মালদা, 1 অক্টোবর : গঙ্গা, মহানন্দা, পুনর্ভবার সঙ্গে ফুঁসছে ফুলহরও ৷ নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপরে ৷ ইতিমধ্যে যার কোপে রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ৷ বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু জায়গায় কিংবা স্থানীয় স্কুলবাড়িতে ৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই এখনও পর্যন্ত ঘর ছাড়েনি ৷ আজ ফুলহরের জলে বানভাসি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম পরিদর্শন করেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল হোসেন ৷ প্রতিটি জায়গায় ত্রাণের জন্য হাহাকার শোনেন তিনি ৷ মানুষের দুর্দশা দেখে তড়িঘড়ি BDO-র সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ দুর্গতদের সবরকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেন ৷
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে গত এক সপ্তাহ ধরে বিপদসীমার উপরে বইছে ফুলহর ৷ আজ বিপদসীমা 27.43 মিটার ছাড়িয়ে 27.85 মিটার উচ্চতায় বইছে নদী ৷ ফুলহরের জল ঢুকে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাউয়াডোল, মিরপাড়াসহ একাধিক গ্রামে ৷ ফুলহরের জলে প্লাবিত এই ব্লক সংলগ্ন বিহারের কাটিহার জেলার আমদাবাদ থানার মায়ামারী, পাহাড়পুর, গোবিন্দপুরসহ আরও কিছু গ্রাম ৷ কোরোনা আবহের মধ্যে ফুলহরের জলে বানভাসি হয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ ৷ তাঁদেরই একজন রশিদপুর গ্রামের শেখ সাজমুল বলেন, "এমন বন্যা আগে হয়নি ৷ গোটা বাড়ি জলে ডুবে রয়েছে ৷ পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকছি ৷ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাইনি ৷ একটা ত্রিপলও জোটেনি ৷ কেউ আমাদের দেখতেও আসেনি ৷ আজ এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক এসেছেন ৷ তাঁকে সব বলেছি ৷ ছেলেপুলে নিয়ে থাকার জন্য একটা প্লাস্টিকের যেন ব্যবস্থা হয়, তাঁর কাছে আর্জি জানিয়েছি ৷"
প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল সাহেব বলেন, "আজ আমরা সকাল 9টা থেকে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলাম ৷ মূলত ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেছি ৷ গ্রামগুলির পরিস্থিতি খুব খারাপ ৷ প্রায় সব বাড়িতে ফুলহরের জল ঢুকেছে ৷ দুর্গতদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থার প্রয়োজন ৷ এনিয়ে BDO-র সঙ্গে কথা বলেছি ৷ বন্যা কবলিত মানুষকে সবরকম সরকারি সহায়তা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷"