ETV Bharat / state

2 টাকায় রাতের খাবার, মালদা মেডিক্যালের করোনা আক্রান্তদের পরিজনদের পাশে ‘নতুন আলো’

গত বছর দেশে হানা দিয়েছিল করোনা ৷ তারও আগে জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছিল প্রবল রক্ত সংকট ৷ মানুষের দুর্দশা কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বেশ কিছু ছেলেমেয়ের ৷ সবাই কলেজ পড়ুয়া ৷ পড়ার ফাঁকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা ৷ নিজেদের একজোট করে তৈরি করেছিলেন ‘নতুন আলো’৷

author img

By

Published : May 21, 2021, 5:45 PM IST

করোনা আক্রান্তদের পরিজনদের পাশে ‘নতুন আলো’
করোনা আক্রান্তদের পরিজনদের পাশে ‘নতুন আলো’

মালদা, 21 মে : মাত্র দু’টাকায় রাতের পেটভরা খাবার ৷ মালদা মেডিক্যালের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবারের সদস্যদের জন্য এমনই ব্যবস্থা করেছেন কিছু যুবক-যুবতী ৷ গত পাঁচদিন ধরে তাঁরা এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ৷ যতদিন বিধিনিষেধের কড়াকড়ি চলবে, ততদিন এই ব্যবস্থা চালু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা ৷

গত বছর দেশে হানা দিয়েছিল করোনা ৷ তারও আগে জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছিল প্রবল রক্ত সংকট ৷ মানুষের দুর্দশা কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বেশ কিছু ছেলেমেয়ের ৷ সবাই কলেজ পড়ুয়া ৷ পড়ার ফাঁকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা ৷ নিজেদের একজোট করে তৈরি করেছিলেন ‘নতুন আলো’৷

প্রথম দফায় টানা 56 দিন মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের বিনা পয়সায় খাবার দিয়েছিলেন ৷ তখনই তাঁদের নজরে পড়ে, বিনা পয়সায় অনেকে খেতে চান না ৷ হয়তো সেই খাবারকে দান মনে করছেন তাঁরা ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বিধিনিষেধের কড়াকড়ি ঘোষণা হয়, তখনই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এবার আর বিনা পয়সায় নয়, দু’টাকায় তাঁরা খাবার বিলি করবেন ৷

আজ তাঁদের এই প্রচেষ্টার পঞ্চম দিন ৷ মেনুতে রয়েছে মুরগির মাংস, ভাত, আলুর তরকারি আর পাঁপড় ভাজা ৷ সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যেই পৌঁছোতে হবে খাবার ৷ তাই দুপুর একটা বাজতেই মালদা শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি ক্লাবঘরে কাজ শুরু করেছেন সিরাজ, সুরজ, পিন্টু, মিরাজরা ৷ সিরাজ, সুরজরা আলু-পেঁয়াজ ছাড়াতে ব্যস্ত, মিরাজ ডিমের খোসা তুলতে মগ্ন, বাইরে মাংস বেছে ধুয়ে যাচ্ছিলেন পিন্টু ৷ ওভেনে ভাত বসে গিয়েছে ৷ রান্নার দায়িত্ব বাবলুর ৷ তিনিই প্রতিদিন রান্না করছেন ৷ জানা গেল, প্রথম দিনের মেনু ছিল খিঁচুড়ি ৷ খেয়েছেন 72 জন ৷ তারপর থেকে প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উপভোক্তার সংখ্যা ৷ গতকাল রাতে 250 জনের বেশি মানুষ খাবার নিয়েছেন ৷ আজ সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা ৷

আরও পড়ুন : কাটল না জট, 5 দিন ধরে রাজ্যজুড়ে নারদ-নারদ

কেন এমন ভাবনা? নতুন আলোর সদস্য ফারহাদ শেখ বললেন, “বিপন্ন সময়ে মানুষের দুর্দশা আমাদের কয়েকজনের মন নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ তাই আমরা কলেজের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব এই মানুষদের জন্য কিছু করব বলে ঠিক করি ৷ করোনার প্রথম ধাক্কায় মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দের টানা 56 দিন খাইয়েছিলাম ৷ তখন লকডাউন চলছিল ৷ এবারও কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে ৷ আমরা ফের খাবার দিতে শুরু করেছি ৷ আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেকে বিনা পয়সায় খাবার খেতে চান না ৷ তাই এবার দু’টাকা করে খাবারের দাম নিচ্ছি ৷ আমরা প্রায় 40 জন আছি ৷ নিজেদের পরিচিতের কাছ থেকে টাকা জোগাড় করছি ৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও সবার কাছে সাহায্য চেয়েছি ৷ অনেক মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছেন ৷’’

মালদা, 21 মে : মাত্র দু’টাকায় রাতের পেটভরা খাবার ৷ মালদা মেডিক্যালের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবারের সদস্যদের জন্য এমনই ব্যবস্থা করেছেন কিছু যুবক-যুবতী ৷ গত পাঁচদিন ধরে তাঁরা এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ৷ যতদিন বিধিনিষেধের কড়াকড়ি চলবে, ততদিন এই ব্যবস্থা চালু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা ৷

গত বছর দেশে হানা দিয়েছিল করোনা ৷ তারও আগে জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছিল প্রবল রক্ত সংকট ৷ মানুষের দুর্দশা কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বেশ কিছু ছেলেমেয়ের ৷ সবাই কলেজ পড়ুয়া ৷ পড়ার ফাঁকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা ৷ নিজেদের একজোট করে তৈরি করেছিলেন ‘নতুন আলো’৷

প্রথম দফায় টানা 56 দিন মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের বিনা পয়সায় খাবার দিয়েছিলেন ৷ তখনই তাঁদের নজরে পড়ে, বিনা পয়সায় অনেকে খেতে চান না ৷ হয়তো সেই খাবারকে দান মনে করছেন তাঁরা ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বিধিনিষেধের কড়াকড়ি ঘোষণা হয়, তখনই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এবার আর বিনা পয়সায় নয়, দু’টাকায় তাঁরা খাবার বিলি করবেন ৷

আজ তাঁদের এই প্রচেষ্টার পঞ্চম দিন ৷ মেনুতে রয়েছে মুরগির মাংস, ভাত, আলুর তরকারি আর পাঁপড় ভাজা ৷ সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যেই পৌঁছোতে হবে খাবার ৷ তাই দুপুর একটা বাজতেই মালদা শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি ক্লাবঘরে কাজ শুরু করেছেন সিরাজ, সুরজ, পিন্টু, মিরাজরা ৷ সিরাজ, সুরজরা আলু-পেঁয়াজ ছাড়াতে ব্যস্ত, মিরাজ ডিমের খোসা তুলতে মগ্ন, বাইরে মাংস বেছে ধুয়ে যাচ্ছিলেন পিন্টু ৷ ওভেনে ভাত বসে গিয়েছে ৷ রান্নার দায়িত্ব বাবলুর ৷ তিনিই প্রতিদিন রান্না করছেন ৷ জানা গেল, প্রথম দিনের মেনু ছিল খিঁচুড়ি ৷ খেয়েছেন 72 জন ৷ তারপর থেকে প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উপভোক্তার সংখ্যা ৷ গতকাল রাতে 250 জনের বেশি মানুষ খাবার নিয়েছেন ৷ আজ সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা ৷

আরও পড়ুন : কাটল না জট, 5 দিন ধরে রাজ্যজুড়ে নারদ-নারদ

কেন এমন ভাবনা? নতুন আলোর সদস্য ফারহাদ শেখ বললেন, “বিপন্ন সময়ে মানুষের দুর্দশা আমাদের কয়েকজনের মন নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ তাই আমরা কলেজের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব এই মানুষদের জন্য কিছু করব বলে ঠিক করি ৷ করোনার প্রথম ধাক্কায় মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দের টানা 56 দিন খাইয়েছিলাম ৷ তখন লকডাউন চলছিল ৷ এবারও কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে ৷ আমরা ফের খাবার দিতে শুরু করেছি ৷ আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেকে বিনা পয়সায় খাবার খেতে চান না ৷ তাই এবার দু’টাকা করে খাবারের দাম নিচ্ছি ৷ আমরা প্রায় 40 জন আছি ৷ নিজেদের পরিচিতের কাছ থেকে টাকা জোগাড় করছি ৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও সবার কাছে সাহায্য চেয়েছি ৷ অনেক মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছেন ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.