মালদা, 2 মে : পারলেন না কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ ৷ নিজের গড়ে তাঁকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিয়েছিল দল ৷ কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ তিনি ৷ যদিও তিনি জানিয়েছেন, এই পরাজয়ের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে ৷ তবে তিনি সেসব সংবাদমাধ্যমের সামনে আনতে চান না ৷
এবার ইংরেজবাজারে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল ৷ তার জন্য এই কেন্দ্রের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল চাঁচলে ৷ জেলার রাজনীতিতে এই দু’জনের সাপে-নেউলে সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত ৷ ফলে দলের এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছিলেন নীহারবাবুর অনুগামীরা ৷ কিন্তু এবার ঘর ছেড়ে বাইরে চাঁচল কেন্দ্রে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও প্রায় 67 হাজার ভোটে জিতেছেন নীহারবাবু ৷ আর ঘরের ইংরেজবাজার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু ৷ গণনা শেষ হওয়ার আগেই তিনি মালদা কলেজের গণনা কেন্দ্র থেকে বাড়ি চলে যান ৷ তবে রাজ্যজুড়ে দলের ফলাফলে খুব খুশি তিনি ৷
এদিন গণনাকেন্দ্র ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে কৃষ্ণেন্দু বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, দল থেকে কিছু কুলাঙ্গার অন্য দলে চলে গিয়েছে ৷ এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছোবল মেরেছে, মালদার মানুষকেও ছোবল মেরেছে ৷ বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, মমতাদির কোনও বিকল্প নেই ৷ আগামী চব্বিশে মমতাদির নেতৃত্বে দেশের রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার ৷ আর ইংরেজবাজার কেন্দ্রে গত লোকসভা ভোটে আমরা 95 হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম ৷ আমাকে মমতাদি অন্য কেন্দ্রে দাঁড়াতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু আমি ঘর ছেড়ে বাইরে দাঁড়াতে চাইনি ৷ তবে এই হারের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে ৷ তা আমি সংবাদমাধ্যমকে বলতে চাই না ৷”
এদিকে জয়ের পর করোনায় মৃতদের উদ্দেশ্যে শোকজ্ঞাপন করে চাঁচলের বিজয়ী প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “এবার এই কেন্দ্রের মানুষ আমাদের সুযোগ দিয়েছেন ৷ চাঁচল থেকে তাঁরা তৃণমূলকে নির্বাচিত করেছেন ৷ আমার প্রথম কাজই হবে চাঁচল পুরসভা গঠন করা ৷ ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ও পুরমন্ত্রী চাঁচল পুরসভা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ তাঁদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত করব ৷ শুধু পুরসভা গঠনই নয়, চাঁচলে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে ৷ আমার কাজ সেই সমস্যাগুলির সমাধান করা ৷”
আরও পড়ুন: নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল