ETV Bharat / state

জরুরি বিভাগেও হল না চিকিৎসা, মালদায় মৃত 3 বছরের শিশু

গোটা রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকের কর্মবিরতির জন্য সপ্তাহের শুরু থেকেই ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা । রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ । ফলে বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য ডাক্তাররা ।

মালদায় মৃত 3 বছরের শিশু
author img

By

Published : Jun 17, 2019, 7:18 PM IST

Updated : Jun 17, 2019, 7:28 PM IST


মালদা, 17 জুন : সাপে কেটে মৃত্যু হল বছর তিনেকের শিশুর । নাম ইন্দ্রজিৎ ঘোষ । পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ির সারদা পল্লির ঘটনা । মৃত শিশুর বাবার অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যু হয় তার । আজ দুপুরে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়েন ।

গোটা রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকের কর্মবিরতির জন্য সপ্তাহের শুরু থেকেই ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা । রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ । ফলে বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্য ডাক্তাররা ।

ইন্দ্রজিতের বাবা শিবু ঘোষ জানিয়েছেন, আজ সকালে বারান্দায় খেলছিল ইন্দ্র । সেখানেই সবার অলক্ষ্যে ইন্দ্রকে ছোবল মারে একটি সাপ । এরপর সে অজ্ঞান হয়ে যায় । মুখ থেকে গ্যাঁজাল বেরোতে শুরু করে । তখনই তারা দেখতে পারে সাপের কামড়ের চিহ্ন । তৎক্ষণাৎ তাকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় । সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু জরুরি বিভাগে দু'ঘণ্টা ছটফট করে কিন্তু কোনও চিকিৎসক ছিল না । এরপর এক ঘণ্টা পরে শিশুটি মারা যায় । এরপর দুপুর 12 টা নাগাদ চিকিৎসক ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।

দেখুন ভিডিয়ো

মালদার মালঞ্চপল্লির বাসিন্দা কুরবান শেখ বলেন, "সকাল 10 টার সময় বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও চিকিৎসক জরুরি বিভাগে ছিল না ৷ ঘণ্টাখানেক পর শিশুটি মারা যায় ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে ৷ জুনিয়রদের উপর দায়িত্ব দিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররা চেম্বার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন ৷ চিকিৎসা না পেয়েই শিশুটি মারা গেছে ৷"

ইন্দ্রজিতের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে মালদা মেডিকেল চত্বরে । NRS হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগে যে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে তার মাশুল গুনতে হচ্চে রাজ্যবাসীকে । যে ডাক্তারা রোগীদের কাছে সেভিয়ার বলে পরিচিত তারাই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছেন বলেই মত রোগীর পরিবারের । যদিও এ বিষয়ে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি ।


মালদা, 17 জুন : সাপে কেটে মৃত্যু হল বছর তিনেকের শিশুর । নাম ইন্দ্রজিৎ ঘোষ । পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ির সারদা পল্লির ঘটনা । মৃত শিশুর বাবার অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যু হয় তার । আজ দুপুরে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়েন ।

গোটা রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকের কর্মবিরতির জন্য সপ্তাহের শুরু থেকেই ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা । রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ । ফলে বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্য ডাক্তাররা ।

ইন্দ্রজিতের বাবা শিবু ঘোষ জানিয়েছেন, আজ সকালে বারান্দায় খেলছিল ইন্দ্র । সেখানেই সবার অলক্ষ্যে ইন্দ্রকে ছোবল মারে একটি সাপ । এরপর সে অজ্ঞান হয়ে যায় । মুখ থেকে গ্যাঁজাল বেরোতে শুরু করে । তখনই তারা দেখতে পারে সাপের কামড়ের চিহ্ন । তৎক্ষণাৎ তাকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় । সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু জরুরি বিভাগে দু'ঘণ্টা ছটফট করে কিন্তু কোনও চিকিৎসক ছিল না । এরপর এক ঘণ্টা পরে শিশুটি মারা যায় । এরপর দুপুর 12 টা নাগাদ চিকিৎসক ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।

দেখুন ভিডিয়ো

মালদার মালঞ্চপল্লির বাসিন্দা কুরবান শেখ বলেন, "সকাল 10 টার সময় বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও চিকিৎসক জরুরি বিভাগে ছিল না ৷ ঘণ্টাখানেক পর শিশুটি মারা যায় ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে ৷ জুনিয়রদের উপর দায়িত্ব দিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররা চেম্বার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন ৷ চিকিৎসা না পেয়েই শিশুটি মারা গেছে ৷"

ইন্দ্রজিতের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে মালদা মেডিকেল চত্বরে । NRS হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগে যে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে তার মাশুল গুনতে হচ্চে রাজ্যবাসীকে । যে ডাক্তারা রোগীদের কাছে সেভিয়ার বলে পরিচিত তারাই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছেন বলেই মত রোগীর পরিবারের । যদিও এ বিষয়ে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি ।

Intro:মালদা, ১৭ জুন : মর্মান্তিক৷ সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হল সর্পাহত এক শিশুর৷ তেমনটাই অভিযোগ মৃত শিশুর বাবার৷ আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে৷ এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন উপস্থিত মানুষজন৷ যদিও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের৷Body:         জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা কর্মবিরতিতে গোটা রাজ্য জুড়েই নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের৷ রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় বন্ধ৷ আজ মালদা শহরের নার্সিং হোমগুলিতেও চিকিৎসা বন্ধ রেখে NRS ইশ্যুতে জুনিয়রদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও আজ ব্যহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা৷ তারই খেসারত দিতে হল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি সারদা পল্লির ৩ বছরের শিশু ইন্দ্রজিৎ ঘোষকে৷ সর্পাহত ইন্দ্রজিৎ মালদা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে প্রায় দু'ঘণ্টা ছটফট করলেও তার চিকিৎসায় কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ৷ তার মৃত্যুতে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল জুড়ে৷ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আড়াল হয়ে যান নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকি সিনিয়র ডাক্তাররাও৷ যদিও হাসপাতাল চত্বরে থাকা পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতে ক্ষোভের বারুদে বিস্ফোরণ ঘটেনি৷
         ইন্দ্রজিতের বাবা শিবু ঘোষ জানিয়েছেন, "আজ সকালে বাড়ির বারান্দায় খেলছিল তাঁর ছেলে৷ সেখানেই ছিল এক বিষধর সাপ৷ সবার অলক্ষ্যে ইন্দ্রজিৎ সেই সাপের গায়ে হাত দিয়ে দেয়৷ সঙ্গে সঙ্গে ছোবল মারে সাপটি৷ ছোবল মেরেই সেটা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ ইন্দ্রজিৎ অজ্ঞান হয়ে যায়৷ তার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করে৷ তখনই তাঁদের নজরে আসে, তার হাতে সাপের কামড়ের চিহ্ন৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছেলেকে স্থানীয় মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান৷ সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে আসেন৷ কিন্তু সকাল ১০টায় জরুরি বিভাগে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না৷ শেষ পর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ এক চিকিৎসক এসে ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ কোনও চিকিৎসা না পেয়েই মারা গেল আমার ছেলে৷" মালদা শহরের মালঞ্চপল্লির বাসিন্দা কুরবান শেখ বলেন, "সকাল ১০টার সময় বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও চিকিৎসক জরুরি বিভাগে ছিল না৷ ঘণ্টাখানেক পর বাচ্চাটা মারা যায়৷ এখানে দীর্ঘদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে৷ জুনিয়রদের উপর দায়িত্ব দিয়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা চেম্বার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন৷ আজ চিকিৎসা না পেয়েই বাচ্চাটা মারা গেছে৷"
Conclusion:         ইন্দ্রজিতের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে মালদা মেডিকেল চত্বরে৷ NRS মেডিকেলে যে ঘটনা ঘটেছে তার মাশুল গুনতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে৷ আজ ইন্দ্রজিৎ তার বলি৷ কেন এমন হবে? যে চিকিৎসকরা নিজেদের 'সেভিয়ার' বলে বর্ণনা করেন, তাঁদের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ কেন হবে? রাজ্য সরকারের সঙ্গে চিকিৎসকদের দড়ি টানাটানি আর কতজনের জীবন কাড়বে? ইন্দ্রজিতের মৃত্যু নিয়ে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি৷
Last Updated : Jun 17, 2019, 7:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.