ETV Bharat / state

Gangrape in Classroom: ক্লাসরুমেই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত

মালদায় স্কুলের মধ্যেই গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা (Gangrape in Malda) ৷ মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ ৷ এর মধ্যে একজন নির্যাতিতার সহপাঠীর দাদা ৷

Etv Bharat
ক্লাসরুমে বহিরাগতদের লালসার শিকার নাবালিকা
author img

By

Published : Mar 20, 2023, 9:14 PM IST

মালদা, 20 মার্চ: 37 জন ছাত্রীর জন্য বরাদ্দ একজন মাত্র শিক্ষক ৷ অসুস্থতার জন্য শনিবার তিনি আসতে পারেননি স্কুলে ৷ আর সে সুযোগেই ঘটে গেল এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ৷ শিক্ষক অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করল বহিরাগত একাধিক যুবক (Class six girl gangraped by outsiders in classroom in Malda) ৷ নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ (Police arrests three accused) ৷ জেলা আদালতের নির্দেশে সোমবার ধৃতদের 10 দিনের হেফাজতেও নিয়েছে পুলিশ ৷

বর্বরোচিত এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গাজোলের এক জুনিয়র হাইস্কুল ৷ অভিযোগ গত কয়েকদিনের মত শনিবারও অসুস্থতার কারণে স্কুলে হাজির থাকতে পারেননি একমাত্র শিক্ষক ৷ ফলত স্কুলে এদিন উপস্থিতির হারও ছিল বেশ কম ৷ পঠনপাঠন না-হওয়ায় মিড-ডে মিল খেয়েই বাড়ি চলে যায় ছাত্রীরা ৷ রয়ে গিয়েছিল লালসার শিকার হওয়া ওই নাবালিকা পড়ুয়া এবং তার এক বান্ধবী ৷ এমন সময় স্কুলে ঢোকে বহিরাগত তিন যুবক ৷ দুই ছাত্রীকেই তারা টেনে হিঁচড়ে দোতলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন কোনওমতে পালিয়ে যায় ৷ অন্যজন পালাতে না-পারায় তিন যুবকের লালসার শিকার হতে হয় তাকে ৷

পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীটি নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে সমস্ত কথা জানালে তৎক্ষণাৎ স্কুলে পৌঁছে যান নির্যাতিতা নাবালিকার মা ৷ কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে ৷ মা গিয়ে দেখেন দোতলার স্কুলঘরে বসে কাঁদছে তাঁর ছোট্ট মেয়েটি ৷ জানা গিয়েছে, এই দুষ্কর্মে লিপ্ত ছিল নির্যাতিতার এক সহপাঠীর দাদাও ৷ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার মা ৷

নির্যাতিতার মা বলছেন, "ঘটনার জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ সেদিন খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে গিয়ে দেখি দোতলার ঘরে বসে মেয়ে কাঁদছে ৷ অনেক জিজ্ঞাসা করলেও সে কিছু জানায়নি ৷ মেয়েকে নিয়ে আমি স্কুলের পাশে থাকা প্রাথমিক স্কুলে যাই ৷ কিন্তু সেখানকার শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, অন্য স্কুলে ঘটনার দায় তাঁরা নিতে পারবেন না ৷ বাড়ি ফেরার পর মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে ৷ এরপরই গতকাল (রবিবার) গাজোল থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে ৷ পুলিশের তরফে আজ আমার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন শ্লীলতাহানি, অবসাদে 'আত্মঘাতী' ছাত্রী

অন্যদিকে হাইস্কুলটির দায়িত্বে থাকা শিক্ষক দাবি করেছেন, অসুস্থতার জন্য শনিবার থেকেই তিনি স্কুল যেতে পারছেন না ৷ তাঁর অবর্তমানে ছাত্রীরা যাতে মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য পাশের প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে স্কুলের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ তিনি বলেন, "ঘটনাটি আমার কানে এসেছে ৷ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি ৷" ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই রবিবার রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গাজোল থানার পুলিশ ৷ 14 দিনের হেফাজত চাওয়া হলেও বিচারক ধৃতদের 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷

মালদা, 20 মার্চ: 37 জন ছাত্রীর জন্য বরাদ্দ একজন মাত্র শিক্ষক ৷ অসুস্থতার জন্য শনিবার তিনি আসতে পারেননি স্কুলে ৷ আর সে সুযোগেই ঘটে গেল এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ৷ শিক্ষক অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করল বহিরাগত একাধিক যুবক (Class six girl gangraped by outsiders in classroom in Malda) ৷ নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ (Police arrests three accused) ৷ জেলা আদালতের নির্দেশে সোমবার ধৃতদের 10 দিনের হেফাজতেও নিয়েছে পুলিশ ৷

বর্বরোচিত এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গাজোলের এক জুনিয়র হাইস্কুল ৷ অভিযোগ গত কয়েকদিনের মত শনিবারও অসুস্থতার কারণে স্কুলে হাজির থাকতে পারেননি একমাত্র শিক্ষক ৷ ফলত স্কুলে এদিন উপস্থিতির হারও ছিল বেশ কম ৷ পঠনপাঠন না-হওয়ায় মিড-ডে মিল খেয়েই বাড়ি চলে যায় ছাত্রীরা ৷ রয়ে গিয়েছিল লালসার শিকার হওয়া ওই নাবালিকা পড়ুয়া এবং তার এক বান্ধবী ৷ এমন সময় স্কুলে ঢোকে বহিরাগত তিন যুবক ৷ দুই ছাত্রীকেই তারা টেনে হিঁচড়ে দোতলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন কোনওমতে পালিয়ে যায় ৷ অন্যজন পালাতে না-পারায় তিন যুবকের লালসার শিকার হতে হয় তাকে ৷

পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীটি নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে সমস্ত কথা জানালে তৎক্ষণাৎ স্কুলে পৌঁছে যান নির্যাতিতা নাবালিকার মা ৷ কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে ৷ মা গিয়ে দেখেন দোতলার স্কুলঘরে বসে কাঁদছে তাঁর ছোট্ট মেয়েটি ৷ জানা গিয়েছে, এই দুষ্কর্মে লিপ্ত ছিল নির্যাতিতার এক সহপাঠীর দাদাও ৷ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার মা ৷

নির্যাতিতার মা বলছেন, "ঘটনার জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ সেদিন খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে গিয়ে দেখি দোতলার ঘরে বসে মেয়ে কাঁদছে ৷ অনেক জিজ্ঞাসা করলেও সে কিছু জানায়নি ৷ মেয়েকে নিয়ে আমি স্কুলের পাশে থাকা প্রাথমিক স্কুলে যাই ৷ কিন্তু সেখানকার শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, অন্য স্কুলে ঘটনার দায় তাঁরা নিতে পারবেন না ৷ বাড়ি ফেরার পর মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে ৷ এরপরই গতকাল (রবিবার) গাজোল থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে ৷ পুলিশের তরফে আজ আমার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন শ্লীলতাহানি, অবসাদে 'আত্মঘাতী' ছাত্রী

অন্যদিকে হাইস্কুলটির দায়িত্বে থাকা শিক্ষক দাবি করেছেন, অসুস্থতার জন্য শনিবার থেকেই তিনি স্কুল যেতে পারছেন না ৷ তাঁর অবর্তমানে ছাত্রীরা যাতে মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য পাশের প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে স্কুলের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ তিনি বলেন, "ঘটনাটি আমার কানে এসেছে ৷ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি ৷" ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই রবিবার রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গাজোল থানার পুলিশ ৷ 14 দিনের হেফাজত চাওয়া হলেও বিচারক ধৃতদের 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.