ETV Bharat / state

সরকারি স্কলারশিপে গরমিল, প্রমাণ মিলল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে - গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

স্নাতকোত্তর শ্রেণির মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে ৷ স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে পড়ুয়াদের আবেদন জানাতে হয় ৷ এই আবেদনপত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখার সময় গরমিল ধরা পড়ে ।

Gourbanga university
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Jan 25, 2020, 10:55 PM IST

Updated : Jan 26, 2020, 12:00 AM IST

মালদা , 25 জানুয়ারি : ভুয়ো নথি দাখিল করে সরকারি বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাওয়ার চেষ্টা করছে একটি চক্র ৷ তার প্রমাণ মিলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ গোটা বিষয়টি দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ৷ গতকাল কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ৷ এই চক্রের শিকড়ের খোঁজ পেতে আগামী সোমবার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ জানানো হবে ৷

স্নাতকোত্তর শ্রেণির মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে ৷ দু’বছর ধরে প্রতি মাসে পড়ুয়াদের দুই হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয় ৷ অর্থাৎ দুই বছরে একজন পড়ুয়া মোট ৪৮ হাজার টাকা স্কলারশিপ পান ৷ স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে পড়ুয়াদের আবেদন জানাতে হয় ৷ সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট, স্নাতক স্তরের মার্কশিট, BDO-র দেওয়া রেসিডেনশিয়াল ও পরিবারের আয়ের সার্টিফিকেট, আধার কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রতিলিপি অনলাইনে আপলোড করতে হয় ৷ 15 নভেম্বর পর্যন্ত সেই আবেদনপত্র জমা নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এই স্কলারশিপ পেতে প্রায় 400 টি আবেদনপত্র অনলাইনে জমা পড়ে ৷ এরপর সেই আবেদনপত্রগুলির ভেরিফিকেশন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ তখনই ধরা পড়ে, অনেক আবেদনকারী যে নথি জমা দিয়েছেন তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে ৷ প্রথম ধরা পড়ে স্নাতক শ্রেণির মার্কশিটে ৷ দেখা যায়, ২০১৯ সালের মার্কশিটে কন্ট্রোলার অফ এগজ়ামিনেশন হিসাবে সনাতন দাসের স্বাক্ষর রয়েছে ৷ অথচ সনাতনবাবু অনেকদিন আগেই সেই পদ থেকে চলে গেছেন ৷ যে সময় সেই মার্কশিট ইশু করা হয়েছিল, তখন সেই দায়িত্বে ছিলেন শ্যামাপদ মণ্ডল ৷ এতেই প্রথমে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের ৷ গোটা বিষয়টি তদন্তের জন্য চারজনের একটি কমিটি গঠন করা হয় ৷ ওই কমিটির নজরে আসে, অনেক আবেদনপত্রে থাকা আবেদনকারীর ছবির সঙ্গে তাঁর আধার কার্ড কিংবা ব্যাঙ্কের পাস বইয়ে থাকা ছবির কোনও মিল নেই ৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে এমন ২৭টি গরমিল থাকা আবেদনপত্র কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে ৷ এখনও আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে ৷ ধারণা করা হচ্ছে, এমন আবেদনপত্রের সংখ্যা আরও বাড়বে ৷

শুনুন বক্তব্য

রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই এই স্কলারশিপের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে আবেদনপত্র নেওয়া হয়৷ সেই তালিকা রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর পর ওই দপ্তর আবেদনকারীদের মেধা তালিকা অনুযায়ী স্কলারশিপের তালিকা তৈরি করে ৷ গত বছর ৫৩ শতাংশ পড়ুয়াকে এই স্কলারশিপের আওতায় আনা হয়েছিল ৷ কিন্তু এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কারচুপি ধরে পড়েছে, তা রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও ঘটেছে কি না তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

শনিবার ছুটি থাকায় কোনও আধিকারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি ৷ কলকাতা থেকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি ETV ভারতকে বলেন, “প্রথমে তিনটি এমন ভুয়ো মার্কশিট ধরা পড়ে৷ আবেদনপত্রের ভেরিফিকেশনের সময়ই তা ধরা পড়ে ৷ শুধু মার্কশিটই নয়, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ককের পাসবুকেও অনেক গরমিল ধরা পড়েছে ৷ এসব দেখে আমরা নিশ্চিত, এর পিছনে একটা বড় চক্র কাজ করছে৷ যারা জানেই না, এখন কে কন্ট্রোলার রয়েছেন ৷ আরও বড় বিষয়, ভুয়ো মার্কশিট দেখে বোঝা যাচ্ছে, কোথাও না কোথাও সেই মার্কশিট ছাপানো হচ্ছে ৷ গতকাল এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করব ৷ সোমবার সেই অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷”

মালদা , 25 জানুয়ারি : ভুয়ো নথি দাখিল করে সরকারি বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাওয়ার চেষ্টা করছে একটি চক্র ৷ তার প্রমাণ মিলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ গোটা বিষয়টি দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ৷ গতকাল কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ৷ এই চক্রের শিকড়ের খোঁজ পেতে আগামী সোমবার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ জানানো হবে ৷

স্নাতকোত্তর শ্রেণির মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে ৷ দু’বছর ধরে প্রতি মাসে পড়ুয়াদের দুই হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয় ৷ অর্থাৎ দুই বছরে একজন পড়ুয়া মোট ৪৮ হাজার টাকা স্কলারশিপ পান ৷ স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে পড়ুয়াদের আবেদন জানাতে হয় ৷ সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট, স্নাতক স্তরের মার্কশিট, BDO-র দেওয়া রেসিডেনশিয়াল ও পরিবারের আয়ের সার্টিফিকেট, আধার কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রতিলিপি অনলাইনে আপলোড করতে হয় ৷ 15 নভেম্বর পর্যন্ত সেই আবেদনপত্র জমা নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এই স্কলারশিপ পেতে প্রায় 400 টি আবেদনপত্র অনলাইনে জমা পড়ে ৷ এরপর সেই আবেদনপত্রগুলির ভেরিফিকেশন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ তখনই ধরা পড়ে, অনেক আবেদনকারী যে নথি জমা দিয়েছেন তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে ৷ প্রথম ধরা পড়ে স্নাতক শ্রেণির মার্কশিটে ৷ দেখা যায়, ২০১৯ সালের মার্কশিটে কন্ট্রোলার অফ এগজ়ামিনেশন হিসাবে সনাতন দাসের স্বাক্ষর রয়েছে ৷ অথচ সনাতনবাবু অনেকদিন আগেই সেই পদ থেকে চলে গেছেন ৷ যে সময় সেই মার্কশিট ইশু করা হয়েছিল, তখন সেই দায়িত্বে ছিলেন শ্যামাপদ মণ্ডল ৷ এতেই প্রথমে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের ৷ গোটা বিষয়টি তদন্তের জন্য চারজনের একটি কমিটি গঠন করা হয় ৷ ওই কমিটির নজরে আসে, অনেক আবেদনপত্রে থাকা আবেদনকারীর ছবির সঙ্গে তাঁর আধার কার্ড কিংবা ব্যাঙ্কের পাস বইয়ে থাকা ছবির কোনও মিল নেই ৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে এমন ২৭টি গরমিল থাকা আবেদনপত্র কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে ৷ এখনও আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে ৷ ধারণা করা হচ্ছে, এমন আবেদনপত্রের সংখ্যা আরও বাড়বে ৷

শুনুন বক্তব্য

রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই এই স্কলারশিপের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে আবেদনপত্র নেওয়া হয়৷ সেই তালিকা রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর পর ওই দপ্তর আবেদনকারীদের মেধা তালিকা অনুযায়ী স্কলারশিপের তালিকা তৈরি করে ৷ গত বছর ৫৩ শতাংশ পড়ুয়াকে এই স্কলারশিপের আওতায় আনা হয়েছিল ৷ কিন্তু এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কারচুপি ধরে পড়েছে, তা রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও ঘটেছে কি না তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

শনিবার ছুটি থাকায় কোনও আধিকারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি ৷ কলকাতা থেকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি ETV ভারতকে বলেন, “প্রথমে তিনটি এমন ভুয়ো মার্কশিট ধরা পড়ে৷ আবেদনপত্রের ভেরিফিকেশনের সময়ই তা ধরা পড়ে ৷ শুধু মার্কশিটই নয়, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ককের পাসবুকেও অনেক গরমিল ধরা পড়েছে ৷ এসব দেখে আমরা নিশ্চিত, এর পিছনে একটা বড় চক্র কাজ করছে৷ যারা জানেই না, এখন কে কন্ট্রোলার রয়েছেন ৷ আরও বড় বিষয়, ভুয়ো মার্কশিট দেখে বোঝা যাচ্ছে, কোথাও না কোথাও সেই মার্কশিট ছাপানো হচ্ছে ৷ গতকাল এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করব ৷ সোমবার সেই অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷”

Intro:মালদা, ২৫ জানুয়ারি : ভুয়ো নথি দাখিল করে সরকারি বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাওয়ার চেষ্টা করছে একটি চক্র৷ তার প্রমাণ মিলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গোটা বিষয়টি দেখে চোখ কপালে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের৷ এনিয়ে গতকাল কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শুরু হয়েছে তদন্ত৷ এই চক্রের শিকড়ের খোঁজ পেতে আগামী সোমবার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ জানানো হবে৷Body:         স্নাতকোত্তর শ্রেণির মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে৷ দু’বছর ধরে প্রতি মাসে পড়ুয়াদের দুই হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ দুই বছরে একজন পড়ুয়া মোট ৪৮ হাজার টাকা স্কলারশিপ পান৷ স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে পড়ুয়াদের আবেদন জানাতে হয়৷ সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট, স্নাতক স্তরের মার্কশিট, বিডিও’র দেওয়া রেসিডেনশিয়াল ও পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট, আধার কার্ড ও ব্যাংকের পাশবইয়ের ফটোকপি অনলাইনে আপলোড করতে হয়৷ গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সেই আবেদনপত্র জমা নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ এই স্কলারশিপ পেতে প্রায় ৪০০ আবেদনপত্র অনলাইনে জমা পড়ে৷ এরপর সেই আবেদনপত্রগুলির ভেরিফিকেশন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ তখনই ধরা পড়ে, অনেক আবেদনকারী যে নথি জমা দিয়েছেন তাতে বিস্তর গড়মিল রয়েছে৷ প্রথম ধরা পড়ে স্নাতক শ্রেণির মার্কশিটে কারচুপি৷ দেখা যায়, ২০১৯ সালের মার্কশিটে কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন হিসাবে সনাতন দাসের স্বাক্ষর রয়েছে৷ অথচ সনাতনবাবু অনেকদিন আগেই সেই পদ থেকে চলে গিয়েছেন৷ যে সময় সেই মার্কশিট ইশ্যু করা হয়েছিল, তখন সেই দায়িত্বে ছিলেন শ্যামাপদ মণ্ডল৷ এতেই প্রথমে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের৷ গোটা বিষয়টি তদন্তের জন্য চার জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ ওই কমিটির নজরে আসে, অনেক আবেদনপত্রে থাকা আবেদনকারীর ছবির সঙ্গে তাঁর আধার কার্ড কিংবা ব্যাংকের পাশবুকে থাকা ছবির কোনও মিল নেই৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে এমন ২৭টি গড়মিল থাকা আবেদনপত্র কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে৷ এখনও আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, এমন ভুয়ো নথি সংবলিত আবেদনপত্রের সংখ্যা আরও বাড়বে৷
         রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই এই স্কলারশিপের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে আবেদনপত্র নেওয়া হয়৷ সেই তালিকা রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর পর ওই দপ্তর আবেদনকারীদের মেধা তালিকা অনুযায়ী স্কলারশিপের তালিকা তৈরি করে৷ গত বছর ৫৩ শতাংশ পড়ুয়াকে এই স্কলারশিপের আওতায় আনা হয়েছিল৷ কিন্তু এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কারচুপি ধরে পড়েছে, তা রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও ঘটেছে কিনা তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে৷Conclusion:         শনিবার ছুটি থাকায় কোনও আধিকারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি৷ কলকাতা থেকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি ইটিভিকে বলেন, “প্রথমে তিনটি এমন ভুয়ো মার্কশিট ধরা পড়ে৷ আবেদনপত্রের ভেরিফিকেশনের সময়ই তা ধরা পড়ে৷ শুধু মার্কশিটই নয়, আধার কার্ড, ব্যাংকের পাশবুকেও অনেক গড়মিল ধরা পড়েছে৷ এসব দেখে আমরা নিশ্চিত, এর পিছনে একটা বড়ো চক্র কাজ করছে৷ যারা জানেই না, এখন কে কন্ট্রোলার রয়েছেন৷ আরও বড়ো বিষয়, ভুয়ো মার্কশিট দেখে বোঝা যাচ্ছে, কোথাও না কোথাও সেই মার্কশিট ছাপানো হচ্ছে৷ গতকাল এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করব৷ সোমবার সেই অভিযোগ দায়ের করা হবে৷”
Last Updated : Jan 26, 2020, 12:00 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.