেলা পরিষদের 41, 42 ও 43 নম্বর আসনে প্রার্থী কে হচ্ছেন তার কোনও উত্তর দেননি জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, জেলা পরিষদের 43 নম্বর আসনে প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি চন্দনা সরকার ও তাঁর স্বামী পরিতোষ সরকারের মধ্যে রেষারেষি চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও জেলা তৃণমূলের তরফে পরিষ্কার করে জানানো হয়নি ওই আসনে দল কাকে প্রার্থী হিসেবে টিকিট দিয়েছে। তবে ওই আসনে পরিতোষবাবুর নাম দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বামী-স্ত্রী উভয়েই। পরিতোষবাবুর নাম ঘোষণা হওয়ার পরও এদিন তৃণমূলের হয়েই ওই আসনে মনোনয়ন জমা করেছেন বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার ও তাঁর স্বামী পরিতোষ সরকার।
মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চন্দনাদেবী বলেন, "আমি জেলা পরিষদের 43 নম্বর আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা করলাম। ওই আসনে আমার স্বামীর নাম দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। যেহেতু আমার স্বামীর হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাই দলের সঙ্গে কথা বলে আমি মনোনয়ন জমা করেছি। এটা আমাদের স্বামী-স্ত্রীর বিষয়। আমরা বিষয়টি মিটিয়ে নেব। আমি বিধায়ক হয়েও জেলা পরিষদের আসনে লড়ছি এটা তেমন কোনও বিষয় না। পশ্চিমবঙ্গে অনেক বিধায়ক আছেন, যারা টিকিট পেয়েছেন। এটা দলের বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। দল যা বলবে তা মেনে নেব। আমি দলের কথাতেই মনোনয়ন দাখিল করেছি।"
আরও পড়ুন: স্বামীর বাঁধা গানই জয়ের হাতিয়ার, অন্যভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী নূরজাহান
পরিতোষবাবু বলেন, "আজ আমি তৃণমূলের হয়ে 43 নম্বর আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছি। সকাল সাতটায় মেইল আসে। সেই মেইল মারফত জানতে পারি, আমাকে প্রার্থী হিসেবে দল বিবেচিত করেছে । আমার স্ত্রীও মনোনয়ন দাখিল করেছে। আমি স্কুল শিক্ষক হওয়ার কারণে, আমার জেলা পরিষদের আসনে দাঁড়ানো ঠিক হবে না । তাই আমি দাবি করেছিলাম, আমার স্ত্রীকে এই জায়গা দেওয়া হোক। কিন্তু যদি দল মনে করে আমাকেই প্রার্থী থাকতে হবে, তখন স্ত্রী মনোনয়ন তুলে নেবে । পরে মনোনয়ন করা যাবে না তাই, দু'জনেই মনোনয়ন জমা করেছি।"