ETV Bharat / state

কনকনে শীতের দোসর ঘন কুয়াশা, আম গাছে মুকুল ধরতে দেরি; সমস্যায় কৃষকরা

Mango Cultivation: হঠাৎ আবাহওয়ার পরিবর্তন ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মালদার আম চাষ ৷ প্রবল ঠান্ডায় বন্ধ হয়েছ আম গাছের মুকুল ধরার পক্রিয়া ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 3, 2024, 6:39 AM IST

Updated : Jan 3, 2024, 9:14 AM IST

মালদা, 2 জানুয়ারি: রাতের তাপমাত্রা নেমে আসছে দুই অংকের নীচে ৷ কুয়াশার দাপটে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না ৷ সপ্তাহখানেক ধরে এমনই আবহাওয়া মালদায় ৷ এর ফলে এবার আমের মুকুল দেরিতে আসার আশঙ্কা করছেন চাষিরা ৷ একই আশঙ্কা উদ্যানপালন দফতরেরও ৷ অথচ এক সপ্তাহ আগেও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল ৷ 30 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল তাপমাত্রা ৷ কিছু প্রজাতির আম গাছে মুকুলও দেখা গিয়েছিল ৷ সেই গাছগুলিতেও মুকুল আর বেরোচ্ছে না ৷

গত বছর জেলায় আমের ব্যপক ফলন হয়েছিল ৷ সেই হিসেবে এবার আমের 'অফ ইয়ার' ৷ সাধারণত দেখা যায়, এক বছর ভালো উৎপাদন হলে পরের বছর ফলন অনেকটা কম হয় ৷ যদিও উদ্যানপালন দফতর ও সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারের গবেষণার কারণে 'অন আর অফ ইয়ারের' ফারাকটা অনেক কমে এসেছে ৷ প্রতি বছরই আমের উৎপাদন কমবেশি একইরকম হয় ৷ সাধারণত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন সময় আমের মুকুল বেরিয়ে আসে ৷ প্রতিটি গাছেই তিন দফায় মুকুল পাওয়া যায় ৷ এবার ডিসেম্বরের শেষেই লক্ষ্মণভোগ প্রজাতির গাছে মুকুল আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ৷ কিন্তু ঠাণ্ডা বেশি পড়তেই সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গেই পুরাতন মালদার আম চাষি নরেশ দাস বলেন, "বড়দিনের সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল ৷ তখনই আমার বাগানে লক্ষ্মণভোগ প্রজাতির গাছে মুকুল বেরোনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৷ মুকুল আগে বেরোলে ফলনও ভালো হয় ৷ কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে ৷ রাতের তাপমাত্রা 9 ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাচ্ছে ৷ দিনভর কুয়াশা থাকছে ৷ এই আবহাওয়ায় মুকুল বেরোবে না ৷ শীতের প্রকোপ দীর্ঘস্থায়ী হলে পরে বেরিয়ে আসা মুকুলের গোড়ার অংশ কালো হয়ে যাবে ৷ পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়বে ৷ এতে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷"

জেলা উদ্যানপালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক বলছেন, "আমের মুকুল বেরিয়ে আসার জন্য ন্যূনতম 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন ৷ কয়েকদিন আগে তাপমাত্রা এর থেকেও বেশি থাকায় কিছু প্রজাতির গাছে মুকুল বেরোনোর প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছিল ৷ কিন্তু এখন তাপমাত্রা অনেকটাই কম ৷ কুয়াশাও বেশ ভালো ৷ তাই মুকুল দেরিতে বেরোনোর সম্ভাবনা বেশি ৷ এতে আমের উৎপাদনে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় ৷"

আরও পড়ুন:

  1. এবার মরু শহরে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে দেখা যাবে মালদার আম
  2. স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তিতে 75 রকমের আম বিদেশে পাঠাবে বাংলা
  3. দর তলানিতে, বাজারও নেই; চাষিদের বাঁচাতে ভিনরাজ্যে আম রফতানি ব্যবসায়ীদের

মালদা, 2 জানুয়ারি: রাতের তাপমাত্রা নেমে আসছে দুই অংকের নীচে ৷ কুয়াশার দাপটে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না ৷ সপ্তাহখানেক ধরে এমনই আবহাওয়া মালদায় ৷ এর ফলে এবার আমের মুকুল দেরিতে আসার আশঙ্কা করছেন চাষিরা ৷ একই আশঙ্কা উদ্যানপালন দফতরেরও ৷ অথচ এক সপ্তাহ আগেও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল ৷ 30 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল তাপমাত্রা ৷ কিছু প্রজাতির আম গাছে মুকুলও দেখা গিয়েছিল ৷ সেই গাছগুলিতেও মুকুল আর বেরোচ্ছে না ৷

গত বছর জেলায় আমের ব্যপক ফলন হয়েছিল ৷ সেই হিসেবে এবার আমের 'অফ ইয়ার' ৷ সাধারণত দেখা যায়, এক বছর ভালো উৎপাদন হলে পরের বছর ফলন অনেকটা কম হয় ৷ যদিও উদ্যানপালন দফতর ও সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারের গবেষণার কারণে 'অন আর অফ ইয়ারের' ফারাকটা অনেক কমে এসেছে ৷ প্রতি বছরই আমের উৎপাদন কমবেশি একইরকম হয় ৷ সাধারণত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন সময় আমের মুকুল বেরিয়ে আসে ৷ প্রতিটি গাছেই তিন দফায় মুকুল পাওয়া যায় ৷ এবার ডিসেম্বরের শেষেই লক্ষ্মণভোগ প্রজাতির গাছে মুকুল আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ৷ কিন্তু ঠাণ্ডা বেশি পড়তেই সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গেই পুরাতন মালদার আম চাষি নরেশ দাস বলেন, "বড়দিনের সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল ৷ তখনই আমার বাগানে লক্ষ্মণভোগ প্রজাতির গাছে মুকুল বেরোনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৷ মুকুল আগে বেরোলে ফলনও ভালো হয় ৷ কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে ৷ রাতের তাপমাত্রা 9 ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাচ্ছে ৷ দিনভর কুয়াশা থাকছে ৷ এই আবহাওয়ায় মুকুল বেরোবে না ৷ শীতের প্রকোপ দীর্ঘস্থায়ী হলে পরে বেরিয়ে আসা মুকুলের গোড়ার অংশ কালো হয়ে যাবে ৷ পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়বে ৷ এতে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷"

জেলা উদ্যানপালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক বলছেন, "আমের মুকুল বেরিয়ে আসার জন্য ন্যূনতম 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন ৷ কয়েকদিন আগে তাপমাত্রা এর থেকেও বেশি থাকায় কিছু প্রজাতির গাছে মুকুল বেরোনোর প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছিল ৷ কিন্তু এখন তাপমাত্রা অনেকটাই কম ৷ কুয়াশাও বেশ ভালো ৷ তাই মুকুল দেরিতে বেরোনোর সম্ভাবনা বেশি ৷ এতে আমের উৎপাদনে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় ৷"

আরও পড়ুন:

  1. এবার মরু শহরে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে দেখা যাবে মালদার আম
  2. স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তিতে 75 রকমের আম বিদেশে পাঠাবে বাংলা
  3. দর তলানিতে, বাজারও নেই; চাষিদের বাঁচাতে ভিনরাজ্যে আম রফতানি ব্যবসায়ীদের
Last Updated : Jan 3, 2024, 9:14 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.