মালদা, 28 জুলাই : বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডেকেছিলেন জরুরি বৈঠক ৷ কিন্তু, সেই বৈঠকে নিজেই অনুপস্থিত থাকলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ এরপরই বৈঠকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৷ শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় সভা ৷
18 জুলাই "জলই জীবন" শীর্ষক এক আলোচনাসভার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ সেই মতো গতকাল পৌরসভার সভাকক্ষে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৷ নির্দিষ্ট সময়েই সভাকক্ষে চলে আসেন একাধিক কাউন্সিলর সহ অন্যরা ৷ কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন খোদ নীহারবাবুই ৷ জানানো হয়, তিনি কলকাতায় গেছেন ৷ ফলে ভেস্তে যায় সভা ৷ এরপর সভার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি ৷
কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সিলরদের বৈঠকে ডাকেন চেয়ারম্যান ৷ আইনত বিজ্ঞপ্তি জারি করে চেয়ারম্যান কোনওদিন এমন সভা ডাকতে পারেন না ৷ একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৈঠক ডাকা যায় ৷ পৌর আইনের 51 নম্বর ধারায় বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, "পৌরসভার আধিকারিকরাও পৌর আইন জানেন না ৷ নিজে বৈঠক ডেকে চেয়ারম্যান কোথায় পালিয়েছেন, কেউ জানে না ৷ এই পৌরসভার কাজকর্মে সরকারের বদনাম হচ্ছে ৷ এর জন্যই গত নির্বাচনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ পৌরসভায় তোলাবাজি চলছে ৷"
যদিও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 15 থেকে 28 জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও ব্লকগুলিকে কিছু কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে ৷ সেই কর্মসূচিতেই পৌরসভায় "জলই জীবন" শীর্ষক এক আলোচনাসভা ডাকেন চেয়ারম্যান ৷ কিন্তু কোনও কারণে তিনি কলকাতায় থাকায় আজ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷"
তিনি আরও বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী কোনও বৈঠকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা CIC-র কোনও কাউন্সিলরকে বৈঠকের সভাপতিত্বের লিখিত অধিকার দেওয়া উচিত ৷ এই ক্ষেত্রে অবশ্য চেয়ারম্যান তেমন কোনও অধিকার কাউকে দেননি ৷ যাই হোক, বৈঠক হয়েছে ৷ তা ভেস্তে যায়নি ৷"