মালদা, 5 জুলাই : বন দফতরকে না জানিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ খবর পেয়ে গাছের কাটা অংশ বাজেয়াপ্ত করেন বন দফতরের আধিকারিকরা ৷ যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, বন দফতরকে বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল।
সোমবার বিকেলে পুরাতন মালদার নলডুবি এলাকা সংলগ্ন 12 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কয়েকজন ব্যক্তি এসে গাছ কাটতে শুরু করেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন দফতরের আধিকারিকরা ৷ তাঁরা ওই ব্যক্তিদের কাজ থামিয়ে তাঁদের কাছে গাছ কাটার অনুমতিপত্র দেখতে চান। কিন্তু গাছ কাটতে আসা শ্রমিকরা তেমন কোনও নথি দেখাতে পারেননি ৷ এরপরই কাটা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে ৷
আরও পড়ুন : বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে
স্থানীয় এক বাসিন্দা রাসিউল শেখ বলেন, ‘‘হঠাৎ দেখি, কয়েকজন লোক এসে এখানে গাছ কাটতে শুরু করলেন ৷ কিছু সময় পর বন দফতরের লোকজন এসে সেই কাজ বন্ধ করে দেন ৷ এখন শুনতে পাচ্ছি বন দফতর কাটা গাছগুলো নিয়ে যাবে ৷ এখানে চার-পাঁচটা গাছ কাটা হয়েছে ৷ যাঁরা গাছ কাটছিলেন, তাঁরা স্থানীয় কেউ নন ৷ তবে তাঁরা বলছিলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নাকি তাঁদের গাছ কাটতে পাঠিয়েছে ৷ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নথিপত্র হয়তো তাঁদের কাছ ছিল ৷ তবে বন দফতরের কোনও অনুমতি ছিল না ৷’’
ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ গোস্বামী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর আসে, জাতীয় সড়কের ধারে অবৈধভাবে গাছ কাটা হচ্ছে ৷ সেই খবরের ভিত্তিতেই আমরা এই এলাকায় আসি ৷ এখানে এসে দেখি, কোনও নথিপত্র ছাড়াই পাঁচটি গাছ কাটা হয়েছে ৷ আমরা সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি ৷ যাঁরা গাছ কাটছিলেন তাঁদের কাছে এই সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে ৷ আমরা কাটা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করছি ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি দফতর আমাদের কিছু জানায়নি ৷’’
আরও পড়ুন : অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না শহরে
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর দীনেশ হানসারিয়া বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের ধারে কয়েকটি গাছ বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল ৷ সেই গাছগুলিকে কাটতে বলা হয়েছিল ৷ আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, বন দফতর নাকি গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমরা বিষয়টি বন দফতরকে জানিয়েছিলাম ৷ এনিয়ে ফের বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে ৷’’