মালদা, 9 এপ্রিল: আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে নব্বই দশকের নিছকই কোনও সিমেনার গল্প ৷ আদতে তা নয়, সত্যি ঘটনা বটে ৷ গরিব মেয়ে হয়ে সভ্রান্ত পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন ফতেমা খাতুন ৷ তাই ফতেমার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার চালাত ৷ অবশেষে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের ৷ পাশে দাড়িয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও (Wife tortured for her father occupation) ৷
জানা গিয়েছে, মালদার মঙ্গলবাড়ির সামিন্ডাই এলাকার বাসিন্দা ফতেমা খাতুন ৷ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সম্পর্ক ছিল স্থানীয় খয়রাতি পাড়ার ওযুধ ব্যবসায়ী সালাম শেখের সঙ্গে । গত বছরের ৭ নভেম্বর সালাম আইনিভাবে ফতেমাকে বিয়ে করেন । কিন্তু বিয়ের পর নিজের বাড়িতে নয়, শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সালাম। এদিকে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য ফতেমা বারবার স্বামীকে বললেও সালাম সেকথা এড়িয়ে যান । তার পরেই গোল বাঁধে ৷
আরও পড়ুন : Hanging Body Recovered : উল্টোডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, সুইসাইড নোটে দায়ী স্বামীকে
শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বর মাসে ফতেমা স্বামীকে নিয়ে নিজেই শ্বশুরবাড়িতে যান। এরপরেই শুরু হয় তাঁর উপর অত্যাচার। ফতেমা বলেন, “শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পরেই অন্যদের সঙ্গে স্বামীও বলে, তুই গরিব ঘরের মেয়ে। তোকে মেরে ফেলব। তবু ঘরে রাখব না । আমাকে বেধড়ক মারধর করে। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসি । স্থানীয় মঙ্গলবাড়ি ফাঁড়ির সঙ্গে মালদা থানাতেও অভিযোগ দায়ের করি। সেই খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ তোলার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। অভিযোগ না তুললে পরিবারের সবাইকে খুন করার হুমকি দেয় ।‘‘
এপ্রসঙ্গেই মালদা থানার পুলিশ জানান, এই ঘটনায় সালাম শেখ, তার বাবা আবদুল শেখ, মা সেলিনা বিবি এবং ননদ সিমরন খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । কিন্তু তারা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি ।