মালদা, 16 জানুয়ারি: ফের খুনের অভিযোগ মালদায় ৷ মঙ্গলবার ভোর রাতে ইংরেজবাজার পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনি এলাকা থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা শহরে ৷ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷ পরিবারের অভিযোগ, নেশাখোর যুবকের দল এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ৷ চলতি শীতের মরশুমে একের পর এক খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
মৃত যুবকের নাম সঞ্জয় চৌহান (22) ৷ বাড়ি বালুরঘাটের কাদিপুর এলাকায় ৷ সঞ্জয়বাবু পেশায় টোটোচালক ৷ সঞ্জয়বাবু বিয়ের পর থেকে নেতাজি কলোনিতে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন ৷ গতকাল রাতে টোটো চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সঞ্জয়বাবু ৷ অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে কেউ বা কারা সঞ্জয়বাবুর ওপর হামলা চালায় ৷ ব্লেড দিয়ে শরীরে একাধিক অংশে কাটা হয় ৷ স্থানীয় লোকজন আজ, ভোরবেলা সঞ্জয়বাবুকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা সঞ্জয়বাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালের মর্গে পাঠিয়ে পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷
মৃতের এক আত্মীয় দেবাদিত্য রায় বলেন, "ভোরবেলায় বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম ৷ সেই সময় ওদের বাড়ি থেকে ফোন আসে ৷ ফোনে জানায়, সঞ্জয়ের গলা-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় ব্লেড দিয়ে কাটা দাগ রয়েছে ৷ গভীর রাতে পুলিশ কেসের ভয়ে হোক কিংবা নেশাখোরদের অত্যাচারের ভয়ে কেউ সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারেনি ৷ তড়িঘড়ি আমরা সঞ্জয়কে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসি ৷ চিকিৎসকরা সঞ্জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের এলাকায় পাতাখোরদের ব্যাপক অত্যাচার ৷ আমার অনুমান নেশাখোররা মারধর করে সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে হামলা চালায় ৷ শহরজুড়ে এভাবে একের পর খুনের ঘটনা ঘটছে ৷ পুলিশের উচিৎ সঠিক তদন্ত করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা ৷" উল্লেখ্য, গত 18 ডিসেম্বর ইংরেজবাজারের জোড়া দেহ উদ্ধার হয় ৷ 22 ডিসেম্বর ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড়ে ভরদুপুরে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ৷ 12 জানুয়ারি শহরের গয়েশপুর এলাকা থেকে যুবকের নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয় ৷ একের পর খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ যদিও সমস্ত ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন: