ETV Bharat / state

নকলের দাবি না মানায় শিক্ষকদের উপর হামলা, খাতা লুটের চেষ্টা - teacher

পরীক্ষার হলে সিট নম্বর অনুযায়ী নয়, পরীক্ষার্থীদের নিজেদের ইচ্ছেমতো বসতে দিতে হবে। করতে দিতে হবে নকলও। পরীক্ষার্থীদের এই আবদার স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেননি শিক্ষকরা। তার জেরে পরীক্ষা শেষের পর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পুরোনো মালদার সাহাপুর হাইস্কুল।

মালদার সাহাপুর হাইস্কুল
author img

By

Published : Mar 5, 2019, 7:17 PM IST

মালদা, ৫ মার্চ : পরীক্ষার হলে সিট নম্বর অনুযায়ী নয়, পরীক্ষার্থীদের নিজেদের ইচ্ছেমতো বসতে দিতে হবে। করতে দিতে হবে নকলও। পরীক্ষার্থীদের এই আবদার স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেননি শিক্ষকরা। তার জেরে পরীক্ষা শেষের পর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পুরোনো মালদার সাহাপুর হাইস্কুল। পরীক্ষার্থীরা স্কুল চত্বরে তাণ্ডব চালালেও প্রথমদিকে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। পরীক্ষার খাতা লুটেরও চেষ্টা করে। সেই ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। পরে আরও পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে স্কুলে যান মালদার BDO জয়িতা খাটুয়া ও মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা। এই ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা।

আজ উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্ক ও ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। সাহাপুর হাইস্কুলে এবার সিট পড়েছে স্থানীয় ওসমানিয়া হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের। ওই মাদ্রাসা থেকে বেশ কিছু বহিরাগত পরীক্ষার্থীও পরীক্ষা দিয়েছে। বহিরাগতদের মধ্যে রয়েছে কালিয়াচকের একটি মিশনের পরীক্ষার্থীরাও। আজ তারাই পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলায় জখম হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক।

সাহাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, "পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই পরীক্ষার্থীরা ঝামেলা শুরু করে। তাদের নির্দিষ্ট সিট নম্বর অনুযায়ী বসতে বলা হলে তারা রাজি হয়নি। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো বসার চেষ্টা করেছিল। বাধা দেওয়ায় পরীক্ষা শেষের পর তারা শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। সেই সময় স্কুলে পুলিশ ছিল। এরপর কিছু ছাত্র পরীক্ষার খাতা লুটের চেষ্টা করে। পরীক্ষার্থীদের হামলায় তাপস দাস নামে এক শিক্ষক জখম হয়েছেন। তাঁর হাত কেটে গেছে। তবে এই ঘটনায় একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কোনও প্রভাব পড়েনি।"

undefined

খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছন জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক স্বরাজবন্ধু ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে। পরীক্ষার পর কয়েকজন ছাত্র ফের স্কুলে ঢুকে গোলমাল করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ-প্রশাসন ও স্কুলের শিক্ষকরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ছাত্ররা বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা চেয়েছিল। সেই সুবিধা তাদের দেওয়া হয়নি বলেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে পরীক্ষার খাতা লুটের চেষ্টা নিয়ে শিক্ষকরা যে অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। শিক্ষকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগারও কোনও কারণ নেই।"

স্কুলের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে ফুটেজ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া হয়নি। শুধু শিক্ষকরাই নন, আজ পরীক্ষার্থীদের হামলার শিকার হয়েছে সংবাদমাধ্যমও। তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও পুলিশ আধিকারিক বা BDO কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি।

মালদা, ৫ মার্চ : পরীক্ষার হলে সিট নম্বর অনুযায়ী নয়, পরীক্ষার্থীদের নিজেদের ইচ্ছেমতো বসতে দিতে হবে। করতে দিতে হবে নকলও। পরীক্ষার্থীদের এই আবদার স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেননি শিক্ষকরা। তার জেরে পরীক্ষা শেষের পর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পুরোনো মালদার সাহাপুর হাইস্কুল। পরীক্ষার্থীরা স্কুল চত্বরে তাণ্ডব চালালেও প্রথমদিকে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। পরীক্ষার খাতা লুটেরও চেষ্টা করে। সেই ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। পরে আরও পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে স্কুলে যান মালদার BDO জয়িতা খাটুয়া ও মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা। এই ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা।

আজ উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্ক ও ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। সাহাপুর হাইস্কুলে এবার সিট পড়েছে স্থানীয় ওসমানিয়া হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের। ওই মাদ্রাসা থেকে বেশ কিছু বহিরাগত পরীক্ষার্থীও পরীক্ষা দিয়েছে। বহিরাগতদের মধ্যে রয়েছে কালিয়াচকের একটি মিশনের পরীক্ষার্থীরাও। আজ তারাই পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলায় জখম হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক।

সাহাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, "পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই পরীক্ষার্থীরা ঝামেলা শুরু করে। তাদের নির্দিষ্ট সিট নম্বর অনুযায়ী বসতে বলা হলে তারা রাজি হয়নি। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো বসার চেষ্টা করেছিল। বাধা দেওয়ায় পরীক্ষা শেষের পর তারা শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। সেই সময় স্কুলে পুলিশ ছিল। এরপর কিছু ছাত্র পরীক্ষার খাতা লুটের চেষ্টা করে। পরীক্ষার্থীদের হামলায় তাপস দাস নামে এক শিক্ষক জখম হয়েছেন। তাঁর হাত কেটে গেছে। তবে এই ঘটনায় একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কোনও প্রভাব পড়েনি।"

undefined

খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছন জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক স্বরাজবন্ধু ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে। পরীক্ষার পর কয়েকজন ছাত্র ফের স্কুলে ঢুকে গোলমাল করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ-প্রশাসন ও স্কুলের শিক্ষকরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ছাত্ররা বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা চেয়েছিল। সেই সুবিধা তাদের দেওয়া হয়নি বলেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে পরীক্ষার খাতা লুটের চেষ্টা নিয়ে শিক্ষকরা যে অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। শিক্ষকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগারও কোনও কারণ নেই।"

স্কুলের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে ফুটেজ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া হয়নি। শুধু শিক্ষকরাই নন, আজ পরীক্ষার্থীদের হামলার শিকার হয়েছে সংবাদমাধ্যমও। তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও পুলিশ আধিকারিক বা BDO কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি।

Intro:মালদা, ৫ মার্চ : ইভিএম নয়, ভোট চাই ব্যালটে৷ এই দাবিতে আজ সারা দেশে বনধ্‌ পালন করছে আদিবাসী সমাজ৷ সংবিধান বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির ব্যানারে এই বনধ্‌ পালিত হচ্ছে দেশ জুড়ে৷ মালদা জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ৪টি ব্লকেও তার প্রভাব পড়েছে৷ যদিও এই বনধ্‌কে কেন্দ্র করে কোথাও কোনও আইনশৃঙ্খলার অবনতির খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে আদিবাসীদের এই বনধ্‌ মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে পুলিশ৷Body:         সম্প্রতি দেশের প্রধান বিরোধী শক্তিগুলি ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এনে সরব হয়েছে৷ এবার সেই অভিযোগে সরব হল আদিবাসীরাও৷ এদিন তারা পুরাতন মালদা, গাজোল, বামনগোলা ও হবিবপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে৷ যদিও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বন্‌ধের সমর্থনে পিকেটিং শুরু হয় সকাল ১০টার পর৷ মালদা-বামনগোলা রাজ্য সড়কের পাকুয়াহাটে পথ অবরোধস্থলে সংবিধান সংঘর্ষ বাঁচাও সমিতির মালদা জেলার অন্যতম সদস্য পঞ্চম হাঁসদা বলেন, "বর্তমানে গোটা দেশে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে৷ সেই ইভিএমে প্রচুর জালিয়াতি করা হচ্ছে৷ এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছি৷ আমরা চাই, ইভিএমের বদলে গোটা দেশে ব্যালট পেপারেই ভোট হোক৷ এছাড়াও আমরা সম্প্রতি চালু হওয়া ১৩ পয়েন্ট রোস্টারের বিরুদ্ধে৷ শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে৷ আমরা এর বিরুদ্ধে৷ আমরা চাই পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভূক্তরা প্রত্যেকে সমান অধিকার ও সরকারি সহায়তা পাক৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চবর্ণদের জন্য সংরক্ষণ চালু করে সমাজে পিছিয়ে থাকা মানুষজনকে আরও পিছনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে৷ আমরা এরই প্রতিবাদে সারা দেশ জুড়ে বনধ্‌ পালনে করছি৷"Conclusion:         আজ সকাল ১০টা পেরোতেই বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ শুরু করে সশস্ত্র আদিবাসীরা৷ মূলত জেলার ৪টি ব্লকে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল৷ অবরোধের খবর পেয়ে উপস্থিত হয় পুলিশ৷ বনধ্ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের দীর্ঘ আলোচনা হয়৷ পরে পুলিশের আবেদন মেনে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেয় আদিবাসীরা৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.