মালদায় খুন BJP নেতা ? পুকুর থেকে উদ্ধার মৃতদেহ - maldah
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল স্থানীয় এক BJP নেতার মৃতদেহ । BJP-র অভিযোগ, তাদের দলীয় নেতাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের ।
মালদা, 1 জুলাই : থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল স্থানীয় BJP নেতার মৃতদেহ । আজ দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অদূরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । BJP-র অভিযোগ, তাঁদের নেতাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের । তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ।
মৃত BJP কর্মীর নাম তপন কর্মকার (48) । পেশায় কাঠমিস্ত্রি । বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রামনগর গ্রামে । গতরাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তপনবাবু । গতকাল দুপুরে সাইকেল চালিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি যান । ওই আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল । রাতে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি । ফোনও করেননি । এরপর আজ সকালে তাঁর ছেলে বিয়েবাড়িতে যায় । সেখানে তাঁর খোঁজ মেলেনি । আজ দুপুর পর্যন্ত তপনবাবুর মোবাইল ফোনে রিং হচ্ছিল । কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি । তারপর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায় । কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাছে একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা গেছে । পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় । পরে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তপনবাবুর মৃতদেহ শনাক্ত করে ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে । আগামীকাল ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ।
এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ মণ্ডল বিজেপি সভাপতি কিষাণ কেডিয়া জানিয়েছেন, "তপন কর্মকার আগে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন৷ বর্তমানে তিনি এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন৷ রামনগর গ্রামে এখন আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছি৷ তার পিছনে তপনবাবুর অবদান ছিল অনেকটাই৷ সেই কারণেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছে৷ এলাকায় বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল এখন হুমকি দিয়ে, খুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে৷ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কংগ্রেসের কিছু নেতা-কর্মীও৷ তারাও এখন তলে তলে তৃণমূলকে মদত দিচ্ছে৷ যথাযথ পুলিশি তদন্ত হলেই সব বেরিয়ে আসবে৷ কিন্তু তাঁরা জানেন, পুলিশ কখনও সঠিক তদন্ত করবে না৷ তাই আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানাচ্ছি৷ একই সঙ্গে বিষয়টি দেখার জন্য আমি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের দলীয় সভাপতি রূপেশ আগরওয়ালকেও জানিয়েছি৷"
যদিও কিষাণবাবুর দাবি উড়িয়ে জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, তৃণমূল কখনও খুন জখমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না৷ তাঁরা যতদূর খরব পেয়েছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা৷ কোনও কারণে পুকুরে নেমে তলিয়ে যান তপন কর্মকার নামে ওই ব্যক্তি৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই৷ রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য এই ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি৷
Conclusion: হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ আগামীকাল ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে৷