ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনায় বাংলায় আগুন জ্বলছে : নিশীথ - BJP নেতা নিশীথ

নিশীথ বলেন," যারা আজ NRC ও CAA বিরোধী আন্দোলন করছে, তারা এই দুই আইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না ৷ এই অবস্থায় কিছু রাজনৈতিক দল তাদের উসকে দিয়ে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার খেলায় নেমেছে৷"

image
BJP সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক
author img

By

Published : Dec 19, 2019, 2:26 PM IST

মালদা, 19 ডিসেম্বর : “মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই গোটা বাংলায় আগুন জ্বলছে৷” মালদায় ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করলেন কোচবিহারের BJP সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক৷ একইসঙ্গে তিনি জানালেন, যারা আজ NRC ও CAA বিরোধী আন্দোলন করছে, তারা এই দুই আইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না ৷ এই অবস্থায় কিছু রাজনৈতিক দল তাদের উসকে দিয়ে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার খেলায় নেমেছে৷

নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু মানুষজন ভারতে এসেছেন, তাঁদের ন্যূনতম অধিকার ও নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করেছি৷ এনিয়ে বিরোধীরা যা রটাচ্ছে তা সম্পূর্ণ গুজব৷ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ CAA কারও নাগরিকত্ব হরণ করার জন্য নয়৷ আর এই গুজবের মাধ্যমেই সারা দেশে আগুন লাগানো হচ্ছে৷ আন্দোলনকারীরা এই আইন নিয়ে কিছু জানে না ৷ গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে এই আন্দোলনকারীদের কেউ বলছেন, তাঁদের সঠিক কারণ জানা নেই ৷ কেউ বলছেন, তাঁদের আন্দোলনে ডাকা হয়েছে ৷ কেউ বা বলছেন, তাঁদের গুরুজনরা বলেছেন, এই আইন মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকারক ৷ মুসলমানদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য এই আইন লাগু করা হয়েছে ৷ এভাবে অনেকেই বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলেছেন ৷ এথেকে স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের কাছে CAA আইনটাই তেমনভাবে স্পষ্ট নয়৷ এক ধরনের স্বার্থাণ্বেষী রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেশ জুড়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে৷ এসব বন্ধ করতে মানুষকেই সাবধানী ও সচেতন হতে হবে৷ কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, CAA-এর মাধ্যমে কারোর নাগরিকত্ব হরণ করা হবে না ৷ বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে ৷ এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ৷”

নিশীথবাবু আরও বলেন, “আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, কিছু স্বার্থাণ্বেষী দল নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করছে৷ যেসব রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে, দেখা যাচ্ছে, সেই রাজ্যগুলিতেই এসব ঘটনা বেশি ঘটছে৷ এই রাজ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, এমনকি সাংবাদিকরাও সুরক্ষিত নয়৷ এই রাজ্যে শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও প্রশাসনের কেউ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি৷ আমরা পার্শ্ব শিক্ষকদের ধরণায় সেই ছবি দেখতে পেয়েছি৷ দীর্ঘ আন্দোলনে দু’জন পার্শ্ব শিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কিংবা শাসকদলের নেতৃত্ব সেখানে যায়নি৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, কারণে অকারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা BJP র সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এক কথায়, প্রশাসন এখানে সম্পূর্ণভাবে দলদাসে পরিণত হয়ে গেছে৷ বিগত কয়েকদিন ধরে CAA বিরোধী আন্দোলনের নামে চারদিকে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে ৷ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্ম ঘটানো হচ্ছে ৷ অথচ পুলিশ প্রশাসন নীরব৷ এই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের লোকজনও চুপচাপ বসে রয়েছেন৷ কাউকে এখনও তেমনভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি ৷ তাতে স্পষ্ট, এই রাজ্যে শাসকদলের নেতৃত্ব, একদল পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই রাজ্যজুড়ে আগুন জ্বলছে ৷ আমরা অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি৷”

মালদা, 19 ডিসেম্বর : “মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই গোটা বাংলায় আগুন জ্বলছে৷” মালদায় ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করলেন কোচবিহারের BJP সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক৷ একইসঙ্গে তিনি জানালেন, যারা আজ NRC ও CAA বিরোধী আন্দোলন করছে, তারা এই দুই আইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না ৷ এই অবস্থায় কিছু রাজনৈতিক দল তাদের উসকে দিয়ে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার খেলায় নেমেছে৷

নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু মানুষজন ভারতে এসেছেন, তাঁদের ন্যূনতম অধিকার ও নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করেছি৷ এনিয়ে বিরোধীরা যা রটাচ্ছে তা সম্পূর্ণ গুজব৷ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ CAA কারও নাগরিকত্ব হরণ করার জন্য নয়৷ আর এই গুজবের মাধ্যমেই সারা দেশে আগুন লাগানো হচ্ছে৷ আন্দোলনকারীরা এই আইন নিয়ে কিছু জানে না ৷ গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে এই আন্দোলনকারীদের কেউ বলছেন, তাঁদের সঠিক কারণ জানা নেই ৷ কেউ বলছেন, তাঁদের আন্দোলনে ডাকা হয়েছে ৷ কেউ বা বলছেন, তাঁদের গুরুজনরা বলেছেন, এই আইন মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকারক ৷ মুসলমানদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য এই আইন লাগু করা হয়েছে ৷ এভাবে অনেকেই বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলেছেন ৷ এথেকে স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের কাছে CAA আইনটাই তেমনভাবে স্পষ্ট নয়৷ এক ধরনের স্বার্থাণ্বেষী রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেশ জুড়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে৷ এসব বন্ধ করতে মানুষকেই সাবধানী ও সচেতন হতে হবে৷ কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, CAA-এর মাধ্যমে কারোর নাগরিকত্ব হরণ করা হবে না ৷ বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে ৷ এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ৷”

নিশীথবাবু আরও বলেন, “আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, কিছু স্বার্থাণ্বেষী দল নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করছে৷ যেসব রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে, দেখা যাচ্ছে, সেই রাজ্যগুলিতেই এসব ঘটনা বেশি ঘটছে৷ এই রাজ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, এমনকি সাংবাদিকরাও সুরক্ষিত নয়৷ এই রাজ্যে শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও প্রশাসনের কেউ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি৷ আমরা পার্শ্ব শিক্ষকদের ধরণায় সেই ছবি দেখতে পেয়েছি৷ দীর্ঘ আন্দোলনে দু’জন পার্শ্ব শিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কিংবা শাসকদলের নেতৃত্ব সেখানে যায়নি৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, কারণে অকারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা BJP র সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এক কথায়, প্রশাসন এখানে সম্পূর্ণভাবে দলদাসে পরিণত হয়ে গেছে৷ বিগত কয়েকদিন ধরে CAA বিরোধী আন্দোলনের নামে চারদিকে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে ৷ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্ম ঘটানো হচ্ছে ৷ অথচ পুলিশ প্রশাসন নীরব৷ এই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের লোকজনও চুপচাপ বসে রয়েছেন৷ কাউকে এখনও তেমনভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি ৷ তাতে স্পষ্ট, এই রাজ্যে শাসকদলের নেতৃত্ব, একদল পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই রাজ্যজুড়ে আগুন জ্বলছে ৷ আমরা অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি৷”

Intro:মালদা, ১৮ ডিসেম্বর : “মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই গোটা বাংলায় আগুন জ্বলছে৷” আজ মালদায় ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক৷ একইসঙ্গে তিনি জানালেন, যারা আজ এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে, তারা এই দুই আইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না৷ এই অবস্থায় কিছু রাজনৈতিক দল তাদের উসকে দিয়ে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার খেলায় নেমেছে৷


Body:          সাংসদ আজ বলেন, “মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু মানুষজন ভারতে এসেছেন, তাঁদের ন্যূনতম অধিকার ও নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আমরা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ করেছি৷ এনিয়ে বিরোধীরা যা রটাচ্ছে তা সম্পূর্ণ গুজব৷ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ সিএএ কারোর নাগরিকত্ব হরণ করার জন্য নয়৷ আর এই গুজবের মাধ্যমেই সারা দেশে আগুন লাগানো হচ্ছে৷ আন্দোলনকারীরা সিএএ কিংবা এনআরসি আইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনই না৷ গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে এই আন্দোলনকারীদের কেউ বলছেন, তাঁদের সঠিক কারণ জানা নেই৷ কেউ বলছেন, তাঁদের আন্দোলনে ডাকা হয়েছে৷ কেউ বা বলছেন, তাঁদের গুরুজনরা বলেছেন, এই আইন মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকারক৷ মুসলমানদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য এই আইন লাগু করা হয়েছে৷ এভাবে অনেকেই বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলেছেন৷ এথেকে স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের কাছে সিএএ আইনটাই তেমনভাবে স্পষ্ট নয়৷ এক ধরনের স্বার্থাণ্বেষী রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেশ জুড়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে৷ এসব বন্ধ করতে মানুষকেই সাবধানী ও সচেতন হতে হবে৷ কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সিএএ-এর মাধ্যমে কারোর নাগরিকত্ব হরণ করা হবে না৷ বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে৷ এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য৷ এদেশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনদের সঙ্গে এই বিলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷”
         নিশীথবাবু আরও বলেন, “আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, কিছু স্বার্থাণ্বেষী দল নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করছে৷ যেসব রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে, দেখা যাচ্ছে, সেই রাজ্যগুলিতেই এসব ঘটনা বেশি ঘটছে৷ এই রাজ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, এমনকি সাংবাদিকরাও সুরক্ষিত নয়৷ এই রাজ্যে শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও প্রশাসনের কেউ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি৷ আমরা পার্শ্ব শিক্ষকদের ধরণায় সেই ছবি দেখতে পেয়েছি৷ দীর্ঘ আন্দোলনে দু’জন পার্শ্ব শিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কিংবা শাসকদলের নেতৃত্ব সেখানে যায়নি৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, কারণে অকারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এক কথায়, প্রশাসন এখানে সম্পূর্ণভাবে দলদাসে পরিণত হয়ে গেছে৷ বিগত কয়েকদিন ধরে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামে চারদিকে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে৷ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্ম ঘটানো হচ্ছে৷ অথচ পুলিশ প্রশাসন নীরব৷ এই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের লোকজনও চুপচাপ বসে রয়েছেন৷ কাউকে এখনও তেমনভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি৷ তাতে স্পষ্ট, এই রাজ্যে শাসকদলের নেতৃত্ব, একদল পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই রাজ্য জুড়ে আগুন জ্বলছে৷ আমরা অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি৷”


Conclusion:         সম্প্রতি এনআরসি ও সিএএ বিরোধিতার আগুনে জ্বলেছে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন৷ আজ উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, দলের উত্তরবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু ও অন্যান্য নেতৃত্বকে হরিশ্চন্দ্রপুর যাওয়ার কথা কোচবিহারের সাংসদের৷ কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার অজুহাতে আজ তাঁদের হরিশ্চন্দ্রপুর যেতে বাধা দেওয়া হবে৷ এনিয়ে নিশীথবাবুকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমরা যখনই কোনও কর্মসূচি নিই, প্রতিবারই পুলিশ প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়৷ আজ হরিশ্চন্দ্রপুরে সাধারণ মানুষ হাহাকার করছে৷ মানুষ সেখানে গৃহহীন৷ সেখানে তাঁদের উপর কেমন অত্যাচার হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই৷ কারণ, সংবামাধ্যমও সেখানে ঢুকতে পারছে না৷ তাই আমরা ঠিক করেছি, আমরা আজ সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ওই এলাকার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব৷ আমরা তার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি৷ এখনও পর্যন্ত আমাদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তবু আমরা সেখানে পৌঁছোনোর চেষ্টা করব৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.