ETV Bharat / state

জমি বিবাদ ঘিরে চলল গুলি, সংঘর্ষে আহত 5 - মালদার গোলাগুলির খবর

জমি দখলকে কেন্দ্র করে লকডাউনের মধ্যেও গুলি চলল চাঁচলে । আহতদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।

malda
মালদা
author img

By

Published : Apr 3, 2020, 3:44 PM IST

মালদা, 3 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যেও জমি বিবাদ ঘিরে চলল গুলি ৷ দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে পাঁচজন ৷ চাঁচল 2 ব্লকের মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালগঞ্জ গ্রামের ঘটনা ৷ আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । তবে খুব তাড়াতাড়ি অভিযোগ দায়ের হবে বলে জানা গেছে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, লালগঞ্জে বিঘা দেড়েক কৃষিজমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরে ৷ প্রায় ৫০ বছর আগে ওই জমিটি লালগঞ্জের বাসিন্দা সামশের আলিকে বিক্রি করে দেন হিরণ্ময় সান্যাল৷ হিরণ্ময়বাবুর বাড়ি মালতিপুর গ্রামে ৷ বর্তমানে তিনি কিংবা সামশের সাহেব, কেউই বেঁচে নেই ৷ সামশের সাহেবের দুই ছেলে কুতুবুদ্দিন আলি ও সেতাবুদ্দিন শেখ ওই জমিটি ভোগদখল করে আসছেন ৷ সমস্যা দেখা দেয় অন্য জায়গায় ৷ হিরণ্ময়বাবু জমিটি বিক্রি করলেও আইনিভাবে তার নথিপত্র সামশের সাহেবের নামে হয়নি ৷ ফলে এখনও জমিটি সরকারিভাবে হিরণ্ময়বাবুর নামেই থেকে গিয়েছে ৷ জানা গেছে এরই সুযোগ নেন হিরণ্ময়বাবুর ছেলে সুব্রত সান্যাল ওরফে লালটু ৷ সম্প্রতি তিনি জমিটির দখল নিতে তৎপর হয়ে ওঠেন ৷ ভালো অঙ্কের টাকার বিনিয়মে জমিটি পুনর্দখলের দায়িত্ব দেন লালগঞ্জেরই সফদর আলি নামে এক ব্যক্তিকে ৷

সফদর সাহেবের দুই ছেলে মিঠুন ও সাব্বির এই দায়িত্ব নেয় ৷ তারা এলাকায় গুণ্ডা হিসেবে পরিচিত ৷ তারা আবার সেই দায়িত্ব দেয় এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত যুবককে ৷ আজ সকালে জমিটি দখল করতে যায় মিঠুনরা ৷ সঙ্গে বোমা ও পিস্তল নিয়ে ঘটনাস্থানে যায় এলাকার দুষ্কৃতী আসরাফুল, সেন্টুসহ আরও অনেকে ৷ সেই সময় তাদের বাধা দিতে যান কুতুবুদ্দিন ও সেতাবুদ্দিন সাহেবের বাড়ির লোকজন ৷ তখনই আসরাফুলরা গুলি চালায় ৷ একটি গুলি কুতুবুদ্দিনের ছেলে আজ়াদ আলির ডান হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় ৷ সংঘর্ষে আহত হন আরও চারজন ৷ পরে এলাকার লোকজন এলে আসরাফুলরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ আহত পাঁচজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷

চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এদিকে ফোনে আজাদ আলি জানিয়েছেন, "ওই জমিটি 50 বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের পরিবার ভোগদখল করছে ৷ সম্প্রতি সুব্রত সান্যাল জমিটি দখল করার চেষ্টা করতে শুরু করেছেন ৷ আজ তাঁর ভাড়া করা দুষ্কৃতীরা জমিটি দখল করতে যায় ৷ বাধা দিলে হামলা চালায় ৷ গুলি করতে শুরু করে৷ সৌভাগ্যবশত আমরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছি৷ তবে দুষ্কৃতীদের হামলায় আমাদের পরিবারের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন৷ আমরা এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব ৷"

মালদা, 3 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যেও জমি বিবাদ ঘিরে চলল গুলি ৷ দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে পাঁচজন ৷ চাঁচল 2 ব্লকের মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালগঞ্জ গ্রামের ঘটনা ৷ আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । তবে খুব তাড়াতাড়ি অভিযোগ দায়ের হবে বলে জানা গেছে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, লালগঞ্জে বিঘা দেড়েক কৃষিজমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরে ৷ প্রায় ৫০ বছর আগে ওই জমিটি লালগঞ্জের বাসিন্দা সামশের আলিকে বিক্রি করে দেন হিরণ্ময় সান্যাল৷ হিরণ্ময়বাবুর বাড়ি মালতিপুর গ্রামে ৷ বর্তমানে তিনি কিংবা সামশের সাহেব, কেউই বেঁচে নেই ৷ সামশের সাহেবের দুই ছেলে কুতুবুদ্দিন আলি ও সেতাবুদ্দিন শেখ ওই জমিটি ভোগদখল করে আসছেন ৷ সমস্যা দেখা দেয় অন্য জায়গায় ৷ হিরণ্ময়বাবু জমিটি বিক্রি করলেও আইনিভাবে তার নথিপত্র সামশের সাহেবের নামে হয়নি ৷ ফলে এখনও জমিটি সরকারিভাবে হিরণ্ময়বাবুর নামেই থেকে গিয়েছে ৷ জানা গেছে এরই সুযোগ নেন হিরণ্ময়বাবুর ছেলে সুব্রত সান্যাল ওরফে লালটু ৷ সম্প্রতি তিনি জমিটির দখল নিতে তৎপর হয়ে ওঠেন ৷ ভালো অঙ্কের টাকার বিনিয়মে জমিটি পুনর্দখলের দায়িত্ব দেন লালগঞ্জেরই সফদর আলি নামে এক ব্যক্তিকে ৷

সফদর সাহেবের দুই ছেলে মিঠুন ও সাব্বির এই দায়িত্ব নেয় ৷ তারা এলাকায় গুণ্ডা হিসেবে পরিচিত ৷ তারা আবার সেই দায়িত্ব দেয় এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত যুবককে ৷ আজ সকালে জমিটি দখল করতে যায় মিঠুনরা ৷ সঙ্গে বোমা ও পিস্তল নিয়ে ঘটনাস্থানে যায় এলাকার দুষ্কৃতী আসরাফুল, সেন্টুসহ আরও অনেকে ৷ সেই সময় তাদের বাধা দিতে যান কুতুবুদ্দিন ও সেতাবুদ্দিন সাহেবের বাড়ির লোকজন ৷ তখনই আসরাফুলরা গুলি চালায় ৷ একটি গুলি কুতুবুদ্দিনের ছেলে আজ়াদ আলির ডান হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় ৷ সংঘর্ষে আহত হন আরও চারজন ৷ পরে এলাকার লোকজন এলে আসরাফুলরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ আহত পাঁচজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷

চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এদিকে ফোনে আজাদ আলি জানিয়েছেন, "ওই জমিটি 50 বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের পরিবার ভোগদখল করছে ৷ সম্প্রতি সুব্রত সান্যাল জমিটি দখল করার চেষ্টা করতে শুরু করেছেন ৷ আজ তাঁর ভাড়া করা দুষ্কৃতীরা জমিটি দখল করতে যায় ৷ বাধা দিলে হামলা চালায় ৷ গুলি করতে শুরু করে৷ সৌভাগ্যবশত আমরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছি৷ তবে দুষ্কৃতীদের হামলায় আমাদের পরিবারের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন৷ আমরা এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.