মালদা, 14 এপ্রিল: মোদি আর দিদি, দু’জনেই নাটকবাজ ৷ মুসলিম ও হিন্দু ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখে তাঁরা দু’জনেই নাটক করছেন ৷ কেউ হিন্দুদের, আবার কেউ মুসলমানদের খাতির করছেন ৷ হরিশ্চন্দ্রপুরের খন্তা মাঠে দলীয় প্রার্থী মোস্তাক আলমের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় হাজির হয়ে নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধর্মের কাঁটায় এ ভাবেই বিঁধেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে নির্বাচনী সভা করে মালদায় আসেন অধীর ৷ শেষ চৈত্রের কাঠফাটা রোদেও খন্তা মাঠে হাজির ছিল প্রচুর মানুষ ৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীর বলেন, “মোদি-দিদির নাটকে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকছে ৷ এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হাত ধরে বিজেপিকে এই রাজ্যে নিয়ে এসেছেন ৷ কংগ্রেস যতদিন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, ততদিন দেশের কোথাও এমন সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছিল না ৷ কিন্তু শুধুমাত্র ভোটের জন্য মোদি আর দিদি এখানে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছেন ৷ গোধরার ঘটনার পর রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও প্রতিবাদ করেননি ৷ গান্ধি মূর্তির নীচে অবস্থান করেননি ৷ এখন গায়ে বিজেপির আঁচ পড়েছে ৷ তাই তিনি গান্ধি মূর্তির নীচে বসে আরেক নাটক করছেন ৷”
আরও পড়ুন: শীতলকুচি নিয়ে দিলীপের মন্তব্য রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, অভিযোগ তৃণমূলের
অধীর আরও বলেন, “বর্তমানে রাজ্যে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের যে ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা ওয়াকফ বোর্ডের আয় থেকেই খরচ করা হচ্ছে ৷ অর্থাৎ মাছের তেলে মাছ ভাজছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এখানে 84 হাজার ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি রয়েছে ৷ এমনকি যে বিধানসভায় বসে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিনিয়ত মিথ্যে কথা বলেন, সেটাও ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি ৷ তার মাসিক ভাড়া 100 টাকা ৷ আগে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি থেকে কয়েকশো কোটি টাকা আয় হত ৷ দান খরিয়ত আর লুঠপাটে এখন সেই আয় দাঁড়িয়েছে কয়েক হাজার টাকায় ৷ তাই এই কেন্দ্রের মানুষকে দুই দল থেকে সতর্ক হতে হবে ৷”
কুমারগঞ্জের মতো হরিশ্চন্দ্রপুরেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, শীতলকুচির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে তিনি আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন ৷