মানিকচক, 5 জানুয়ারি : ইংরেজবাজারের ধানতলার স্মৃতি এখনও জীবন্ত ৷ শিলিগুড়ির এক যুবতিকে ডেকে এনে ওই গ্রামের এক আমবাগানে খুন করেছিল তাঁর প্রেমিক ৷ এবারও প্রায় একই ধরনের ঘটনা । মানিকচকের কামালপুর গ্রামের একটি আমবাগানে এক যুবতির অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে ৷ তারপর তাঁর দেহ বিকৃত করার চেষ্টা করেছে খুনিরা ৷
স্থানীয়দের তরফে জানা যায়, গতকাল সকালে মানিকচকের কামালপুরের একটি আমবাগানে এক যুবতির অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা ৷ বয়স আনুমানিক 20-22 হবে। শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ দেখে মনে হয় ,দেহটিকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে । দেহের একপাশে একটি ব্যাগও পড়েছিল । তাতে বিয়ের পোশাক ছিল। স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, ওই যুবতিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কেউ বা কারা এই আমবাগানে ডেকে এনে ধর্ষণ করে ৷ পরে খুন করে । দেহটি যাতে চিহ্নিত করা না যায় সেজন্য বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় মানিকচক থানায় । দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷
স্থানীয় বাসিন্দা মোসমদার শেখ জানান, দেখি পেট্রল পাম্পের পিছনের আমবাগানে একটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে ৷ আমার ধারণা, ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে ৷ মেয়েটির মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ তবে তাকে আমরা চিনি না ৷" আর এক স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সালেক আলি বলেন, "সকাল সাড়ে 10 টা নাগাদ আমার মেয়ে বাড়ি গিয়ে জানায়, বাগানে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ৷ তারপরই আমরা ঘটনাস্থানে যাই ৷ মৃতদেহটি মুখ থুবড়ে পড়েছিল ৷ বয়স আনুমানিক 20 বছর হবে ৷ শরীরের অর্ধেক অংশে কাপড় ছিল না ৷ আমার ধারণা, এই খুনের সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে ৷ মেয়েটাকে আমরা কেউ চিনতে পারছি না ৷"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷"