মালদা, 22 অগস্ট: ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের । ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে ৷ যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, লিভারের কার্যক্ষমতা হারানোয় ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে । ছাত্রের ডেথ সার্টিফিকেটেও সেই কথার উল্লেখ রয়েছে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা শহরে ।
বিট্টুর ঠাকুরদা গণেশ ঘোষ বলেন, "আমার নাতি তিন চারদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল । নাতিকে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করেছিলাম । ডাক্তার বলেছিলেন ডেঙ্গি হয়েছে । ডেঙ্গির কারণেই নাতির মৃত্যু হয়েছে ।" এমএসভিপি পূরঞ্জয় সাহা বলেন, "ওই বাচ্চাটি জ্বর নিয়ে ভরতি হয়েছিল । রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ওই বাচ্চার সেপটিসেমিয়া ছিল, লিভার ফেল হয়ে গিয়েছিল । বাচ্চার ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হলেও আমরা শুধু সেপটিসেমিয়ার হদিশ পেয়েছি ।"
মৃত ছাত্রের নাম বিট্টু ঘোষ । বয়স 9 বছর । বাড়ি ইংরেজবাজারের গোপালপুর এলাকায় । বিট্টু গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চারদিন ধরে বিট্টু জ্বরে আক্রান্ত ছিল । সঙ্গে বমিও হচ্ছিল তার । কোনওমতেই জ্বর না কমায় অবশেষে সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিট্টুকে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করে পরিবারের লোকজন । শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাকে পিআইসিইউ ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয় । গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় বিট্টুর ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রোধে ছাত্রছাত্রীদের ফুলহাতা জামা-প্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়ার নির্দেশিকা কলকাতা পৌরনিগমের
বিট্টুর এক আত্মীয় অনিতা ঘোষ বলেন, "বিট্টুর বাবা-মা আমাকে ডেকে নিয়ে আসে । ওঁরা জানান বিট্টুর খুব জ্বর । মালদা মেডিক্যালে বিট্টুকে ভরতি করা হয়েছে । বিট্টুর ডেঙ্গি ধরা পড়েছে । রক্তের প্রয়োজন রয়েছে । আমাকে রক্তের জোগাড় করে দিতে বলেছিল । এমনটি প্রয়োজনে টাকা দিয়ে সাহায্য করার আবেদনও জানিয়েছিল । আমি নিজে ব্লাড ব্যাংকের সামনে দু'ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও রক্ত পাইনি । এরই মধ্যে বিট্টুর মৃত্যু হয় ।"