ETV Bharat / state

কেমন আছে মালদার প্রকৃতি ?

গঙ্গা-ফুলহর-মহানন্দায় ঘেরা মালদা জেলা । এর মধ্যে মহানন্দাকে মালদার লাইফলাইন বলা যেতে পারে । এই মুহূর্তে পাহাড় থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগে পর্যন্ত এই নদী মানুষের লালসার শিকার হয়ে উঠেছে । মালদার প্রকৃতির জন্য তা কতটা ক্ষতিকর ? মহানন্দাকে বাঁচাতে কোনও প্রশাসনির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি ?

মালদার প্রকৃতি
মালদার প্রকৃতি
author img

By

Published : Jul 29, 2021, 12:47 PM IST

মালদা, 29 জুলাই : পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে প্রকৃতির ভাল থাকা কত জরুরি, তা জানে গোটা বিশ্ব । উন্নত দেশগুলি তো বটেই, উন্নয়নশীল দেশগুলিরও এখন প্রধান লক্ষ্য প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভাল রাখা । সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ চলছে বিশ্ব জুড়ে । কিন্তু মালদা জেলায় প্রকৃতির স্বাস্থ্যটা ঠিক কেমন ?


গঙ্গা-ফুলহর-মহানন্দায় ঘেরা মালদা জেলা । এর মধ্যে মহানন্দাই মালদার লাইফলাইন বলা যেতে পারে । এই মুহূর্তে মহানন্দা দেশের দূষিত নদীগুলির মধ্যে অন্যতম । পাহাড় থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগে পর্যন্ত এই নদী মানুষের লালসার শিকার হয়ে উঠেছে । নদীর বুকে গজিয়ে উঠেছে ঘরবাড়ি ৷ অবৈজ্ঞানিক উপায়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে নদীখাত ।

মহানন্দার বুকে জমছে অজস্র নোংরা, ফলে দূষিত হচ্ছে মহানন্দা
মহানন্দার বুকে জমছে অজস্র নোংরা, ফলে দূষিত হচ্ছে মহানন্দা

মহানন্দাকে বাঁচাতে গ্রিন ট্রাইবুনালে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অমিত স্থালেকর ও বিশেষজ্ঞ সদস্য শৈবাল দাশগুপ্তের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, শিলিগুড়ি এলাকায় মহানন্দা দখল করে বসবাস করা লোকজনকে সরাতে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে । নদীর দূষণ ঠেকাতে পরামর্শের জন্য গঠন করতে হবে বিশেষজ্ঞ কমিটি । দূষিত জল নদীতে ফেলার আগে ট্রিটমেন্ট করতে হবে । এছাড়াও মহানন্দা রক্ষায় একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ।

মালদায় মহানন্দার ছবি
মালদায় মহানন্দার ছবি

আরও পড়ুন : বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে 512টি টিয়া পাখি উদ্ধার

জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশে ভরসা পাচ্ছেন মালদার পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরাও । তাঁদের মনে হয়েছে, মহানন্দা বাঁচাতে শিলিগুড়িতে কাজ শুরু হলে তার প্রভাব মালদাতেও এসে পড়বে । কারণ, মহানন্দার গতিপথে রয়েছে এই জেলাও । এমনই এক সংগঠন সহকার-এর অন্যতম কর্তা, চিকিৎসক অসীম শর্মা বলেন, "বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে যথেচ্ছ কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার প্রকৃতি দূষণে অনুঘটকের কাজ করছে । জলে ধুয়ে এসব মহানন্দায় মিশছে । তার সঙ্গে রয়েছে নদী দখল । নদীর বুকে তৈরি হয়েছে ঘরবাড়ি । খরা মরশুমে মহানন্দা নালায় পরিণত হয় । কালো জল দুর্গন্ধে ভরে যায় । নদীতে এখন বালি পাওয়া যায় না । পা ডুবে যায় মাটি কিংবা কাদায় । নদীতে মাছ কমে গিয়েছে । বাস্তুতন্ত্র হয়েছে বিপন্ন । শহরের দূষিত জল পড়ছে এই নদীতে ।"

এছাড়াও তিনি বলেন, "শুনলাম গ্রিন ট্রাইবুনাল মহানন্দা বাঁচাতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে । এই রায়ে আমরা আশায় বুক বাঁধছি । প্রকৃতি বাঁচাতে আমরা বছরের বিভিন্ন সময় একাধিক জায়গায় গাছ লাগাই । তবে গ্রামের থেকে শহরের প্রকৃতি বেশি বিপন্ন । সড়ক সম্প্রসারণে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে । কিন্তু সেই জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হচ্ছে না । ক’দিন আগে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে এক নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে গাছ লাগানোর প্রস্তাব উঠে এসেছে । আমরাও তাতে অংশগ্রহণ করব বলে ঠিক করেছি ।"

গাছ কাটার পাশাপাশি গাছ লাগানোয় জোর দিতে হবে, যেটার অভাব চোখে পড়ছে মালদা
গাছ কাটার পাশাপাশি গাছ লাগানোয় জোর দিতে হবে, যেটার অভাব চোখে পড়ছে মালদা

আরও পড়ুন : এইমস-এ সপ্তম মালদার ধৌলি

মালদা জেলার প্রকৃতি যে বিপন্ন তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো । তাঁর কথায়, "মহানন্দা নিয়ে কতগুলি ভুল আমরা খুঁজে পেয়েছি তা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি । মালদা শহরের জল ছ’টি পয়েন্ট দিয়ে মহানন্দায় মেশে । শহরের জল যাতে ট্রিটমেন্ট করে মহানন্দায় ফেলা যায় তার জন্য সেচ বিভাগের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে একটা প্রকল্প তৈরির চেষ্টা করছি । আর মহানন্দার বুকে প্রচুর অবৈধ বাড়ি তৈরি হয়েছে । এনিয়েও আমরা খোঁজখবর নিয়েছি । সেচ বিভাগ থেকে সম্প্রতি আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এসব অবৈধ বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে । আমরা দ্রুত নদীকে তার নিজের জায়গা ফিরিয়ে দেব । তবে গ্রিন ট্রাইবুনালের কোনও নির্দেশিকা এখনও আমরা পাইনি । আর জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষচ্ছেদনের যেসব অভিযোগ মিলছে, তা আমাদেরও নজরে এসেছে । বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যায় না । গাছ কাটা হলেও সেখানে নতুন গাছ লাগাতে হয় । তবে সব জায়গায় প্রশাসন পৌঁছতে পারে না । অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিই । তবে শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ককে আরও সবুজ করে তুলতে আমরা কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি ।"

আরও পড়ুন : Gani Khan : ফিরছে গঙ্গাভবন, গনি খানের স্মৃতি ফেরাচ্ছেন মন্ত্রী সাবিনা

সম্প্রতি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে অসংখ্য গাছ কেটে নেওয়া হলেও সেখানে এখনও নতুন গাছ লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । এ প্রসঙ্গে বন বিভাগের মালদা রেঞ্জের অফিসার সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সরকারি নিয়ম মেনে এই জেলায় গাছ কাটা হলেও আইন মেনে দুটি করে গাছ লাগানো হয় । সড়ক সম্প্রসারণে আমাদের কিছু গাছ কাটতে হয়েছে । আমরা সেই জায়গায় নতুন গাছ লাগাতে শুরু করেছি । মধুঘাট থেকে সাহাপুর পর্যন্ত 12 নম্বর জাতীয় সড়কের 10 কিলোমিটার এলাকায় গাছ লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে । এবারও আমরা আরও কিছু এলাকায় গাছ লাগাচ্ছি । এছাড়া আমরা সরকারি হাসপাতালে সবুজশ্রী প্রকল্পে সদ্য মায়েদের হাতে গাছের চারা তুলে দিচ্ছি । হালনা নামে একটি গ্রামে বেশ কিছু বন্ধ্যা জমি ছিল । আমরা ওই জমিতে গাছ লাগিয়েছিলাম । সেই এখন ঘন সবুজে পরিণত হয়েছে । গত পরশু সেই দৃশ্য উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে । শহর এলাকায় ঘরবাড়ি নির্মাণে কিছু গাছ কাটা পড়েছে তা ঠিক । আমরা শহরের বাসিন্দাদের ছাদে বাগান তৈরির জন্য আবেদন জানাচ্ছি । শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কেও আমরা গাছ লাগাব বলে ঠিক করেছি ।"

কেমন আছে মালদার প্রকৃতি ? কী বলছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে প্রশাসন

আরও পড়ুন : hundred five years women death : মানিকচকে 105 বছরের বৃদ্ধার শেষকৃত্যে বাজল ডিজে, উড়ল আবির

মালদা, 29 জুলাই : পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে প্রকৃতির ভাল থাকা কত জরুরি, তা জানে গোটা বিশ্ব । উন্নত দেশগুলি তো বটেই, উন্নয়নশীল দেশগুলিরও এখন প্রধান লক্ষ্য প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভাল রাখা । সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ চলছে বিশ্ব জুড়ে । কিন্তু মালদা জেলায় প্রকৃতির স্বাস্থ্যটা ঠিক কেমন ?


গঙ্গা-ফুলহর-মহানন্দায় ঘেরা মালদা জেলা । এর মধ্যে মহানন্দাই মালদার লাইফলাইন বলা যেতে পারে । এই মুহূর্তে মহানন্দা দেশের দূষিত নদীগুলির মধ্যে অন্যতম । পাহাড় থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগে পর্যন্ত এই নদী মানুষের লালসার শিকার হয়ে উঠেছে । নদীর বুকে গজিয়ে উঠেছে ঘরবাড়ি ৷ অবৈজ্ঞানিক উপায়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে নদীখাত ।

মহানন্দার বুকে জমছে অজস্র নোংরা, ফলে দূষিত হচ্ছে মহানন্দা
মহানন্দার বুকে জমছে অজস্র নোংরা, ফলে দূষিত হচ্ছে মহানন্দা

মহানন্দাকে বাঁচাতে গ্রিন ট্রাইবুনালে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অমিত স্থালেকর ও বিশেষজ্ঞ সদস্য শৈবাল দাশগুপ্তের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, শিলিগুড়ি এলাকায় মহানন্দা দখল করে বসবাস করা লোকজনকে সরাতে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে । নদীর দূষণ ঠেকাতে পরামর্শের জন্য গঠন করতে হবে বিশেষজ্ঞ কমিটি । দূষিত জল নদীতে ফেলার আগে ট্রিটমেন্ট করতে হবে । এছাড়াও মহানন্দা রক্ষায় একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ।

মালদায় মহানন্দার ছবি
মালদায় মহানন্দার ছবি

আরও পড়ুন : বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে 512টি টিয়া পাখি উদ্ধার

জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশে ভরসা পাচ্ছেন মালদার পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরাও । তাঁদের মনে হয়েছে, মহানন্দা বাঁচাতে শিলিগুড়িতে কাজ শুরু হলে তার প্রভাব মালদাতেও এসে পড়বে । কারণ, মহানন্দার গতিপথে রয়েছে এই জেলাও । এমনই এক সংগঠন সহকার-এর অন্যতম কর্তা, চিকিৎসক অসীম শর্মা বলেন, "বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে যথেচ্ছ কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার প্রকৃতি দূষণে অনুঘটকের কাজ করছে । জলে ধুয়ে এসব মহানন্দায় মিশছে । তার সঙ্গে রয়েছে নদী দখল । নদীর বুকে তৈরি হয়েছে ঘরবাড়ি । খরা মরশুমে মহানন্দা নালায় পরিণত হয় । কালো জল দুর্গন্ধে ভরে যায় । নদীতে এখন বালি পাওয়া যায় না । পা ডুবে যায় মাটি কিংবা কাদায় । নদীতে মাছ কমে গিয়েছে । বাস্তুতন্ত্র হয়েছে বিপন্ন । শহরের দূষিত জল পড়ছে এই নদীতে ।"

এছাড়াও তিনি বলেন, "শুনলাম গ্রিন ট্রাইবুনাল মহানন্দা বাঁচাতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে । এই রায়ে আমরা আশায় বুক বাঁধছি । প্রকৃতি বাঁচাতে আমরা বছরের বিভিন্ন সময় একাধিক জায়গায় গাছ লাগাই । তবে গ্রামের থেকে শহরের প্রকৃতি বেশি বিপন্ন । সড়ক সম্প্রসারণে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে । কিন্তু সেই জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হচ্ছে না । ক’দিন আগে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে এক নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে গাছ লাগানোর প্রস্তাব উঠে এসেছে । আমরাও তাতে অংশগ্রহণ করব বলে ঠিক করেছি ।"

গাছ কাটার পাশাপাশি গাছ লাগানোয় জোর দিতে হবে, যেটার অভাব চোখে পড়ছে মালদা
গাছ কাটার পাশাপাশি গাছ লাগানোয় জোর দিতে হবে, যেটার অভাব চোখে পড়ছে মালদা

আরও পড়ুন : এইমস-এ সপ্তম মালদার ধৌলি

মালদা জেলার প্রকৃতি যে বিপন্ন তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো । তাঁর কথায়, "মহানন্দা নিয়ে কতগুলি ভুল আমরা খুঁজে পেয়েছি তা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি । মালদা শহরের জল ছ’টি পয়েন্ট দিয়ে মহানন্দায় মেশে । শহরের জল যাতে ট্রিটমেন্ট করে মহানন্দায় ফেলা যায় তার জন্য সেচ বিভাগের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে একটা প্রকল্প তৈরির চেষ্টা করছি । আর মহানন্দার বুকে প্রচুর অবৈধ বাড়ি তৈরি হয়েছে । এনিয়েও আমরা খোঁজখবর নিয়েছি । সেচ বিভাগ থেকে সম্প্রতি আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এসব অবৈধ বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে । আমরা দ্রুত নদীকে তার নিজের জায়গা ফিরিয়ে দেব । তবে গ্রিন ট্রাইবুনালের কোনও নির্দেশিকা এখনও আমরা পাইনি । আর জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষচ্ছেদনের যেসব অভিযোগ মিলছে, তা আমাদেরও নজরে এসেছে । বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যায় না । গাছ কাটা হলেও সেখানে নতুন গাছ লাগাতে হয় । তবে সব জায়গায় প্রশাসন পৌঁছতে পারে না । অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিই । তবে শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ককে আরও সবুজ করে তুলতে আমরা কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি ।"

আরও পড়ুন : Gani Khan : ফিরছে গঙ্গাভবন, গনি খানের স্মৃতি ফেরাচ্ছেন মন্ত্রী সাবিনা

সম্প্রতি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে অসংখ্য গাছ কেটে নেওয়া হলেও সেখানে এখনও নতুন গাছ লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । এ প্রসঙ্গে বন বিভাগের মালদা রেঞ্জের অফিসার সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সরকারি নিয়ম মেনে এই জেলায় গাছ কাটা হলেও আইন মেনে দুটি করে গাছ লাগানো হয় । সড়ক সম্প্রসারণে আমাদের কিছু গাছ কাটতে হয়েছে । আমরা সেই জায়গায় নতুন গাছ লাগাতে শুরু করেছি । মধুঘাট থেকে সাহাপুর পর্যন্ত 12 নম্বর জাতীয় সড়কের 10 কিলোমিটার এলাকায় গাছ লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে । এবারও আমরা আরও কিছু এলাকায় গাছ লাগাচ্ছি । এছাড়া আমরা সরকারি হাসপাতালে সবুজশ্রী প্রকল্পে সদ্য মায়েদের হাতে গাছের চারা তুলে দিচ্ছি । হালনা নামে একটি গ্রামে বেশ কিছু বন্ধ্যা জমি ছিল । আমরা ওই জমিতে গাছ লাগিয়েছিলাম । সেই এখন ঘন সবুজে পরিণত হয়েছে । গত পরশু সেই দৃশ্য উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে । শহর এলাকায় ঘরবাড়ি নির্মাণে কিছু গাছ কাটা পড়েছে তা ঠিক । আমরা শহরের বাসিন্দাদের ছাদে বাগান তৈরির জন্য আবেদন জানাচ্ছি । শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কেও আমরা গাছ লাগাব বলে ঠিক করেছি ।"

কেমন আছে মালদার প্রকৃতি ? কী বলছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে প্রশাসন

আরও পড়ুন : hundred five years women death : মানিকচকে 105 বছরের বৃদ্ধার শেষকৃত্যে বাজল ডিজে, উড়ল আবির

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.