মালদা, 4 অগস্ট : করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আগে মালদা মেডিক্যালের মাদার ও চাইল্ড হাবের পরিকাঠামো ও পরিষেবা খতিয়ে দেখলেন স্বাস্থ্য ভবনের দুই কর্তা । এদিন প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মাতৃমা ভবনের সমস্ত ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন তাঁরা । পরিদর্শন শেষে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ৷
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ ৷ বিশ্বজুড়ে কার্যত ভেঙে পড়েছে ব্যবস্থাপনা । এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন । বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি । সেই মতো ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার । প্রতিটি জেলার মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে । মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও তৈরি করা হয়েছে পিআইসিইউ বেড । বসানো হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট ।
এদিন মালদা মেডিক্যালেও মাদার ও চাইল্ড হাব (মাতৃমা ভবন) পরিদর্শন করেন ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিস ভট্টাচার্য ও ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল হেলথ মিশন সৌমিত্র মোহন । উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার পূরঞ্জয় সাহা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা । সকাল দশটা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মাতৃমা ভবনের সমস্ত বিভাগ খতিয়ে দেখেন এই প্রতিনিধি দল । পরে মেডিক্যালের প্রশাসনিক ভবনে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা ।
ন্যাশনাল হেলথ মিশনের ডিরেক্টর সৌমিত্র মোহন বলেন, "গত 10 বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হয়েছে । এই পরিষেবা আরও উন্নত করতে আমরা জেলায় জেলায় যাচ্ছি । আজ আমরা মালদায় এসেছি । বিভিন্ন পরিষেবা আমরা খতিয়ে দেখেছি । এখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখে আমরা খুশি । চিকিৎসক-নার্সরা খুব সুন্দরভাবে কাজ করছেন । বিভিন্ন বিভাগ যেমন এসএনসিইউ আমরা পরিদর্শন করেছি । সেখানে সমস্ত কিছু নিয়মমাফিক হচ্ছে । আমরা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান-সহ বেশ কিছু ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করব । কিভাবে মেডিক্যালের পরিষেবা আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে মতের আদানপ্রদান হবে ।"
করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ অনেক আগে থেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে । গোটা রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালে পিআইসিইউ বেড এসএনসিইউ বেড, জেনারেল অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড তৈরি করা হয়েছে । রাজ্যে প্রায় 4 হাজার 600টি সিসিইউ-এসডিইউ বেড তৈরি করা হয়েছে । প্রায় 30 হাজার জেনারেল বেড তৈরি হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : Road Cracked : ৬ মাসেই ভাঙল রাস্তা, প্রতিবাদ করায় চোখ উপড়ে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল নেতার