ETV Bharat / state

ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মবিরতি মালদা মেডিকেলে - contactual cleaners on strike at Malda Medical College and Hospital from today

ছাঁটাই করা কর্মীদের পুনর্বহাল সহ আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করল মালদা মেডিকেলের অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা ৷ যার জেরে তৈরি হয়েছে পরিষেবায় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ৷

মালদা
মালদা
author img

By

Published : Oct 10, 2020, 4:48 PM IST

মালদা, ১০ অক্টোবর : আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করলেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা৷ আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা৷ আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জঞ্জালের স্তূপ জমতে শুরু করেছে৷ তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ ফলে এই আন্দোলন কখন শেষ হবে, তা সবার অজানা ৷ তবে সাফাইকর্মীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকলে মেডিকেলের চিকিৎসা পরিষেবা যে প্রভাবিত হবে, তা মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ৷

মালদা মেডিকেলে এই মুহূর্তে 238 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী কাজ করেন৷ তাঁদের কেউ 12 বছর, কেউ 15 বছর ধরে এখানে কাজ করছেন৷ প্রথম থেকেই তাঁরা ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন৷ সম্প্রতি ঠিকাদার সংস্থার পরিবর্তন হয়েছে৷ তারপরেই দেখা দিয়েছে সমস্যা৷ নতুন ঠিকাদার সংস্থা 50 জন সাফাইকর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছে৷ অবশ্য এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ৷ মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের সংখ্যা 188 জন স্থির করে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর৷ সাফাইকর্মীদের প্রত্যেকের জন্য পারিশ্রমিক বরাদ্দ দৈনিক 275 টাকা৷ এখানকার পুরোনো ঠিকাদার সংস্থা 188 জনের বদলে মেডিকেলে 238 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী নিয়োগ করে৷ 188 জনের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতি মাসে যত টাকা পাঠাত, সেই টাকা সমস্ত সাফাইকর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হত৷ অবশ্য তার মধ্যেও প্রত্যেক সাফাইকর্মীর কিছু টাকা নিজেদের কাছে রাখত ওই সংস্থা৷ নতুন সংস্থা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরোনো পথে চলতে রাজি হয়নি৷ তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা 188 জনকেই এখানে নিয়োগ করবে৷ প্রত্যেক সাফাইকর্মীকে সরকার নির্ধারিত দৈনিক 275 টাকা করে মজুরি দেবে৷ নতুন সংস্থাটি এখানে কর্মরত 238 জন সাফাইকর্মীর মধ্যে 50 জনকে ছাঁটাই করে দেয়৷ এই 50 জনকে নতুন নিয়োগ করা হয়েছিল৷ এরপর থেকেই ওই 50 জনকে পুনর্নিয়োগের দাবিতে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানিয়ে আসছে নর্থবেঙ্গল বাঁশফোর অ্যান্ড হরিজন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন৷ এনিয়ে সম্প্রতি তারা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষকে একটি ডেপুটেশনও দেয়৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেডিকেল কর্তৃপক্ষ এই সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ৷ সেকারণেই আজ নিজেদের কাজ বন্ধ করে দেন সাফাইকর্মীরা৷

ছাঁটাই করা কর্মীদের পুনর্বহাল সহ আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি

সংগঠনের মালদা জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ ডোম বলেন, "নতুন ঠিকাদার সংস্থা মেডিকেলে কর্মরত 50 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মীকে ছাঁটাই করে দেয়৷ ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা আমাদের সংগঠনকে এনিয়ে চিঠি দেয়৷ তাদের চিঠির ভিত্তিতে গত 6 অক্টোবর আমরা মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষকে একটি ডেপুটেশন দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করার আবেদন জানাই৷ তিনি জানান, 9 তারিখ তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করবেন৷ কিন্তু গতকাল আলোচনায় বসা হলেও তিনি এই সমস্যার সমাধান করেননি৷ উলটে তিনি বলেন, তাঁর জানা রয়েছে, এখানে মাত্র 188 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী কাজ করে৷ কোরোনা সংক্রমণের সময় সাফাইকর্মীদের যখন কোরোনা যোদ্ধা আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, যখন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাফাইকর্মীরা মালদা মেডিকেলে কাজ করে যাচ্ছেন, তখন এভাবে তাঁদের ছাঁটাই করা আমরা মানতে পারছি না৷ তাই আজ সমস্ত সাফাইকর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছে৷ এই সমস্যার সমাধান না হলে এই কর্মবিরতি জারি থাকবে৷ আমরা চাই না রোগীদের কোনও সমস্যা হোক৷ কিন্তু আমাদের এই আন্দোলনকে সবাই সমর্থন করছে৷" এদিকে এনিয়ে মেডিকেলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ ফোন ধরেননি মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ৷

মালদা, ১০ অক্টোবর : আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করলেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা৷ আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা৷ আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জঞ্জালের স্তূপ জমতে শুরু করেছে৷ তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ ফলে এই আন্দোলন কখন শেষ হবে, তা সবার অজানা ৷ তবে সাফাইকর্মীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকলে মেডিকেলের চিকিৎসা পরিষেবা যে প্রভাবিত হবে, তা মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ৷

মালদা মেডিকেলে এই মুহূর্তে 238 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী কাজ করেন৷ তাঁদের কেউ 12 বছর, কেউ 15 বছর ধরে এখানে কাজ করছেন৷ প্রথম থেকেই তাঁরা ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন৷ সম্প্রতি ঠিকাদার সংস্থার পরিবর্তন হয়েছে৷ তারপরেই দেখা দিয়েছে সমস্যা৷ নতুন ঠিকাদার সংস্থা 50 জন সাফাইকর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছে৷ অবশ্য এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ৷ মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের সংখ্যা 188 জন স্থির করে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর৷ সাফাইকর্মীদের প্রত্যেকের জন্য পারিশ্রমিক বরাদ্দ দৈনিক 275 টাকা৷ এখানকার পুরোনো ঠিকাদার সংস্থা 188 জনের বদলে মেডিকেলে 238 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী নিয়োগ করে৷ 188 জনের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতি মাসে যত টাকা পাঠাত, সেই টাকা সমস্ত সাফাইকর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হত৷ অবশ্য তার মধ্যেও প্রত্যেক সাফাইকর্মীর কিছু টাকা নিজেদের কাছে রাখত ওই সংস্থা৷ নতুন সংস্থা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরোনো পথে চলতে রাজি হয়নি৷ তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা 188 জনকেই এখানে নিয়োগ করবে৷ প্রত্যেক সাফাইকর্মীকে সরকার নির্ধারিত দৈনিক 275 টাকা করে মজুরি দেবে৷ নতুন সংস্থাটি এখানে কর্মরত 238 জন সাফাইকর্মীর মধ্যে 50 জনকে ছাঁটাই করে দেয়৷ এই 50 জনকে নতুন নিয়োগ করা হয়েছিল৷ এরপর থেকেই ওই 50 জনকে পুনর্নিয়োগের দাবিতে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানিয়ে আসছে নর্থবেঙ্গল বাঁশফোর অ্যান্ড হরিজন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন৷ এনিয়ে সম্প্রতি তারা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষকে একটি ডেপুটেশনও দেয়৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেডিকেল কর্তৃপক্ষ এই সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ৷ সেকারণেই আজ নিজেদের কাজ বন্ধ করে দেন সাফাইকর্মীরা৷

ছাঁটাই করা কর্মীদের পুনর্বহাল সহ আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি

সংগঠনের মালদা জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ ডোম বলেন, "নতুন ঠিকাদার সংস্থা মেডিকেলে কর্মরত 50 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মীকে ছাঁটাই করে দেয়৷ ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা আমাদের সংগঠনকে এনিয়ে চিঠি দেয়৷ তাদের চিঠির ভিত্তিতে গত 6 অক্টোবর আমরা মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষকে একটি ডেপুটেশন দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করার আবেদন জানাই৷ তিনি জানান, 9 তারিখ তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করবেন৷ কিন্তু গতকাল আলোচনায় বসা হলেও তিনি এই সমস্যার সমাধান করেননি৷ উলটে তিনি বলেন, তাঁর জানা রয়েছে, এখানে মাত্র 188 জন অস্থায়ী সাফাইকর্মী কাজ করে৷ কোরোনা সংক্রমণের সময় সাফাইকর্মীদের যখন কোরোনা যোদ্ধা আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, যখন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাফাইকর্মীরা মালদা মেডিকেলে কাজ করে যাচ্ছেন, তখন এভাবে তাঁদের ছাঁটাই করা আমরা মানতে পারছি না৷ তাই আজ সমস্ত সাফাইকর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছে৷ এই সমস্যার সমাধান না হলে এই কর্মবিরতি জারি থাকবে৷ আমরা চাই না রোগীদের কোনও সমস্যা হোক৷ কিন্তু আমাদের এই আন্দোলনকে সবাই সমর্থন করছে৷" এদিকে এনিয়ে মেডিকেলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ ফোন ধরেননি মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.