ETV Bharat / state

হরিশ্চন্দ্রপুরের নিখোঁজ তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার বিহারে - বিহার থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার দেহ

মৃত নেতার পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসা সংক্রান্ত পুরোনো শত্রুতার জেরেই আনেসুর রহমানকে অপহরণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে । তাঁরা এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ।

তৃণমূল নেতার দেহ
তৃণমূল নেতার দেহ
author img

By

Published : Jul 24, 2021, 12:44 PM IST

মালদা, 24 জুলাই : নিখোঁজ হওয়ার ছ’দিন পর অবশেষে হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতার মৃতদেহ উদ্ধার হল বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকা থেকে । গতকাল বিকেলে ডালখোলা ও বারসই রেল স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় রেল লাইনের ধারে একটি গাছে ওই নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ । কাটিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আজ সকালে দেহটি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিছাপা গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে । এই খবর চাউর হতেই আজ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় । মৃত নেতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি একটি খুনের ঘটনা ।

মৃত নেতার নাম আনেসুর রহমান । বয়স 50 বছর । তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার তৃণমূলের কনভেনর । 18 জুলাই থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না । এলাকায় তাঁর একটি ইটভাটা রয়েছে । ভাটাতে যাবেন বলেই গত রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি । এনিয়ে 20 জুলাই তাঁর পরিবারের লোকজন ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরিবারের বক্তব্য ছিল, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়ে তাঁকে অপহরণ করা হতে পারে । আগে তিনি জমি কেনাবেচার ব্যবসাও করতেন । ফলে তাঁর শত্রু থাকা অসম্ভব নয় । শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বিহার পুলিশ ।


আনেসুর সাহেবের ভাই সাইদুর রহমান বলেন, “গতকাল বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আমরা জানতে পারি, দাদার দেহ বাংলা-বিহার সীমান্তের একটি জায়গায় রেল লাইনের ধারে গাছ থেকে ঝুলছে । এরপরই আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির সঙ্গে যোগাযোগ করি । তিনি বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানান, দেহটি কাটিহার মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে । আমরা সেখান থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছি । আমাদের ধারণা, ব্যবসা সংক্রান্ত পুরোনো শত্রুতার জেরেই দাদাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে । আমরা এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাইছি । পুলিশ খুনিদের ধরতে না পারলে আমরা সিবিআই তদন্তে দাবি জানাব । তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে আমরা মনে করছি না ।”


এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, “গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ মোবাইলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, আনেসুর রহমানের দেহ রেল লাইনের একটি কালভার্টের ধারে গাছ থেকে ঝুলছে । জায়গাটি বিহারের বলরামপুর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে । সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসিকে জানাই । তিনি এনিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের জানান, দেহটি কাটিহার মেডিক্যালে রয়েছে । এটা সম্পূর্ণ খুনের ঘটনা । যদি খুব দ্রুত দোষীরা ধরা না পড়ে তাহলে আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব । এই ঘটনার পিছনে বড় চক্র রয়েছে । সেটা ব্যবসা কিংবা রাজনৈতিক হতে পারে ।”

এই সংক্রান্ত খবর : 'ইটভাটায় যাচ্ছি' বলে বেরিয়ে নিখোঁজ তৃণমূল নেতা, অপহরণ ?

তৃণমূল নেতার অপহরণ ও খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরজুড়ে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । আনেসুর সাহেবের নিখোঁজের ঘটনায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল । প্রশ্ন উঠেছে, এনিয়ে এতদিন কেন সক্রিয় হল না স্থানীয় থানার পুলিশ । যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে । তাঁরা গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছেন ।

মালদা, 24 জুলাই : নিখোঁজ হওয়ার ছ’দিন পর অবশেষে হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতার মৃতদেহ উদ্ধার হল বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকা থেকে । গতকাল বিকেলে ডালখোলা ও বারসই রেল স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় রেল লাইনের ধারে একটি গাছে ওই নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ । কাটিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আজ সকালে দেহটি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিছাপা গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে । এই খবর চাউর হতেই আজ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় । মৃত নেতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি একটি খুনের ঘটনা ।

মৃত নেতার নাম আনেসুর রহমান । বয়স 50 বছর । তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার তৃণমূলের কনভেনর । 18 জুলাই থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না । এলাকায় তাঁর একটি ইটভাটা রয়েছে । ভাটাতে যাবেন বলেই গত রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি । এনিয়ে 20 জুলাই তাঁর পরিবারের লোকজন ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরিবারের বক্তব্য ছিল, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়ে তাঁকে অপহরণ করা হতে পারে । আগে তিনি জমি কেনাবেচার ব্যবসাও করতেন । ফলে তাঁর শত্রু থাকা অসম্ভব নয় । শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বিহার পুলিশ ।


আনেসুর সাহেবের ভাই সাইদুর রহমান বলেন, “গতকাল বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আমরা জানতে পারি, দাদার দেহ বাংলা-বিহার সীমান্তের একটি জায়গায় রেল লাইনের ধারে গাছ থেকে ঝুলছে । এরপরই আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির সঙ্গে যোগাযোগ করি । তিনি বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানান, দেহটি কাটিহার মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে । আমরা সেখান থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছি । আমাদের ধারণা, ব্যবসা সংক্রান্ত পুরোনো শত্রুতার জেরেই দাদাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে । আমরা এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাইছি । পুলিশ খুনিদের ধরতে না পারলে আমরা সিবিআই তদন্তে দাবি জানাব । তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে আমরা মনে করছি না ।”


এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, “গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ মোবাইলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, আনেসুর রহমানের দেহ রেল লাইনের একটি কালভার্টের ধারে গাছ থেকে ঝুলছে । জায়গাটি বিহারের বলরামপুর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে । সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসিকে জানাই । তিনি এনিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের জানান, দেহটি কাটিহার মেডিক্যালে রয়েছে । এটা সম্পূর্ণ খুনের ঘটনা । যদি খুব দ্রুত দোষীরা ধরা না পড়ে তাহলে আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব । এই ঘটনার পিছনে বড় চক্র রয়েছে । সেটা ব্যবসা কিংবা রাজনৈতিক হতে পারে ।”

এই সংক্রান্ত খবর : 'ইটভাটায় যাচ্ছি' বলে বেরিয়ে নিখোঁজ তৃণমূল নেতা, অপহরণ ?

তৃণমূল নেতার অপহরণ ও খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরজুড়ে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । আনেসুর সাহেবের নিখোঁজের ঘটনায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল । প্রশ্ন উঠেছে, এনিয়ে এতদিন কেন সক্রিয় হল না স্থানীয় থানার পুলিশ । যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে । তাঁরা গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.