মালদা, 10 জানুয়ারি: শীতের কাঁপুনি না-ধরলেও কুয়াশার দাপট আছে ৷ মাঝেমধ্যে কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত দৃশ্য়মানতা কম থাকছে ৷ এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মালদার আলুচাষিরা ৷ তবে আশার আলো প্রতিদিন অল্প হলেও রোদের দেখা মেলায় আলুতে ধসা রোগের আক্রমণ হয়নি এখনও পর্যন্ত ৷ তবে সমস্যা সৃষ্টি হতে কতক্ষণ ৷ বিশেষ করে ফলন ওঠার সময় হয়ে এসেছে ৷ আলুর কুইন্টাল প্রতি দাম নিয়ে শঙ্কায় তাঁরা ৷ তাই ধানের মতো সরকারও তাঁদের কাছ থেকে নায্যমূল্যে আলুও কিনে নিক ৷ তাতে আলুচাষিরা কিছুটা হলেও হয়ত বেঁচে যাবেন ৷ এমনই দাবি আলু চাষিদের ৷
পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের যদুপুর গ্রামের আলুচাষি রাজকুমার রাজবংশী ৷ এই বছর তিনি 12 বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছেন ৷ তিনি বলেন, "আবহাওয়া এখনও পর্যন্ত ভালোই আছে ৷ তবে ফলন কেমন হবে ৷ কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আলুচাষ করে আমাদের শুধু লোকসানই হচ্ছে ৷ দাম খুব কম পাওয়া যাচ্ছে ৷ একদিকে যেমন সারের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে, তেমনই বীজের দাম বাড়ছে ৷" তিনি আরও জানান, আলু বিক্রি করে কিলো প্রতি 4-5 টাকার বেশি দাম পাওয়া যায় না ৷ কিন্তু যখন বীজ কিনতে গেলে, 50 কিলো বীজ 1700 টাকা দামে কিনতে হয় ৷ ফলে চাষের পর লাভ খুব বেশি হয় না ৷ যাদের জমি আছে, তারা মূলত বিভিন্ন জায়গায় ঋণ নিয়ে আলুর চাষ করে ৷ এক বিঘা আলুর চাষ করতে 24-25 হাজার টাকা ৷ আর শ্রমিক নিয়োগ করে চাষ করলে সেই খরচ 30-32 হাজার টাকা হয়ে যায় ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি সহায়ক মূল্যে আলু কেনে তবে চাষিরা উপকৃত হবে ৷
আরও এক আলু চাষি ভিরাসু রাজবংশী বলেন, "এবার 10বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি ৷ চাষ করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে ৷ তবে আলুচাষ করে তেমন দাম পাচ্ছি না ৷ আমাদের 3-5 টাকা কিলো দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ৷ আমরা আলু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হলেও বীজ কেনার সময় অনেক বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ৷ আলুচাষিদের সমস্যা মেটাতে সরকারও কিছু করছে না ৷"
আরও পড়ুন: