ETV Bharat / state

Fake Teacher Arrested: অবশেষে গ্রেফতার ভুয়ো শিক্ষক! আদালতের নির্দেশের পরই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি - Fake Primary Teacher

হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে ধৃত ভুয়ো শিক্ষক ৷ তৃণমূলের নেতাকে (TMC Leader) চার লাখের বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র পাওয়ার দাবি ৷ ওই ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতেই তিনি উধাও হয়ে যান ৷ অবশেষে বুধবার রাতে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷

Fake Teacher Arrested
ভুয়ো শিক্ষক
author img

By

Published : Jan 12, 2023, 7:14 PM IST

আদালতের নির্দেশের পরই উধাও ছিলেন ভুয়ো শিক্ষক

মালদা, 12 জানুয়ারি: শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হল ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষককে (Fake Primary Teacher) ৷ গ্রেফতার হওয়ার পর ওই শিক্ষক দাবি করেছেন, চার লাখ টাকা নিয়ে তাঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের এক নেতা ৷ ওই নেতাই তাঁকে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে জেলাজুড়ে ৷

ধৃত ভুয়ো শিক্ষকের নাম মহম্মদ মহসিন ৷ বয়স 32 বছর ৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের সুলতাননগর পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর গ্রামে ৷ 2017 সালের 16 মার্চ তিনি এলাকারই কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন ৷ 7-8 মাস ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেন ৷ এক মাসের বেতনও তোলেন ৷ কিন্তু সমস্ত নথিপত্র যাচাইয়ের সময় তাঁর নিয়োগপত্রটি যে জাল, তা ধরে ফেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর ৷ এরপরেই তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ বেতন পেতে 2019 সালে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন ৷

আদালত হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাছে মহসিনের তথ্য জানতে চায় ৷ সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতের তরফে মহসিনের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয় ৷ এক মাসের বেতন তাঁকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত ৷ একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়ে আদালতের তরফে ৷ কিন্তু তারপর থেকেই তিনি উধাও হয়ে যান ৷ অবশেষে বুধবার রাতে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷

বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে মহসিন জানান, আমি তৃণমূল করি ৷ প্রাইমারির চাকরি পাওয়ার জন্য 2017 সালে মোথাবাড়ির গিয়াসুদ্দিন শেখকে চার লাখ টাকা দিয়েছিলাম ৷ গিয়াসুদ্দিনও তৃণমূলের নেতা ৷ সে আমাকে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছিল ৷ একমাসের বেতন পেয়েছিলাম ৷ এরপর বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করি ৷ কিন্তু কোর্ট সেই মামলা খারিজ করে আমার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করে ৷ তাই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে ৷

আরও পড়ুন: আইএএস অফিসারের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আদায়, গ্রেফতার অভিযুক্ত

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ঘটনায় ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ এনিয়ে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালা বলেন, "সারা রাজ্যজুড়েই এখন ভুয়োর হাওয়া ৷ তৃণমূলের স্বজনপোষণে এই অবস্থা হয়েছে ৷ কোনওদিন দেখব, এই রাজ্যে ভুয়ো মুখ্যমন্ত্রীও তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ মহম্মদ মহসিন যখন ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে কাজে যোগ দিলেন, তখন প্রশাসন তাঁর নিয়োগপত্র পরীক্ষা করল না কেন? আসলে এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রশাসনও জড়িত ৷"

এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, "ভুয়ো শিক্ষককে গ্রেফতার করে প্রশাসন তো খুব ভালো কাজ করেছে ৷ কে কী অভিযোগ করল, কে কার কাছ থেকে টাকা নিল, সেসবের উত্তর তৃণমূল কেন দেবে? ঘটনাটা গোলমেলে ৷ তাছাড়া এই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন ৷ তাই এনিয়ে দলের কোনও বক্তব্য নেই ৷ আইন আইনের পথেই চলবে ৷"

আদালতের নির্দেশের পরই উধাও ছিলেন ভুয়ো শিক্ষক

মালদা, 12 জানুয়ারি: শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হল ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষককে (Fake Primary Teacher) ৷ গ্রেফতার হওয়ার পর ওই শিক্ষক দাবি করেছেন, চার লাখ টাকা নিয়ে তাঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের এক নেতা ৷ ওই নেতাই তাঁকে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে জেলাজুড়ে ৷

ধৃত ভুয়ো শিক্ষকের নাম মহম্মদ মহসিন ৷ বয়স 32 বছর ৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের সুলতাননগর পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর গ্রামে ৷ 2017 সালের 16 মার্চ তিনি এলাকারই কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন ৷ 7-8 মাস ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেন ৷ এক মাসের বেতনও তোলেন ৷ কিন্তু সমস্ত নথিপত্র যাচাইয়ের সময় তাঁর নিয়োগপত্রটি যে জাল, তা ধরে ফেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর ৷ এরপরেই তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ বেতন পেতে 2019 সালে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন ৷

আদালত হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাছে মহসিনের তথ্য জানতে চায় ৷ সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতের তরফে মহসিনের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয় ৷ এক মাসের বেতন তাঁকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত ৷ একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়ে আদালতের তরফে ৷ কিন্তু তারপর থেকেই তিনি উধাও হয়ে যান ৷ অবশেষে বুধবার রাতে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷

বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে মহসিন জানান, আমি তৃণমূল করি ৷ প্রাইমারির চাকরি পাওয়ার জন্য 2017 সালে মোথাবাড়ির গিয়াসুদ্দিন শেখকে চার লাখ টাকা দিয়েছিলাম ৷ গিয়াসুদ্দিনও তৃণমূলের নেতা ৷ সে আমাকে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছিল ৷ একমাসের বেতন পেয়েছিলাম ৷ এরপর বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করি ৷ কিন্তু কোর্ট সেই মামলা খারিজ করে আমার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করে ৷ তাই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে ৷

আরও পড়ুন: আইএএস অফিসারের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আদায়, গ্রেফতার অভিযুক্ত

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ঘটনায় ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ এনিয়ে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালা বলেন, "সারা রাজ্যজুড়েই এখন ভুয়োর হাওয়া ৷ তৃণমূলের স্বজনপোষণে এই অবস্থা হয়েছে ৷ কোনওদিন দেখব, এই রাজ্যে ভুয়ো মুখ্যমন্ত্রীও তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ মহম্মদ মহসিন যখন ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে কাজে যোগ দিলেন, তখন প্রশাসন তাঁর নিয়োগপত্র পরীক্ষা করল না কেন? আসলে এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রশাসনও জড়িত ৷"

এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, "ভুয়ো শিক্ষককে গ্রেফতার করে প্রশাসন তো খুব ভালো কাজ করেছে ৷ কে কী অভিযোগ করল, কে কার কাছ থেকে টাকা নিল, সেসবের উত্তর তৃণমূল কেন দেবে? ঘটনাটা গোলমেলে ৷ তাছাড়া এই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন ৷ তাই এনিয়ে দলের কোনও বক্তব্য নেই ৷ আইন আইনের পথেই চলবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.