মালদা, 9 জুলাই: মালদায় পঞ্চায়েত ভোটের বলি আরও এক ৷ ছাপ্পা ভোট রুখতে ও ব্যালট বাক্স লুট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যু হল তৃণমূল কর্মীর ৷ তাঁর নাম মতিউর রহমান ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁর বয়স 45 বছর ৷ এ নিয়ে মালদা জেলায় ভোটের হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই ৷ শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগরের কেবিসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বৈষ্ণবনগর জুড়ে ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটে মৃত হল 20 জনের ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মতিউর রহমানের বাড়ি বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুর এলাকার বড়োকামাতে ৷ তিনি পেশায় লরির চালক ছিলেন ৷ এলাকায় তিনি তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত ৷ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল কেবিসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ অভিযোগ, সেই সময় কংগ্রেসের লোকজন বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল ৷ সেই সময় তৃণমূলের লোকজন প্রতিবাদ করতে থাকেন ৷ এগিয়ে যান তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত মতিউর রহমানও ৷ অভিযোগ সেই সময় কংগ্রেসের লোকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ৷
বাধা দিতে গেলে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মতিউর রহমানের পেটে ছুরি মারে বলে অভিযোগ ৷ ওই ঘটনায় মোট 4 জন ছুরির আঘাতে আহত হন ৷ তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কর্তব্যরত চিকিৎসরা মতিউর রহমান মালদা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেন ৷ মালদা মেডিক্যাল নিয়ে আসা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বলি আরও এক, কুলতলিতে খুন তৃণমূল কর্মী
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কর্মী হাজিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, “গতকাল আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম ৷ দেখি কংগ্রেসের লোকজন গণ্ডগোল করছে ৷ আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে ৷ আমার কাকা তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ৷ কংগ্রেসকে ছাপ্পা মারতে দেখে আমার কাকা প্রতিবাদ করেন ৷ সেই সময় কংগ্রেসের লোকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ৷ আমি বাধা দিতে গেলে আমার হাতে চোট লাগে ৷ মতিউর রহমান নামে আমাদের এক কর্মীকে আঘাত করা হয় ৷ তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷”