মালদা, 17 জুন : কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন শুরু হতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ঢল নেমেছে৷ ট্রেন কিংবা অন্য কোনও যানবাহন না পেয়ে অনেক পরিযায়ী হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছেন৷ সেই ছবি ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ ঘরে ফেরার পথে কিংবা ফেরার পর মৃত্যু হয়েছে অনেক শ্রমিকের৷ অনেকে আবার নিজেদের কর্মক্ষেত্রেই মারা গিয়েছেন৷ মালদা জেলার 15 জন শ্রমিকও রয়েছে সেই তালিকায়৷ সেই শ্রমিকদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণের দাবিতে আজ জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করল জেলা CITU নেতৃত্ব৷
CITU-র মালদা জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিন্হা বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্যের পরিকল্পনাহীন লকডাউনের জেরে দেশে কয়েক কোটি শ্রমিক চরম দুর্দশায় পড়েছেন৷ তাদের অভাব-অনটনের সীমা নেই৷ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে৷ কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরতে গিয়ে মারা গিয়েছে৷ অনেকে ট্রেনে না খেতে পেয়ে কিংবা চিকিৎসার অভাবেও মারা গিয়েছে৷ এই জেলায় আজ পর্যন্ত 15 জন শ্রমিকের এভাবে মৃত্যু হয়েছে৷ আমরা ইতিমধ্যে এই শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি৷ পুরুলিয়াতে এমনই ঘটনায় রাজ্য সরকার পাঁচ মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছে৷ ওই শ্রমিকরা উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছিলেন৷ তাহলে মালদা জেলার মৃত 15 জন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার সেই সাহায্য পাবে না কেন? সেটাই আজ আমরা জেলাশাসকের নজরে আনার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি৷ এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী 7-8 দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সেই আবেদন জানাচ্ছে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা৷ যদি এনিয়ে কোনও সুরাহা না হয় তবে আমরা অন্য রাস্তায় যাব৷”
দেবজ্যোতিবাবু দাবি করেন, “আমরা জেলার এই 15 মৃত শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি৷ তাদের সাধ্যমতো আর্থিক সহায়তাও করেছি৷ এই পরিবারগুলির ছেলেমেয়েদের কিছুদিনের জন্য পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে আমাদের ছাত্র সংগঠন SFI ৷ আমরা এই শ্রমিকদের পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছি৷ ভবিষ্যতেও থাকব৷”