ETV Bharat / state

দুর্যোগে বোরো ধানের ক্ষতিতে চাষিদের একাংশকে দায়ী করলেন মালদার বিডিও - লীলাবতি মণ্ডল

যশের প্রভাবে বৃষ্টিতে মালদায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক চাষি ৷ জল থৈ থৈ করছে বোরো ধানের জমিতে ৷ সরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে বেশিরভাগ চাষি পরিবার ৷ ইতিমধ্যেই বিডিও ইরফান হাবিব সেই সব জমি পরিদর্শন করে সহায়তার আশ্বাস দিলেও চাষিদের একাংশকে দুষেছেন তিনি ৷ তাঁর দাবি, আগে থেকে সতর্ক করা হলেও কিছু চাষিরা ব্যবস্থা নেননি ৷

দুর্যোগে বোরো ধানের ক্ষতিতে চাষিদের একাংশকে দায়ী করলেন মালদার বিডিও
দুর্যোগে বোরো ধানের ক্ষতিতে চাষিদের একাংশকে দায়ী করলেন মালদার বিডিও
author img

By

Published : May 30, 2021, 8:46 PM IST

মালদা, 30 মে : বিপজ্জনক দশা কেটেছে ৷ আকাশ গোমড়া থাকলেও আজ আর বৃষ্টি হয়নি ৷ বরং কালো আকাশের চাদর সরিয়ে মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিলেছে ৷ কিন্তু আজও বোরো ধানের জমি দেখে মাঠ বোঝার উপায় নেই ৷ এক চোখে মনে হবে, আদিগন্তবিস্তৃত জলাভূমি ৷ জলের নীচে এখনও দেখা যাচ্ছে ধানের আঁটি ৷ পচন শুরু হয়েছে তাতে ৷

জেলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কম বেশি সব ব্লকেই বোরো ধানের চাষে প্রভাব ফেলেছে যশ ৷ তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাঁচলের দুটি ব্লক এবং পুরাতন মালদায় ৷ আজ পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে বোরো ধানের অবস্থা পরিদর্শন করেন বিডিও ইরফান হাবিব ৷ তাঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ৷ বিডিও কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অবশ্য চাষিদের একাংশকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷

বোরো ধানের ক্ষতিতে চাষিদের একাংশকে দায়ী করলেন মালদার বিডিও

এদিন বিডিও বলেন, “মারাত্মক বৃষ্টিতে এই ব্লকের বেশিরভাগ বোরো ধানই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কেন চাষিরা আগাম কোনও ব্যবস্থা নিল না তা বুঝতে পারছি না ৷ কিছু চাষি ধান কেটে ঘরে তুলে নিলেও কিছুজন আবার ধান কেটে মাঠে ফেলে রেখেছিলেন ৷ পুরাতন মালদা ব্লকের মধ্যে এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানাব ৷ আশা করা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সমস্ত সরকারি সাহায্য পাবেন ৷ তবে ইতিমধ্যেই দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷”

আরও পড়ুন : যশের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনের বিশেষ টিম

উল্লেখ্য, গত বছর অকাল বৃষ্টিতে পুরাতন মালদায় আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল ৷ জমিতেই আলু পচতে শুরু করেছিল ৷ সেবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কিছু সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন ৷ এবার বোরো ধানচাষে তাঁরা আরও একবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হলেন ৷

চাষি হবিবুর রহমান বলেন, “আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঝড় হওয়ার কথা ছিল ৷ এমন বৃষ্টির আভাস ছিল না ৷ জমির ধান কেটেও নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু ঘরে তোলা হয়নি ৷ গ্রামের 90 শতাংশ কৃষকের ধানই জমিতে ছিল ৷ সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ গতবার আলুতে ক্ষতি হয়েছে, এবার ধান ৷ সরকারি ক্ষতিপূরণ না পেলে আর বাঁচব না ৷ অনেকেই টাকা পাবে ৷ কীভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না ৷”

বিডিওর হাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়া ধানকুড়ি গ্রামের লীলাবতী মণ্ডল বলেন, “একটা ধানও জমি থেকে ঘরে তুলতে পারিনি ৷ সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কীভাবে দেনা মেটাব জানি না ৷ সরকারি ক্ষতিপূরণ না পেলে না খেয়ে মরতে হবে ৷”

মালদা, 30 মে : বিপজ্জনক দশা কেটেছে ৷ আকাশ গোমড়া থাকলেও আজ আর বৃষ্টি হয়নি ৷ বরং কালো আকাশের চাদর সরিয়ে মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিলেছে ৷ কিন্তু আজও বোরো ধানের জমি দেখে মাঠ বোঝার উপায় নেই ৷ এক চোখে মনে হবে, আদিগন্তবিস্তৃত জলাভূমি ৷ জলের নীচে এখনও দেখা যাচ্ছে ধানের আঁটি ৷ পচন শুরু হয়েছে তাতে ৷

জেলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কম বেশি সব ব্লকেই বোরো ধানের চাষে প্রভাব ফেলেছে যশ ৷ তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাঁচলের দুটি ব্লক এবং পুরাতন মালদায় ৷ আজ পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে বোরো ধানের অবস্থা পরিদর্শন করেন বিডিও ইরফান হাবিব ৷ তাঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ৷ বিডিও কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অবশ্য চাষিদের একাংশকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷

বোরো ধানের ক্ষতিতে চাষিদের একাংশকে দায়ী করলেন মালদার বিডিও

এদিন বিডিও বলেন, “মারাত্মক বৃষ্টিতে এই ব্লকের বেশিরভাগ বোরো ধানই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কেন চাষিরা আগাম কোনও ব্যবস্থা নিল না তা বুঝতে পারছি না ৷ কিছু চাষি ধান কেটে ঘরে তুলে নিলেও কিছুজন আবার ধান কেটে মাঠে ফেলে রেখেছিলেন ৷ পুরাতন মালদা ব্লকের মধ্যে এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানাব ৷ আশা করা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সমস্ত সরকারি সাহায্য পাবেন ৷ তবে ইতিমধ্যেই দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷”

আরও পড়ুন : যশের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনের বিশেষ টিম

উল্লেখ্য, গত বছর অকাল বৃষ্টিতে পুরাতন মালদায় আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল ৷ জমিতেই আলু পচতে শুরু করেছিল ৷ সেবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কিছু সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন ৷ এবার বোরো ধানচাষে তাঁরা আরও একবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হলেন ৷

চাষি হবিবুর রহমান বলেন, “আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঝড় হওয়ার কথা ছিল ৷ এমন বৃষ্টির আভাস ছিল না ৷ জমির ধান কেটেও নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু ঘরে তোলা হয়নি ৷ গ্রামের 90 শতাংশ কৃষকের ধানই জমিতে ছিল ৷ সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ গতবার আলুতে ক্ষতি হয়েছে, এবার ধান ৷ সরকারি ক্ষতিপূরণ না পেলে আর বাঁচব না ৷ অনেকেই টাকা পাবে ৷ কীভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না ৷”

বিডিওর হাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়া ধানকুড়ি গ্রামের লীলাবতী মণ্ডল বলেন, “একটা ধানও জমি থেকে ঘরে তুলতে পারিনি ৷ সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কীভাবে দেনা মেটাব জানি না ৷ সরকারি ক্ষতিপূরণ না পেলে না খেয়ে মরতে হবে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.