ETV Bharat / state

Kanyashree Scam: কন্যাশ্রী-সবুজসাথীতে দুর্নীতি, হাইকোর্ট থেকে মামলা তুলতে ছাত্রীকে হুমকি প্রধান শিক্ষকের !

Head Teacher Accused for Threatening Student: কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা ৷ সেই মামলা তুলে নিতে এক ছাত্রীকে হুমকির অভিযোগ ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷

Kanyashree Scam
মামলা তুলতে ছাত্রীকে হুমকি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 23, 2023, 5:46 PM IST

Updated : Sep 23, 2023, 8:34 PM IST

মালদা, 23 সেপ্টেম্বর: মালদার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য এক ছাত্রীকে এবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ যদিও অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপস নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই ছাত্রী ৷ এ দিকে জেলাশাসক জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে দুষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ৷ প্রশাসনকে বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে ৷ এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় জেলার শিক্ষা মহলে ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিভাবকদের একাংশ ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, মোবাইল ট্যাব-সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পে পড়ুয়াদের কাছে কাটমানি নেন প্রধান শিক্ষক ৷ কাটমানি না দিলে কোনও পড়ুয়ার নাম সরকারি প্রকল্পের তালিকায় ওঠে না ৷ অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি তাঁর এমন অনেক মেয়েকে তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী দেখিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন ৷ অথচ, তালিকাভুক্ত ছাত্রীরা মাদ্রাসার ছাত্রীই নয়। এর মধ্যে অনেক বিবাহিত মহিলাও রয়েছেন ৷ আরও অভিযোগ, মাদ্রাসার ফান্ডের টাকাও তিনি অসৎ উপায়ে হস্তগত করেছেন ৷

আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী-সবুজসাথীতে দুর্নীতি! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের

এই মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জেলা প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে তার রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ তদন্ত রিপোর্টে অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মহম্মদ খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই প্রধান শিক্ষক সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে খবর ৷

মামলাকারী অভিভাবকদের মধ্যে একজনের মেয়ে ওই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে ৷ তার অভিযোগ, "আমি রোজ মাদ্রাসায় যাই ৷ হেড স্যার আমাকে হুমকি দিচ্ছেন, আমার বাবা যেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নেন ৷ নইলে তিনি আমাকে পরীক্ষায় বসতে দেবেন না ৷ আমাকে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি ৷ তবে আমার বাবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন ৷ আমিও অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপস করব না ৷"

এ নিয়ে মহম্মদ খাইরুল আলমকে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি ৷ তাঁর সাফ কথা, "এ বিষয়ে আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলব না ৷" এ দিকে মেয়েটির বাবা বলেন, "মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে হুমকি দিচ্ছেন ৷ আসলে তিনি মেয়েকে মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন ৷ যদিও তাঁর এসব চাল খাটবে না ৷ তবে হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক এখনও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি জানি না ৷"

আরও পড়ুন: পরিকাঠামোর অভাবে সংকটে মালদার একমাত্র অলচিকি স্কুল, অন্ধকারে পড়ুয়াদের ভবিষ্য়ত

জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত সামন্ত ফোন ধরেননি ৷ তবে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

মালদা, 23 সেপ্টেম্বর: মালদার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য এক ছাত্রীকে এবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ যদিও অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপস নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই ছাত্রী ৷ এ দিকে জেলাশাসক জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে দুষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ৷ প্রশাসনকে বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে ৷ এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় জেলার শিক্ষা মহলে ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিভাবকদের একাংশ ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, মোবাইল ট্যাব-সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পে পড়ুয়াদের কাছে কাটমানি নেন প্রধান শিক্ষক ৷ কাটমানি না দিলে কোনও পড়ুয়ার নাম সরকারি প্রকল্পের তালিকায় ওঠে না ৷ অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি তাঁর এমন অনেক মেয়েকে তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী দেখিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন ৷ অথচ, তালিকাভুক্ত ছাত্রীরা মাদ্রাসার ছাত্রীই নয়। এর মধ্যে অনেক বিবাহিত মহিলাও রয়েছেন ৷ আরও অভিযোগ, মাদ্রাসার ফান্ডের টাকাও তিনি অসৎ উপায়ে হস্তগত করেছেন ৷

আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী-সবুজসাথীতে দুর্নীতি! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের

এই মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জেলা প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে তার রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ তদন্ত রিপোর্টে অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মহম্মদ খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই প্রধান শিক্ষক সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে খবর ৷

মামলাকারী অভিভাবকদের মধ্যে একজনের মেয়ে ওই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে ৷ তার অভিযোগ, "আমি রোজ মাদ্রাসায় যাই ৷ হেড স্যার আমাকে হুমকি দিচ্ছেন, আমার বাবা যেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নেন ৷ নইলে তিনি আমাকে পরীক্ষায় বসতে দেবেন না ৷ আমাকে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি ৷ তবে আমার বাবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন ৷ আমিও অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপস করব না ৷"

এ নিয়ে মহম্মদ খাইরুল আলমকে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি ৷ তাঁর সাফ কথা, "এ বিষয়ে আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলব না ৷" এ দিকে মেয়েটির বাবা বলেন, "মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে হুমকি দিচ্ছেন ৷ আসলে তিনি মেয়েকে মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন ৷ যদিও তাঁর এসব চাল খাটবে না ৷ তবে হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক এখনও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি জানি না ৷"

আরও পড়ুন: পরিকাঠামোর অভাবে সংকটে মালদার একমাত্র অলচিকি স্কুল, অন্ধকারে পড়ুয়াদের ভবিষ্য়ত

জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত সামন্ত ফোন ধরেননি ৷ তবে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

Last Updated : Sep 23, 2023, 8:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.