মালদা, 5 সেপ্টেম্বর: পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে প্রায় দু'মাস আগে ৷ তবে সন্ত্রাস এখনও চলছে ৷ নির্বাচনের সময় মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসে কর্মী বাদশা খানের বিরুদ্ধে ৷ তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল বাদশা খান ৷ সোমবার বাড়ি ফিরতেই তাঁকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৷ বাদশার গ্রামে ফেরার খবর পেয়ে তাকে ধরতে পুলিশ হাজির হয় ৷ পুলিশেরও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদার মানিকচকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জেসারতটোলা গ্রাম ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী ৷
ঘটনা প্রসঙ্গেই বাদশার ভাতৃবধূ সানোয়ারা বিবি বলেন, "আমি আলাদা থাকি ৷ গোলমাল শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি ৷ তখন ভাসুরের ছেলে, ওর মা-সহ তিনজন বাড়ির সামনে বসে ছিল ৷ ওদের সামনে পাঁচটি মোটরবাইক দাঁড়িয়ে পড়ে ৷ ওরা ভাসুরের পরিবারের তিনজনকে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে ৷ ওরা নিজেদেরকে তৃণমূল বলে দাবি করতে থাকে ৷ মুখে রুমাল বাঁধা থাকলেও ভাসুরপো ওদের দু’জনকে চিনে ফেলে ৷" তাঁর অভিযোগ, বাদশার ছেলেকে কিডন্যাপ করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা ৷
এদিকে গ্রামের তৃণমূল কর্মী নাইজুল শেখ জানান, সোমবার রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ আর এক পুলিশ অফিসার আসামী ধরতে এসেছিল ৷ বাদশার বাড়ির লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন ৷ 6-7 রাউন্ড গুলি চলে বলে জানিয়েছে ওই তৃণমূল নেতা ৷ ঘটনায় কংগ্রেসের দলবল জড়িত বলে অভিযোগ তাঁর ৷
আরও পড়ুন: পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল, প্রশাসন ফেরত না নেওয়ায় সমস্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ
ঘটনা প্রসঙ্গেই মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে পলাতক আসামীর সন্ধানে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন পুলিশকর্মীরা ৷ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে মূল অভিযুক্তরা পলাতক ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷