মালদা, 13 ফেব্রুয়ারি : ফ্রি WiFi -র আওতায় আনা হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের গতি তরান্বিত করতে এই ব্যবস্থা চালু করা হল ৷ গতকাল থেকে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে নিয়ে আসা হল ফ্রি WiFi জোনের আওতায় ৷ গতকাল থেকেই ছাত্রছাত্রী সহ অন্যান্যরা সেই সুবিধে পেতে শুরু করেছেন৷ কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন পড়ুয়ারা ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের 31 একর জায়গায় থাকা সমস্ত বিভাগ, ভবন, লাইব্রেরি, অতিথিশালা সহ সব জায়গাকে ফ্রি WiFi জোনে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার থেকেই সেই সুবিধে চালু হয়েছে ৷ আপাতত এক মাস ট্রায়াল রান চলবে ৷ তারপর ইন্টারনেট ব্যবহারের পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন করা হবে৷ তা না হলে বহিরাগতরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এই সুবিধে পাওয়ার চেষ্টা করবে ৷ ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাবে ৷ তাতে পড়ুয়াদের সমস্যা হবে ৷ তবে পড়ুয়া, স্কলার, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই সুবিধে সবসময়ই পাবেন৷ এই সুবিধে চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট খরচ হয়েছে 99 লাখ টাকা ৷ আগামী 5বছর এর জন্য আর কোনও খরচ হবে না৷ আগামী কয়েকমাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের হস্টেলও ফ্রি WiFi ব্যবস্থা চালু হয়ে যাওয়ার কথা ৷ সেখানেও প্রায় 500 পড়ুয়া এই সুবিধে পাবেন৷ আধুনিক জীবনে ইন্টারনেটের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না৷ ফলে এই সুবিধে সবারই উপকারে আসবে ৷”
বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক ও ডেপুটি কন্ট্রোলার বিনয় হালদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধে চালু করার পরিকল্পনা চলছিল৷ এর মূল উদ্যোগ নেন বিদায়ী উপাচার্য স্বাগত সেন ৷ তিনিই আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে এই সুবিধে চালু করতে পদক্ষেপ করতে বলেন ৷ এনিয়ে তিনি এগজিকিউটিভ কাউন্সিল ও ফিনান্স কমিটিতে আলোচনাও করেন ৷ সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই পরবর্তীতে টেন্ডারের নির্দেশ আমাকে দেওয়া হয় ৷ ই-টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয় ৷ আশা করা যায়, এই সুবিধে চালু হওয়ায় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মেও গতি আসবে ৷ আমার মনে হয়, এই পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় আরও একধাপ এগিয়ে গেল ৷”
কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন পড়ুয়ারাও ৷ প্রাণি বিদ্য়া বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির প্রথম সেমেস্টারের ছাত্র সমরেশ মণ্ডল বলেন, “এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ তাঁরা সবসময়ই আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন ৷ এই পরিষেবা চালু করেও তাঁরা আমাদের সাহায্য করলেন ৷ এতে আমাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ যেমন বাড়বে, তেমনই পড়াশোনাতেও গতি আসবে৷” লাইব্রেরি সায়েন্সের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এতে পড়ুয়ারা যে ভীষণভাবে উপকৃত হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ এই পরিষেবা চালু করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলাম৷ তাই আমি একে ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য হিসাবেই দেখছি৷”