ETV Bharat / state

Malda Labourer Death: হায়দরাবাদে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের

author img

By

Published : Nov 16, 2022, 5:31 PM IST

হায়দরাবাদে (Hyderabad) মাটি কাটার কাজে গিয়ে মালদার এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে (Malda Labourer Died) ৷ খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার ৷

Malda Labourer Death
Malda Labourer Death

মালদা, 16 নভেম্বর: একশো দিনের কাজ করেও টাকা মেলেনি ৷ পেরিয়ে গিয়েছে একটি বছর ৷ ঘরে অভাব নিত্যসঙ্গী ৷ পেটের তাগিদে গত বুধবারই মাটি কাটার কাজে হায়দরাবাদ (Hyderabad) গিয়েছিলেন পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিলপুর গ্রামের বাসিন্দা, 45 বছরের মনোজ আহেড়ি ৷ আজ তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরে এসেছে বাড়িতে ৷ তাঁর মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা (Family alleges murder as Malda Labourer died) ৷ তাঁদের দাবি, মনোজকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কাজ করতে যাওয়া এলাকার মানুষজনের একাংশই ৷

নিতান্তই নিম্নবিত্ত পরিবার মনোজের ৷ নিজে শ্রমিক, স্ত্রী-ও সময় সুযোগ পেলে মজুরের কাজ করেন ৷ ঘরে রয়েছে তিন সন্তান ৷ এলাকায় কাজ নেই ৷ কখনও কাজ জুটলেও সেভাবে মজুরি মেলে না ৷ জব কার্ড রয়েছে তাঁদের ৷ এক বছরেরও বেশি সময় আগে সেই কার্ডে কাজ পেয়েছিলেন ৷ পঞ্চায়েতের 100 দিন প্রকল্পে কাজও করেছিলেন ৷ কিন্তু সেই মজুরির টাকা আজও পাননি ৷

অবশ্য শুধু তিনিই নন, মন্দিলপুরের কেউই 100 দিনের কাজ করে টাকা পাননি ৷ সম্প্রতি ভিনরাজ্যে শ্রমিক পাঠানোর এক ঠিকাদার তাঁর কাছে হায়দরাবাদে মাটি কাটার কাজের হদিশ দেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজে রাজি হয়ে যান মনোজ ৷ ওই ঠিকাদার তাঁকে 10 হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত গত বুধবার এলাকারই প্রায় 40 জনের সঙ্গে হায়দরাবাদ পাড়ি দেন মনোজ ৷

গত শনিবারই মালদা থানার পুলিশ মনোজের বাড়িতে খবর দেয় ৷ হায়দরাবাদের রাস্তা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ ৷ দেহ সেখানকার হাসপাতালে রাখা রয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়িতে ফিরবে ৷ আজ মনোজের দেহ গ্রামে ফিরে আসে ৷

মনোজের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর সহকর্মীরা এক একবার একেক কথা বলছেন ৷ কখনও বলছেন, অসুস্থ হয়ে মনোজের মৃত্যু হয়েছে ৷ আবার কখনও বলছেন, তিনি ডেরায় ফেরার গাড়ি ধরতে পারেননি ৷ রাস্তায় কী হয়েছে, কারও জানা নেই ৷ কিন্তু পুলিশ খবর দেওয়ার আগে তাঁর মৃত্যুর কথা কেউ বাড়িতে জানাননি ৷ এতেই সন্দেহ বাড়ে তাঁর পরিবারের ৷

মনোজের বোন রায় বলেন, "ভালো লোক কাজে গিয়েছিল ৷ হায়দরাবাদ গিয়েই তিনি মারা গেলেন ৷ পুলিশ এসে বাড়িতে সেই খবর দেয় ৷ দাদার সঙ্গীরা কেউ কিছু বলেনি ৷ আজ দেহের গলায় আমরা সবাই ফাঁসের দাগ দেখেছি ৷ আমার দাদা অসুস্থ হয়ে মারা যাননি ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷"

হায়দরাবাদে মাটি কাটার কাজে গিয়ে মালদার এক শ্রমিকের মৃত্যু

আরও পড়ুন: মেরঠে টাওয়ার ধসে মৃত বাংলার 2 শ্রমিক, আহত আরও ছয়

একই কথা মনোজের শ্যালক রঞ্জন রায়ের ৷ তিনি বলেন, "জামাইবাবু সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় হায়দরাবাদে দাদন খাটতে গিয়েছিল ৷ শনিবার ওখানে রাস্তায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ৷ আমরা নিশ্চিত, জামাইবাবুকে খুন করা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে ৷"

মালদা, 16 নভেম্বর: একশো দিনের কাজ করেও টাকা মেলেনি ৷ পেরিয়ে গিয়েছে একটি বছর ৷ ঘরে অভাব নিত্যসঙ্গী ৷ পেটের তাগিদে গত বুধবারই মাটি কাটার কাজে হায়দরাবাদ (Hyderabad) গিয়েছিলেন পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিলপুর গ্রামের বাসিন্দা, 45 বছরের মনোজ আহেড়ি ৷ আজ তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরে এসেছে বাড়িতে ৷ তাঁর মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা (Family alleges murder as Malda Labourer died) ৷ তাঁদের দাবি, মনোজকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কাজ করতে যাওয়া এলাকার মানুষজনের একাংশই ৷

নিতান্তই নিম্নবিত্ত পরিবার মনোজের ৷ নিজে শ্রমিক, স্ত্রী-ও সময় সুযোগ পেলে মজুরের কাজ করেন ৷ ঘরে রয়েছে তিন সন্তান ৷ এলাকায় কাজ নেই ৷ কখনও কাজ জুটলেও সেভাবে মজুরি মেলে না ৷ জব কার্ড রয়েছে তাঁদের ৷ এক বছরেরও বেশি সময় আগে সেই কার্ডে কাজ পেয়েছিলেন ৷ পঞ্চায়েতের 100 দিন প্রকল্পে কাজও করেছিলেন ৷ কিন্তু সেই মজুরির টাকা আজও পাননি ৷

অবশ্য শুধু তিনিই নন, মন্দিলপুরের কেউই 100 দিনের কাজ করে টাকা পাননি ৷ সম্প্রতি ভিনরাজ্যে শ্রমিক পাঠানোর এক ঠিকাদার তাঁর কাছে হায়দরাবাদে মাটি কাটার কাজের হদিশ দেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজে রাজি হয়ে যান মনোজ ৷ ওই ঠিকাদার তাঁকে 10 হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত গত বুধবার এলাকারই প্রায় 40 জনের সঙ্গে হায়দরাবাদ পাড়ি দেন মনোজ ৷

গত শনিবারই মালদা থানার পুলিশ মনোজের বাড়িতে খবর দেয় ৷ হায়দরাবাদের রাস্তা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ ৷ দেহ সেখানকার হাসপাতালে রাখা রয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়িতে ফিরবে ৷ আজ মনোজের দেহ গ্রামে ফিরে আসে ৷

মনোজের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর সহকর্মীরা এক একবার একেক কথা বলছেন ৷ কখনও বলছেন, অসুস্থ হয়ে মনোজের মৃত্যু হয়েছে ৷ আবার কখনও বলছেন, তিনি ডেরায় ফেরার গাড়ি ধরতে পারেননি ৷ রাস্তায় কী হয়েছে, কারও জানা নেই ৷ কিন্তু পুলিশ খবর দেওয়ার আগে তাঁর মৃত্যুর কথা কেউ বাড়িতে জানাননি ৷ এতেই সন্দেহ বাড়ে তাঁর পরিবারের ৷

মনোজের বোন রায় বলেন, "ভালো লোক কাজে গিয়েছিল ৷ হায়দরাবাদ গিয়েই তিনি মারা গেলেন ৷ পুলিশ এসে বাড়িতে সেই খবর দেয় ৷ দাদার সঙ্গীরা কেউ কিছু বলেনি ৷ আজ দেহের গলায় আমরা সবাই ফাঁসের দাগ দেখেছি ৷ আমার দাদা অসুস্থ হয়ে মারা যাননি ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷"

হায়দরাবাদে মাটি কাটার কাজে গিয়ে মালদার এক শ্রমিকের মৃত্যু

আরও পড়ুন: মেরঠে টাওয়ার ধসে মৃত বাংলার 2 শ্রমিক, আহত আরও ছয়

একই কথা মনোজের শ্যালক রঞ্জন রায়ের ৷ তিনি বলেন, "জামাইবাবু সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় হায়দরাবাদে দাদন খাটতে গিয়েছিল ৷ শনিবার ওখানে রাস্তায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ৷ আমরা নিশ্চিত, জামাইবাবুকে খুন করা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.