মালদা, 21 ফেব্রুয়ারি: আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। বিডিওর কাছে দায়ের হল অভিযোগ। যদিও অভিযুক্তের দাবি, পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷
হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দীপালি মণ্ডল। দীপালির ছেলে বাদল মণ্ডল ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ, লকডাউনে বাড়ি ফেরার পর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী পবিত্র রায় আবাস যোজনার আওতায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ বিনিময়ে বাদলের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেন তিনি ৷ পরে দীপালির কাছ থেকে আরও 10 হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত ৷ পরবর্তীতে দীপালির অ্য়াকাউন্টে আবাস যোজনার 60 হাজার টাকা এলে আরও 15 হাজার টাকা নিয়ে নেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী।
এরপর খানিকটা বাধ্য হয়েই বিডিওর দ্বারস্থ হন দীপালি ৷ অভিযোগ জানান পবিত্র রায়ের নামে ৷ দীপালি বলেন, ‘‘বছর খানেক আগে আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী পবিত্র রায় টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন ধরে আমি আবাস যোজনার টাকা পাইনি। আমি রাগারাগি করায় কয়েকদিন পর এসে আমাকে তিনি জানান, আমার অ্য়াকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা এসেছে। আমি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর সঙ্গে টাকা তুলতে যাই। অ্যাকাউন্টে 60 হাজার টাকা এসেছিল। কিন্তু টাকা তোলার পরই আবার তিনি 15 হাজার টাকা নিয়ে নেন। আমার অ্যাকাউন্টে 60 হাজার টাকা এসেছে ৷ অথচ 30 হাজার টাকা পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীই নিয়ে নিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেবে কাটমানির পরিবর্তে ! কাঠগড়ায় তৃণমূল
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী পবিত্র রায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী। বিজেপির কর্মীরা কাটমানি নেয় না। এসব তৃণমূলের কালচার। তৃণমূল চক্রান্ত করে ভোটের আগে আমাদের দলের নাম খারাপ করতে চাইছে। যদি আমি কাটমানি নিয়ে থাকি, তবে প্রশাসন ও দল যা ব্যবস্থা নেবে, তা মাথা পেতে নেব।’’
বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।