মালদা, 27 জুন: নতুন বোর্ড গঠনের এখনও তিন মাস হয়নি । এর মধ্যেই নিজস্ব তহবিলে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আয় করেছে ইংরেজবাজার পৌরসভার বর্তমান বোর্ড(English Bazar Municipality Incomes Four and a Half Crore in 3 Months)। একথা জানিয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী । তবে এই নিয়ে তিনি পূর্ববর্তী বোর্ডের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি । তাঁর নিশানায় যে পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ, তা বুঝতে কারও অসুবিধে হয়নি । এই নিয়ে ফের আলোড়ন পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে ।
গত 30 মার্চ ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে শপথ নিয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু । পৌরসভার এই মোটা অঙ্কের আয় প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকারের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, সমস্ত পৌরসভার নিজস্ব আয় বাড়াতে হবে । শুধুমাত্র সরকারের পাঠানো টাকার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না । এরপরেই আমরা পৌরসভার বিভিন্ন কর আদায়, মিউটেশন, বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রভৃতি বিষয়ের উপর নজর দিই । এতেই তিন মাসে আমাদের প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আয় হয়েছে । আগে এই শহরের নাগরিকরা ঠিকমতো পৌর পরিষেবা পেতেন না । তাই তাঁরা কর দিতে আগ্রহীও ছিলেন না । দায়িত্ব পাওযার পরেই আমি মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিই । রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা সব ঠিক করা হয়েছে । তাতেই মানুষ বুঝতে পেরেছেন, যাঁরা পৌরসভার দায়িত্বে এসেছেন, তাঁদের জন্য কর দেওয়া উচিত । তাই নাগরিকরা কর দিচ্ছেন । তবে আমি আগের বোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাই না । শুধু নিজেরা কী কাজ করছি, সেটাই বলব ।"
আরও পড়ুন : ইংরেজবাজার পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল 5 কোটি টাকা
এই মন্তব্যে কৃষ্ণেন্দুবাবুর নিশানায় যে পূর্বতন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ, তা বুঝতে কারও অসুবিধে হয়নি । জেলার রাজনীতিতে এই দু’জনের সাপে-নেউলে সম্পর্কের কথাও কারও অজানা নয় । নীহারবাবু এখন চাঁচলের বিধায়ক । এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি ।
তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল কৃষ্ণেন্দুবাবুর এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে । তাঁদের বক্তব্য, তিন মাসে সাড়ে চার কোটি আয় হলে বছরে পৌরসভার অন্তত 50 কোটি টাকা আয় হবে । এমন আয়ের স্বপ্ন বোধহয় কলকাতা কর্পোরেশনও দেখে না । আসলে নীহারবাবুর আমলের আয়কেই কৃষ্ণেন্দুবাবু নতুন করে দেখাচ্ছেন । তাঁদের প্রশ্ন, পৌরসভার যদি এতই আয় হয় তবে ক্যাজুয়াল কর্মীদের বেতন মাসের শেষে দেওয়া হচ্ছে কেন ? ঠিকাদাররা কেন বকেয়া বিল পাচ্ছেন না ? যদিও এনিয়ে কেউ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি ।
আরও পড়ুন : শহরের আবর্জনা ফেলে বিল ভরাটের অভিযোগ ! অস্বীকার পৌরসভার