মালদা, 23 অক্টোবর : উচ্ছ্বাসের ঝড়ে উড়ে গেল কোরোনা বিধিনিষেধ ৷ ঠিক এই ভয় করছিলেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা ৷ আজ চাঁচলে সেই ছবি ধরা পড়েছে৷ সপ্তমীর সকালে রাজবাড়ি থেকে দেবী চণ্ডীকে পাহাড়পুর দুর্গামন্দিরে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে নামে কয়েকশো মানুষ ৷ এক লহমায় উড়ে যায় সামাজিক দূরত্ববিধি ৷ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষের প্রায় সবার মুখেই মাস্ক ছিল না ৷ কয়েকজনের মাস্ক ছিল থুতনিতে ৷ এই ঘটনায় পুলিশি ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে৷
মহাসপ্তমী তিথিতে মরা মহানন্দায় কলাবউ স্নান সারতেই চাঁচল রাজবাড়ি থেকে দুর্গামন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন অষ্টধাতুর দেবী চণ্ডী ৷ প্রায় 350 বছরের প্রাচীন রীতি মেনেই নিয়ে যাওয়া হয় দেবীকে । কয়েকশো মানুষ উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেবীকে পৌঁছে দেয় পাহাড়পুর দুর্গামন্দিরে ৷ আজ থেকে আগামী চারদিন সেখানেই থাকবে দেবী চণ্ডীর বিগ্রহ ৷ দশমী তিথিতে সেই বিগ্রহ ফের ফিরিয়ে আনা হবে রাজবাড়ির ঠাকুরবাড়িতে ৷
আজ সকালে দেবীকে পাহাড়পুর নিয়ে যান ঠাকুরবাড়ির নিত্যপূজারি ভোলানাথ পাণ্ডে সহ আরও অনেকে ৷ বিশাল শোভাযাত্রায় রাজবাড়ি থেকে হেঁটে সবাই তিন কিলোমিটার দূরে পাহাড়পুর দুর্গামন্দিরে উপস্থিত হতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে সবার ৷
প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী বিশেষজ্ঞরা কোরোনা আবহে পুজো নিয়ে সবাইকে সতর্ক করছেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজ শোভাযাত্রায় মানুষ যেন ভুলেই গিয়েছিলেন । কোরোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে নয় ।
বিশেষজ্ঞরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, উৎসব মরশুমে মানুষের বেপরোয়া মনোভাব কোরোনা সংক্রমণের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ আজ সকালে যে ছবি চাঁচলের রাস্তায় দেখা গিয়েছে । সেই আশঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে ৷ তবে আবেগের কাছে না কি কোথাও কোথাও পুলিশকেও হাত গুটিয়ে নিতে হয় ৷ এই মন্তব্য শোনা গিয়েছে পুলিশের একাংশের তরফেও ৷