মালদা, ৩০ এপ্রিল : বাংলাদেশে পাথর রপ্তানিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইংরেজবাজার থানার IC । খুব দ্রুত পাথর রপ্তানিতে পুলিশ প্রশাসন অনুমোদন না দিলে বাংলাদেশে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে । আজ মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সংগঠনের আরও অভিযোগ, এর আগে ইংরেজবাজারের পূর্বতন IC ও পুলিশ সুপার পাথর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন । তাঁদের সঙ্গে মাফিয়ারাও ছিল । যদিও ইংরেজবাজার থানার IC-র দাবি, আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাণিজ্যে পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই ।
গতকাল সুস্থানি মোড়ে বন্ধ থাকা পাথর রপ্তানি ব্যবসা দ্রুত চালু করার দাবিতে লরিচালক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান । গৌড় ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আরজাউল ইসলাম জানান, ইংরেজবাজার থানার IC-র নির্দেশে ৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে পাথর রপ্তানি বন্ধ হয়ে রয়েছে । IC আগে তাঁদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর ২৪ এপ্রিল থেকে ব্যবসা ফের চালু করা হতে পারে । কিন্তু সেই বিষয়ে পুলিশের কোনও নির্দেশিকা আসেনি ।
পাথর ব্যবসায়ীদের এই সমস্যা নিয়ে মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আজ বিশেষ বৈঠক ডাকে । বৈঠকে সংগঠনের প্রায় 150 জন সদস্য ছিলেন । তাঁরা দাবি করেন, পাথরের লোডিং পিছু টোকেন ইশু করার ব্যবস্থা করতে হবে । সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রশাসন দ্রুত পাথর রপ্তানিতে অনুমতি না দিলে বাংলাদেশে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে ।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তপনকুমার দাস ও কোশাধ্যক্ষ মহম্মদ ফইজুল হক বলেন, "এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে টোকেন ইশু করে পাথর রপ্তানি করতে না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে । ইংরেজবাজার থানার IC পাথর রপ্তানি ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন । ফের মাফিয়াচক্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই পুলিশ পাথরের ব্যবসা করতে দিচ্ছে না । আমরা চাই, এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এই ব্যবসা চলুক ।"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : মহদিপুর বাণিজ্য কেন্দ্রে বন্ধ পাথর রপ্তানি, কর্মহীন 3 হাজার শ্রমিক
যদিও ইংরেজবাজার থানার IC শান্তনু মৈত্র রপ্তানিকারীদের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন । তিনি বলেন, "রপ্তানির ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই । কেন রপ্তানিকারীরা পুলিশকে দোষারোপ করছেন তা আমি বুঝতে পারছি না । তবে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যাতে কোনও যানজটের সমস্যা না হয় সেদিকে পুলিশ অবশ্যই নজর রাখবে । এর বাইরে পাথর রপ্তানি কীভাবে হবে, তা রপ্তানিকারীদের বিষয় ।"