ETV Bharat / state

অশিক্ষক কর্মীদের দাবি মানল কর্তৃপক্ষ, স্বাভাবিকের পথে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় - অশিক্ষক কর্মীদের দাবি স্বীকার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

তিন দফা দাবিতে গত 20 নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা৷ তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে ছিল স্থায়ীকরণ ও বেতন পরিকাঠামোর সংশোধন, সমস্ত সরকারি সুযোগসুবিধা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার৷ এর মধ্যে তৃতীয় দাবিটি অনেক আগেই মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু প্রথম দুটি দাবি নিয়েই দেখা দিয়েছিল সমস্যা৷ অবশেষে গতকাল সকাল 11টা থেকে কলকাতায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে 22তম এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক বসে৷ বৈঠকে অস্থায়ী কর্মীদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয় । তবে রেজিস্ট্রার না আসা পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে বলে জানা গেছে ।

image
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Dec 19, 2019, 10:33 AM IST

মালদা, 19 ডিসেম্বর : প্রায় এক মাস । গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের কর্মবিরতির আন্দোলন চলছিল এতদিন । শেষ পর্যন্ত তার ফল পেলেন তাঁরা । গতকাল কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে অস্থায়ী কর্মীদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ৷ ফলে কাজকর্ম স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ । তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও নথি তাঁরা হাতে পাননি ৷ তাই রেজিস্ট্রার না আসা পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে ৷

তিন দফা দাবিতে গত 20 নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা ৷ তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে ছিল স্থায়ীকরণ ও বেতন পরিকাঠামোর সংশোধন, সমস্ত সরকারি সুযোগসুবিধা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার৷ এর মধ্যে তৃতীয় দাবিটি অনেক আগেই মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু প্রথম দুটি দাবি নিয়েই দেখা দিয়েছিল সমস্যা ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এই দাবিগুলি পূরণ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারে নেই৷ রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর এই দাবিগুলি পূরণ করতে পারে৷ এপ্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি জানিয়েছিলেন, তিনি গোটা বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দপ্তরে জানিয়েছেন ৷ প্রত্যেক কর্মীর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে৷ এনিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক ডাকার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ৷

অবশেষে গতকাল সকাল 11টা থেকে কলকাতায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে 22তম এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক বসে৷ পদত্যাগী উপাচার্য সহ মোট 10 জন সদস্য সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে অশিক্ষক কর্মীদের দাবি নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ঠিক হয়, সরকারি নির্দেশিকা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের রোপা 2019 হারে বেতন প্রদান করা হবে৷ প্রত্যেক কর্মীকে 60 বছর বয়স পর্যন্ত কাজে বহাল রাখা হবে৷ 2020 সাল থেকে প্রতি বছর প্রত্যেক কর্মীর বেতন মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হবে৷ অশিক্ষক কর্মীদের স্বাস্থ্যসাথী, প্রভিডেন্ড ফান্ড, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ অশিক্ষক কর্মীদের বিষয়ে এমন 10টি সিদ্ধান্ত আজকের EC সভায় গৃহীত হয়েছে ৷ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

এপ্রসঙ্গে সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, “কলকাতায় EC বৈঠকের কথা আমরা শুনেছি ৷ কিন্তু সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা জানি না ৷ আমরা হাতে কোনও নথিও পাইনি ৷ তবে শুনেছি, আমাদের দাবি অনুযায়ী রোপা এন্ট্রি লেভেল স্যালারি চালু করা হয়নি ৷ শুধু তাই নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে শুনছি ৷ রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা পর্যন্ত আমরা কিছু বুঝতে পারছি না ৷ তাই তিনি না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলছেই ৷”

মালদা, 19 ডিসেম্বর : প্রায় এক মাস । গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের কর্মবিরতির আন্দোলন চলছিল এতদিন । শেষ পর্যন্ত তার ফল পেলেন তাঁরা । গতকাল কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে অস্থায়ী কর্মীদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ৷ ফলে কাজকর্ম স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ । তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও নথি তাঁরা হাতে পাননি ৷ তাই রেজিস্ট্রার না আসা পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে ৷

তিন দফা দাবিতে গত 20 নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা ৷ তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে ছিল স্থায়ীকরণ ও বেতন পরিকাঠামোর সংশোধন, সমস্ত সরকারি সুযোগসুবিধা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার৷ এর মধ্যে তৃতীয় দাবিটি অনেক আগেই মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু প্রথম দুটি দাবি নিয়েই দেখা দিয়েছিল সমস্যা ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এই দাবিগুলি পূরণ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারে নেই৷ রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর এই দাবিগুলি পূরণ করতে পারে৷ এপ্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি জানিয়েছিলেন, তিনি গোটা বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দপ্তরে জানিয়েছেন ৷ প্রত্যেক কর্মীর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে৷ এনিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক ডাকার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ৷

অবশেষে গতকাল সকাল 11টা থেকে কলকাতায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে 22তম এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক বসে৷ পদত্যাগী উপাচার্য সহ মোট 10 জন সদস্য সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে অশিক্ষক কর্মীদের দাবি নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ঠিক হয়, সরকারি নির্দেশিকা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের রোপা 2019 হারে বেতন প্রদান করা হবে৷ প্রত্যেক কর্মীকে 60 বছর বয়স পর্যন্ত কাজে বহাল রাখা হবে৷ 2020 সাল থেকে প্রতি বছর প্রত্যেক কর্মীর বেতন মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হবে৷ অশিক্ষক কর্মীদের স্বাস্থ্যসাথী, প্রভিডেন্ড ফান্ড, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ অশিক্ষক কর্মীদের বিষয়ে এমন 10টি সিদ্ধান্ত আজকের EC সভায় গৃহীত হয়েছে ৷ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

এপ্রসঙ্গে সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, “কলকাতায় EC বৈঠকের কথা আমরা শুনেছি ৷ কিন্তু সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা জানি না ৷ আমরা হাতে কোনও নথিও পাইনি ৷ তবে শুনেছি, আমাদের দাবি অনুযায়ী রোপা এন্ট্রি লেভেল স্যালারি চালু করা হয়নি ৷ শুধু তাই নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে শুনছি ৷ রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা পর্যন্ত আমরা কিছু বুঝতে পারছি না ৷ তাই তিনি না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলছেই ৷”

Intro:মালদা, ১৮ ডিসেম্বর : শেষ পর্যন্ত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের প্রায় এক মাস ধরে চলা কর্মবিরতি ফল দিল৷ আজ কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে অস্থায়ী কর্মীদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ফলে তাঁদের আন্দোলন উঠে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম ফের চালু হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপাচার্য কলকাতায় থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও নথি তাঁরা হাতে পাননি৷ রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা পর্যন্ত তাঁরা এবিষয়ে বিশদে কিছু জানতেও পারছেন না৷ তাই রেজিস্ট্রার না আসা পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে৷Body:         তিন দফা দাবিতে গত ২০ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা৷ তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে ছিল স্থায়ীকরণ ও বেতন পরিকাঠামোর সংশোধন, সমস্ত সরকারি সুযোগসুবিধা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার৷ এর মধ্যে তৃতীয় দাবিটি অনেক আগেই মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু প্রথম দুটি দাবি নিয়েই দেখা দিয়েছিল সমস্যা৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এই দাবিগুলি পূরণ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারে নেই৷ রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর এই দাবিগুলি পূরণ করতে পারে৷ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি জানিয়েছিলেন, তিনি গোটা বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দপ্তরে জানিয়েছেন৷ প্রত্যেক কর্মীর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে৷ এনিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক ডাকার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷
         অবশেষে আজ সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসে ২২তম এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক৷ পদত্যাগী উপাচার্য সহ মোট ১০ জন সদস্য সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে অশিক্ষক কর্মীদের দাবি নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ঠিক হয়, সরকারি নির্দেশিকা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের রোপা ২০১৯ হারে বেতন প্রদান করা হবে৷ প্রত্যেক কর্মীকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজে বহাল রাখা হবে৷ ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর প্রত্যেক কর্মীর বেতন মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হবে৷ অশিক্ষক কর্মীদের স্বাস্থ্যসাথী, প্রভিডেন্ড ফান্ড, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ প্রত্যেক কর্মীকে বছরে ১০ দিন মেডিকেল লিভ দেওয়া হবে৷ কর্মীদের চাকরি এবং যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেককে অবসরের সময় এককালীন ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে৷ অশিক্ষক কর্মীদের বিষয়ে এমন ১০টি সিদ্ধান্ত আজকের ইসি সভায় গৃহীত হয়েছে৷
         এর পাশাপাশি এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তার মধ্যে অন্যতম ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরির মেয়াদ বৃদ্ধি৷ আগামী ২০ ডিসেম্বর তাঁর রেজিস্ট্রার পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল৷ আজ বৈঠকে তাঁকে আরও ৬ মাসের জন্য ওই পদে বহাল রাখা হয়েছে৷ দু’জন সহকারী রেজিস্ট্রারও আজ নিয়োগ করা হয়েছে৷ এছাড়াও খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স অফিসার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত সভায় গৃহীত হয়েছে৷ ওই দায়িত্বে থাকা ভাস্কর বাগচি সম্প্রতি পদত্যাগ করেন৷ এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মীদের বেতন সমস্যা দেখা দেয়৷ গত নভেম্বর মাসের বেতন এখনও কেউ পাননি৷ এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে, দু’একদিনের মধ্যেই গণিত বিভাগের অধ্যাপক শ্রীমন্ত দে’কে নতুন ফিনান্স অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে কয়েকদিনের মধ্যেই সবার বেতন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আজকের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কিছু পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ Conclusion:         যদিও আন্দোলনকারীদের তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন, সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, “আজ কলকাতায় ইসি বৈঠকের কথা আমরা শুনেছি৷ কিন্তু সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা জানি না৷ আমরা হাতে কোনও নথিও পাইনি৷ তবে শুনেছি, আমাদের দাবি অনুযায়ী রোপা এন্ট্রি লেভেল স্যালারি লাগু করা হয়নি৷ শুধু তাই নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে শুনছি৷ রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসা পর্যন্ত আমরা কিছু বুঝতে পারছি না৷ তাই তিনি না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলছেই৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.