ETV Bharat / state

পৌরসভার বৈঠক ডেকে অনুপস্থিত নীহাররঞ্জন, প্রশ্ন তুললেন কৃষ্ণেন্দু

বৈঠক ডেকে নিজেই অনুপস্থিত থাকলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ এরপরই বৈঠকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৷

পৌরসভার বৈঠক ডেকে অনুপস্থিত নীহাররঞ্জন, প্রশ্ন তুললেন কৃষ্ণেন্দু
author img

By

Published : Jul 28, 2019, 11:03 AM IST

মালদা, 28 জুলাই : বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডেকেছিলেন জরুরি বৈঠক ৷ কিন্তু, সেই বৈঠকে নিজেই অনুপস্থিত থাকলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ এরপরই বৈঠকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৷ শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় সভা ৷

18 জুলাই "জলই জীবন" শীর্ষক এক আলোচনাসভার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ সেই মতো গতকাল পৌরসভার সভাকক্ষে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৷ নির্দিষ্ট সময়েই সভাকক্ষে চলে আসেন একাধিক কাউন্সিলর সহ অন্যরা ৷ কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন খোদ নীহারবাবুই ৷ জানানো হয়, তিনি কলকাতায় গেছেন ৷ ফলে ভেস্তে যায় সভা ৷ এরপর সভার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি ৷

কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সিলরদের বৈঠকে ডাকেন চেয়ারম্যান ৷ আইনত বিজ্ঞপ্তি জারি করে চেয়ারম্যান কোনওদিন এমন সভা ডাকতে পারেন না ৷ একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৈঠক ডাকা যায় ৷ পৌর আইনের 51 নম্বর ধারায় বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, "পৌরসভার আধিকারিকরাও পৌর আইন জানেন না ৷ নিজে বৈঠক ডেকে চেয়ারম্যান কোথায় পালিয়েছেন, কেউ জানে না ৷ এই পৌরসভার কাজকর্মে সরকারের বদনাম হচ্ছে ৷ এর জন্যই গত নির্বাচনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ পৌরসভায় তোলাবাজি চলছে ৷"

যদিও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 15 থেকে 28 জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও ব্লকগুলিকে কিছু কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে ৷ সেই কর্মসূচিতেই পৌরসভায় "জলই জীবন" শীর্ষক এক আলোচনাসভা ডাকেন চেয়ারম্যান ৷ কিন্তু কোনও কারণে তিনি কলকাতায় থাকায় আজ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷"

তিনি আরও বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী কোনও বৈঠকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা CIC-র কোনও কাউন্সিলরকে বৈঠকের সভাপতিত্বের লিখিত অধিকার দেওয়া উচিত ৷ এই ক্ষেত্রে অবশ্য চেয়ারম্যান তেমন কোনও অধিকার কাউকে দেননি ৷ যাই হোক, বৈঠক হয়েছে ৷ তা ভেস্তে যায়নি ৷"

মালদা, 28 জুলাই : বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডেকেছিলেন জরুরি বৈঠক ৷ কিন্তু, সেই বৈঠকে নিজেই অনুপস্থিত থাকলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ এরপরই বৈঠকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৷ শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় সভা ৷

18 জুলাই "জলই জীবন" শীর্ষক এক আলোচনাসভার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ সেই মতো গতকাল পৌরসভার সভাকক্ষে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৷ নির্দিষ্ট সময়েই সভাকক্ষে চলে আসেন একাধিক কাউন্সিলর সহ অন্যরা ৷ কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন খোদ নীহারবাবুই ৷ জানানো হয়, তিনি কলকাতায় গেছেন ৷ ফলে ভেস্তে যায় সভা ৷ এরপর সভার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি ৷

কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সিলরদের বৈঠকে ডাকেন চেয়ারম্যান ৷ আইনত বিজ্ঞপ্তি জারি করে চেয়ারম্যান কোনওদিন এমন সভা ডাকতে পারেন না ৷ একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৈঠক ডাকা যায় ৷ পৌর আইনের 51 নম্বর ধারায় বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, "পৌরসভার আধিকারিকরাও পৌর আইন জানেন না ৷ নিজে বৈঠক ডেকে চেয়ারম্যান কোথায় পালিয়েছেন, কেউ জানে না ৷ এই পৌরসভার কাজকর্মে সরকারের বদনাম হচ্ছে ৷ এর জন্যই গত নির্বাচনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ পৌরসভায় তোলাবাজি চলছে ৷"

যদিও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 15 থেকে 28 জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও ব্লকগুলিকে কিছু কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে ৷ সেই কর্মসূচিতেই পৌরসভায় "জলই জীবন" শীর্ষক এক আলোচনাসভা ডাকেন চেয়ারম্যান ৷ কিন্তু কোনও কারণে তিনি কলকাতায় থাকায় আজ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷"

তিনি আরও বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী কোনও বৈঠকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা CIC-র কোনও কাউন্সিলরকে বৈঠকের সভাপতিত্বের লিখিত অধিকার দেওয়া উচিত ৷ এই ক্ষেত্রে অবশ্য চেয়ারম্যান তেমন কোনও অধিকার কাউকে দেননি ৷ যাই হোক, বৈঠক হয়েছে ৷ তা ভেস্তে যায়নি ৷"

Intro:মালদা, ২৭ জুলাই : রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জরুরি বৈঠক ডেকে নিজেই অনুপস্থিত থাকলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান৷ এনিয়ে আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠল পৌরসভার সভাকক্ষ৷ বৈঠকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান৷ যদিও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে এদিনের সভা ভেস্তে যায়৷Body:         গত ১৮ জুলাই পৌরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এবং পৌর এলাকার সব স্কুল-কলেজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের 'জলই জীবন' শীর্ষক এক আলোচনাসভার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ৷ আজ বেলা ৩টেয় পৌরসভার সভাকক্ষে সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ নির্দিষ্ট সময়েই সভাকক্ষে চলে আসেন একাধিক কাউন্সিলর সহ অন্যান্যরা৷ কিন্তু খোদ নীহারবাবুই ছিলেন অনুপস্থিত৷ তিনি কলকাতায় গেছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়৷ ফলে ভেস্তে যায় এই সভা৷ কিন্তু এই সভার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি৷
         কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, "চেয়ারম্যান বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সিলরদের আজকের বৈঠকে ডেকেছেন৷ আইনত বিজ্ঞপ্তি জারি করে চেয়ারম্যান কোনোদিন এমন সভা ডাকতে পারেন না৷ একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৈঠক ডাকা যায়৷ পৌর আইনের ৫১ ধারায় বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়েছে৷ ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি উনি এই পৌরসভায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ তাঁর আমলে মাত্র ৪ বার বৈঠক হয়েছে৷ তার মধ্যে একবার বাজেট বৈঠক হয়েছে৷ সেই বৈঠকেও আবার এমন একজনকে হাজির করানো হয়েছিল যাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল৷ নিয়ম অনুযায়ী, একমাত্র বৈধ কাউন্সিলররাই বাজেট বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন৷ লোকসভা ভোটের আগে পৌরসভায় বাজেট পেশ করা হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী, বাজেট পেশের দু'সপ্তাহের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাজেট আলোচনা সভা ডাকা হয়নি৷ ফলে সেই বাজেট অনুমোদনও পায়নি৷ পৌরসভার আধিকারিকরাও পৌর আইন জানেন না৷ নিজে বৈঠক ডেকে আজ চেয়ারম্যান কোথায় পালিয়েছেন, কেউ জানে না৷ এই পৌরসভার কাজকর্মে সরকারের বদনাম হচ্ছে৷ এর জন্যই গত নির্বাচনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ পৌরসভায় তোলাবাজি চলছে৷ ঠিকাদাররা এখানে আসতে ভয় পাচ্ছেন৷ ২০১৬ সালে পৌর এলাকায় মহানন্দা নদীর জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়৷ প্রকল্পের মূল কাজগুলি ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে৷ কিন্তু এখনও পৌর নাগরিকরা সেই জল পাচ্ছেন না৷ পাইপলাইন বসানোর কাজও শেষ হয়নি৷ ৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের খরচ এখন বেড়ে হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা৷ কবে সেই কাজ শেষ হবে, কেউ জানে না৷ এভাবেই চলছে বর্তমান পৌরবোর্ডের কাজকর্ম৷"Conclusion:         যদিও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৫ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও ব্লকগুলিকে কিছু কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে৷ সেই কর্মসূচিতেই আজ পৌরসভায় জলই জীবন শীর্ষক এক আলোচনাসভা ডাকেন চেয়ারম্যান৷ কিন্তু কোনও কারণবশত তিনি কলকাতায় থাকায় আজ তিনি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন৷ আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভূগর্ভস্থ জল কমে যাবে৷ সেই কারণে রাজ্য সরকার ভূপৃষ্ঠের জল ব্যবহার করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার করছে৷ আজ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এই সভার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ নিয়ম অনুযায়ী কোনও বৈঠকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা সিআইসি'র কোনও কাউন্সিলরকে তাঁর বৈঠক চালানোর লিখিত অধিকার দেওয়া উচিত৷ এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি তেমন অধিকার কাউকে দেননি৷ যাই হোক, আজকের বৈঠক আয়োজিত হয়েছে৷ তা ভেস্তে যায়নি৷"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.