মালদা, 3 মে : মালদা শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সে আপাতত থাকলেও আদি বাড়ি কালিয়াচক ৷ ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার সেখানেই নিয়ে আসা হয় সোমবার সন্ধেয় বহরমপুরে খুন হওয়া কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ ৷ মেয়ের নিথর দেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের বাকিরা ৷ মৃতার বাবা স্বাধীন চৌধুরীর কথায় সামনে আসে একাধিক তথ্য ৷ হাইমাদ্রাসার শিক্ষক স্বাধীনবাবুর কথায়, আগেও একাধিকবার অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর তরফে খুনের হুমকি এসেছিল মৃতা কলেজ পড়ুয়ার কাছে (Family of death college girl Sutapa said their daughter threatened to kill at past) ৷
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরেই সুতপাকে নানাভাবে উত্যক্ত করত সুশান্ত ৷ অষ্টম শ্রেণি থেকে একসঙ্গে প্রাইভেট টিউশন পড়ত সুতপা ও সুশান্ত। সেই থেকেই তাদের পরিচয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরবর্তীতে পরিণতি পায় প্রণয়ে ৷ তবে নেশায় আসক্ত সুশান্তর জীবনযাপন পছন্দ না-হওয়ায় সম্পর্ক থেকে সরে আসে সুতপা ৷ গত বছর দুর্গাপুজোর সময় রাতে মদ্যপ অবস্থায় এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাড়িতে গিয়ে সুতপাকে উত্যক্ত করেছিল সুশান্ত ৷
আরও পড়ুন : এখনও থমথমে বহরমপুরের গোরাবাজার, আতঙ্কে মেস ছাড়লেন বাকি ছাত্রীরা
স্থানীয় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষের উদ্যোগে দু'পক্ষের বিবাদ মেটানোর চেষ্টাও হয়েছিল ৷ যেহেতু দু'জনেই পড়ুয়া, তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কিন্তু ঘাতক সুশান্ত যে মনে মনে অন্য কিছুর পরিকল্পনা সাজাচ্ছিল, তা টের পায়নি কেউ ৷ মঙ্গলবার মৃত কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর নিয়ে আসা হয় কালিয়াচকের রাজনগরে। সুতপার বাবা সেখানে সাংবাদিকদের সামনে হত্যাকারীর কঠোর শাস্তির দাবি জানান।