মালদা, 18 সেপ্টেম্বর: হাই মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচন (High Madrasah Election) ঘিরে উত্তেজনা চাঁচলে । নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূল কর্মীদের জমায়েতে বাধা দিলে পালটা তারা পুলিশের গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ । পুলিশ নিরাপদ না-থাকলে বিরোধী প্রার্থীদের কী হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তায় বিরোধী শিবির । সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হচ্ছে বলেই বিরোধীরা ভোটে দাঁড়াতে পারছে, দাবি জেলা তৃণমূল সভাপতির ।
রবিবার চাঁচল নয়াটুলির মহানন্দাপুর হাইমাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল । অভিযোগ, নির্বাচন চলাকালীন বুথের 100 মিটারের মধ্যে 144 ধারা জারি থাকলেও তৃণমূলকর্মীরা সেখানে জমায়েত শুরু করে । পুলিশ তৃণমূলকর্মীদের সরাতে গেলে বচসা সৃষ্টি হয় । পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের কর্মীরা বলেও অভিযোগ উঠেছে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি। নামানো হয় ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (ব়্যাফ) । তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে (Conflict over High Madrasah election in Malda) ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী । কংগ্রেসের চাঁচল-1 ব্লক সভাপতি আনজারুল হক বলেন, "তৃণমূলের আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী স্কুলের সামনে জমায়েত করে । এলাকায় 144 ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের সরাতে যায় । সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় । যেখানে তৃণমূলের লোকজন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছে, পুলিশের গায়ে হাত দিচ্ছে সেখানে বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে? আমরা প্রতিবাদের জন্য এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছি ।"
আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যুতে রহস্য, কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের আর্জি স্ত্রী'র
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই । এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয় । বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি । সবজায়গায় সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হচ্ছে বলেই বিরোধীরা ভোটে দাঁড়াতে পারছে ।"