মালদা, 18 অগস্ট: বিছানায় ঘুমিয়ে রয়েছে বছর আড়াইয়ের ছোট্ট ছেলে । হঠাৎ ঘরে ঢুকলেন এক মহিলা । ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে দু’বার আছাড় দিলেন মেঝেতে। তারপর ফের তাকে বিছানায় রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । বাচ্চাটির কান্না থামতেই চাইছিল না । শেষ পর্যন্ত এক বয়স্কা মহিলা তাকে কোলে নিয়ে ঘরের বাইরে চলে গেলেন । এই ভিডিয়ো ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল (Child Tortured by his Aunt) । যদিও ইটিভি ভারত এই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি । কিন্তু এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানির গড় গ্রামে । ঘটনার জেরে গ্রামে বসেছে সালিশি সভা । অভিযুক্ত মহিলা আবার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী । তাঁকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে বলে খবর (Child Tortured by his Aunt in Malda ) ।
রানির গড় গ্রামের পুরনো বাসিন্দা হর বিশ্বাস । তাঁর বড় ছেলে অচিন্ত্য বিশ্বাস তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য । এই ঘটনায় অভিযুক্ত অচিন্ত্যবাবুর স্ত্রী শিবানী বিশ্বাস । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরবাবুর ছোট ছেলে বিকি ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণার কিছুদিন ধরেই সন্দেহ হচ্ছিল, তাঁদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের বাচ্চা ছেলেকে কেউ মারধর করছে । শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরে গোটা বিষয়টি তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় । সেদিন দুপুরে স্নানে যাওয়ার আগে অপর্ণা ঘুমন্ত ছেলের কাছে তাঁর মোবাইল ফোনের ক্যামেরা অন করে যান । খানিক পরেই ছেলে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে । তাকে কোলে নিয়ে শান্ত করেন তাঁর শাশুড়ি । স্নান সেরে ঘরে ঢুকে মোবাইল ক্যামেরার রেকর্ডিং দেখে শিউরে ওঠেন অপর্ণা (Malda Video goes viral) । তাতে দেখা যায়, জেঠিমা তাকে মেঝেতে পরপর আছাড় মারছেন । অপর্ণা গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান ।
আরও পড়ুন : ঠাকুমাকে আছড়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল নাতজামাইয়ের বিরুদ্ধে
এনিয়ে মঙ্গলবার রাতেই গ্রামে সালিশি সভা বসে । সভার নির্দেশে শিবানীদেবীকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে । তবে পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । গোটা ঘটনায় অপর্ণার শাশুড়ি ঊষা বিশ্বাস বলেন, “আমার বড় বউমাই এই কাজ করেছে । এনিয়ে গ্রামের মাতব্বররা সভা বসায় । সেখানে প্রশ্ন করা হলে বড় বউমা উত্তর দেয়, তাঁর মনে হয়েছিল বলে সে এই কাজ করেছে । ঘটনাটি দুপুর দেড়টা থেকে দুটো নাগাদ ঘটেছে । বড় বউমা ওর কৃতকর্মের ফল পেয়েছে । ওকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে । তবে পারিবারিক এই ঘটনা নিয়ে আমরা থানা-পুলিশ করতে চাইনি ।”