ETV Bharat / state

Govt Fund Fraud: সরকারি তহবিলের 4.5 কোটি টাকা প্রতারণা ! রাইস মিলে তালা ঝোলাল খাদ্য দফতর

author img

By

Published : Dec 16, 2022, 7:37 PM IST

Updated : Dec 16, 2022, 9:59 PM IST

সরকারি তহবিলের 4.5 কোটি টাকা প্রতারণার (Govt Fund Fraud) অভিযোগ উঠল মালদায় ৷ এই ঘটনায় রাইস মিলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে খাদ্য দফতর (Food department locks Malda rice mill)৷

Food department locks Malda rice mill after Rs 4.5 crore government fund fraud unearthed
সরকারি তহবিলের 4.5 কোটি টাকা প্রতারণা ! রাইস মিলে তালা ঝোলাল খাদ্য দফতর
সরকারি তহবিলের 4.5 কোটি টাকা প্রতারণা

মালদা, 16 ডিসেম্বর: সরকারের ঘর থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ কথা ছিল, চাষিদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ধান কিনে তার চাল সরকারের ঘরে পৌঁছে দেবেন মিল মালিক (Malda rice mill)৷ কিন্তু সরকারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরেও সরকারকে চাল দিচ্ছেন না মিল মালিক ৷ এর জেরে হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি রাইস মিলে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা (Food department locks Malda rice mill)৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের অনেক বড় মাথা রয়েছে (Govt Fund Fraud)৷ জড়িত রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশও ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুস্তরিয়া গ্রামে বাঁকে বিহারি অ্যাগ্রোটেক প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি রাইস মিল রয়েছে ৷ এই মিল কর্তৃপক্ষ এ বার চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের হজতপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কুশিদার চাষিদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনার বরাত পায় ৷ সরকারের তরফে 13 হাজার কুইন্টাল ধান কেনার জন্য মিল কর্তৃপক্ষকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়া হয় ৷ পরিবর্তে সরকারের ঘরে চাল পৌঁছে দেওয়ার কথা মিল কর্তৃপক্ষের ৷ এই মিলের মালিকানা রয়েছে তিনজনের নামে ৷ সংগীতা আগরওয়াল, শীতল মোদি ও কিরণদেবী আগরওয়ালের নামেই মিলের যাবতীয় নথিপত্র ৷ জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সংগীতা আগওয়াল আর কিরণদেবী আগরওয়াল এই মিল শীতল মোদির নামে হস্তান্তর করেছেন ৷ কিন্তু হস্তান্তরের নথিপত্রের কাজ এখনও শেষ হয়নি ৷ এই পরিস্থিতিতে শীতল মোদির কাছের আত্মীয় বিজয় মোদি ওরফে বাবলু জাল নথিপত্রের মাধ্যমে মিল চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷

এ নিয়ে সিপিএমের স্থানীয় নেতা অনুপ আচার্য বলেন, “এই জালিয়াতির খবর আমাদের কাছেও আছে ৷ ওই মিল কর্তৃপক্ষ ধান কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা নিলেও সরকারকে চাল দিচ্ছে না ৷ এই সাহস ওরা কোথায় থেকে পায় ? এই ঘটনা একদিনে হয়নি ৷ দীর্ঘদিন ধরে হয়েছে ৷ কার মদতে সাড়ে চার কোটি টাকা জালিয়াতি হল, তা নিয়ে আমরা তদন্ত দাবি করছি ৷ এর সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনের একটা অংশ জড়িত ৷ নইলে এত বড় দুর্নীতি করা যায় না ৷ এখন ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই মিলে তালা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে ৷”

আরও পড়ুন: নেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য, জেলায় পোস্তচাষ বন্ধ করতে উদ্যোগী মালদা প্রশাসন

বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলছেন, “এই পদক্ষেপ করার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷ ওই মিল কর্তৃপক্ষ সরকারের কয়েক কোটি টাকা তছরূপ করেছে ৷ কিন্তু এর পিছনে মাথাগুলিকে ধরতে হবে প্রশাসনকে ৷ তবেই গোটা রহস্যের উন্মোচন হবে ৷ বিজেপি যে কোনও ভালো প্রশাসনিক কাজকে সাধুবাদ জানায় ৷”

এ নিয়ে তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর 1 (বি) সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি মানিক দাস বলেন, “সরকারি নির্দেশ না মেনে কেউ কাজ করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে ৷ এই মিল কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশ মেনে চাল সরবরাহ করত না ৷ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এ ক্ষেত্রে আইন নিজের ব্যবস্থা নেবে ৷ আমরাও দলগতভাবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব ৷ যদি এর পিছনে দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে দল ব্যবস্থা নেবে ৷ খাদ্য দফতরের কেউ যদি এর যুক্ত থাকেন, তবে আমরা সেটাও উপরমহলে জানাব ৷”

জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, ওই রাইস মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

সরকারি তহবিলের 4.5 কোটি টাকা প্রতারণা

মালদা, 16 ডিসেম্বর: সরকারের ঘর থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ কথা ছিল, চাষিদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ধান কিনে তার চাল সরকারের ঘরে পৌঁছে দেবেন মিল মালিক (Malda rice mill)৷ কিন্তু সরকারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরেও সরকারকে চাল দিচ্ছেন না মিল মালিক ৷ এর জেরে হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি রাইস মিলে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা (Food department locks Malda rice mill)৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের অনেক বড় মাথা রয়েছে (Govt Fund Fraud)৷ জড়িত রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশও ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুস্তরিয়া গ্রামে বাঁকে বিহারি অ্যাগ্রোটেক প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি রাইস মিল রয়েছে ৷ এই মিল কর্তৃপক্ষ এ বার চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের হজতপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কুশিদার চাষিদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনার বরাত পায় ৷ সরকারের তরফে 13 হাজার কুইন্টাল ধান কেনার জন্য মিল কর্তৃপক্ষকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়া হয় ৷ পরিবর্তে সরকারের ঘরে চাল পৌঁছে দেওয়ার কথা মিল কর্তৃপক্ষের ৷ এই মিলের মালিকানা রয়েছে তিনজনের নামে ৷ সংগীতা আগরওয়াল, শীতল মোদি ও কিরণদেবী আগরওয়ালের নামেই মিলের যাবতীয় নথিপত্র ৷ জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সংগীতা আগওয়াল আর কিরণদেবী আগরওয়াল এই মিল শীতল মোদির নামে হস্তান্তর করেছেন ৷ কিন্তু হস্তান্তরের নথিপত্রের কাজ এখনও শেষ হয়নি ৷ এই পরিস্থিতিতে শীতল মোদির কাছের আত্মীয় বিজয় মোদি ওরফে বাবলু জাল নথিপত্রের মাধ্যমে মিল চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷

এ নিয়ে সিপিএমের স্থানীয় নেতা অনুপ আচার্য বলেন, “এই জালিয়াতির খবর আমাদের কাছেও আছে ৷ ওই মিল কর্তৃপক্ষ ধান কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা নিলেও সরকারকে চাল দিচ্ছে না ৷ এই সাহস ওরা কোথায় থেকে পায় ? এই ঘটনা একদিনে হয়নি ৷ দীর্ঘদিন ধরে হয়েছে ৷ কার মদতে সাড়ে চার কোটি টাকা জালিয়াতি হল, তা নিয়ে আমরা তদন্ত দাবি করছি ৷ এর সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনের একটা অংশ জড়িত ৷ নইলে এত বড় দুর্নীতি করা যায় না ৷ এখন ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই মিলে তালা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে ৷”

আরও পড়ুন: নেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য, জেলায় পোস্তচাষ বন্ধ করতে উদ্যোগী মালদা প্রশাসন

বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলছেন, “এই পদক্ষেপ করার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷ ওই মিল কর্তৃপক্ষ সরকারের কয়েক কোটি টাকা তছরূপ করেছে ৷ কিন্তু এর পিছনে মাথাগুলিকে ধরতে হবে প্রশাসনকে ৷ তবেই গোটা রহস্যের উন্মোচন হবে ৷ বিজেপি যে কোনও ভালো প্রশাসনিক কাজকে সাধুবাদ জানায় ৷”

এ নিয়ে তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর 1 (বি) সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি মানিক দাস বলেন, “সরকারি নির্দেশ না মেনে কেউ কাজ করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে ৷ এই মিল কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশ মেনে চাল সরবরাহ করত না ৷ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এ ক্ষেত্রে আইন নিজের ব্যবস্থা নেবে ৷ আমরাও দলগতভাবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব ৷ যদি এর পিছনে দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে দল ব্যবস্থা নেবে ৷ খাদ্য দফতরের কেউ যদি এর যুক্ত থাকেন, তবে আমরা সেটাও উপরমহলে জানাব ৷”

জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, ওই রাইস মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

Last Updated : Dec 16, 2022, 9:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.