মালদা , 19 এপ্রিল : রবিবার কার্যত ফাঁকা মাঠে নির্বাচনী সভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের সমর্থনে রবিবার হবিবপুর ব্লকের আইহো ফুটবল মাঠে সভা করেন তিনি ৷ বিশাল মাঠে হাতে গোনা শ’দেড়েক মানুষের উপস্থিতি দেখে দৃশ্যতই হতাশ হন তিনি ৷ শেষ পর্যন্ত অবস্থার সামাল দিতে তিনি বলেন, "বিকেল তিনটেয় সভা, তার উপর করোনার হামলা আর নির্বাচন কমিশনের কঠোর বিধিনিষেধের জন্যই সভায় সেভাবে মানুষ আসতে পারেনি ৷"
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আজ তিনি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এনআরসি নিয়েই বক্তব্য রাখেন ৷ মিনিট দশেক বক্তব্য রেখেই তিনি মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ অধীরবাবু এদিন বলেন, “তৃণমূল আর বিজেপির সব আছে ৷ গালাগালি, খিস্তিখেউর, মারামারি, খুনোখুনি আছে ৷ শুধু মানুষের কথা নেই ৷ মোদি বলছেন, তিনি সাত বছরে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করেছেন ৷ আর দিদি বলছেন, তিনি তিনগুণ করেছেন ৷ কিন্তু এখানকার কোনও কৃষকের আয় কি বেড়েছে ? গোটা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে ৷ পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে ৷ মোদি আর দিদি প্রতিযোগিতা করে পেট্রল-ডিজেল আর রান্নার গ্যাসের উপর কর বসাচ্ছে ৷ তাই আনাজের দামও বাড়ছে ৷”
আরও পড়ুন : ভোট প্রচারে গিয়ে অসুস্থ মিঠুন
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ , বিজেপি ও তৃণমূল ধর্মের প্রলোভন দেখিয়ে ভোট করছে ৷ বিজেপির ভোটের হাতিয়ার এনআরসি ৷ অসমে 19 লাখ মানুষকে বিদেশি বলা হল ৷ তাঁদের মধ্যে 14 লাখ হিন্দু ৷ তাঁদের রাখা হল ডিটেনশন ক্যাম্পে ৷ গত দু’মাসে ওই ক্যাম্পে 30 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তার মধ্যে 26 জন হিন্দু ৷ নরেন্দ্র মোদি তিন-চারবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ৷ তিনি সেই রাজ্যে এনআরসি চালু করেননি ৷ বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে এনআরসি চালু হয়নি ৷ ওরা দেশেও এনআরসি চালু করতে পারছেন না ৷ কারণ, কেউ এ নিয়ে আদালতে গেলে নাগরিকত্ব আইন খারিজ হয়ে যাবে ৷ এই রাজ্যে বেকারদের কাজ নেই ৷ থাকলে এখান থেকে লাখ লাখ যুবক বাইরে কাজে যেত না ৷ এখানে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক কোটি 20 লাখ চাকরি দিয়েছেন ৷ কিন্তু, কোথায় চাকরি ?”