মালদা, 24 জুন : মালদার কালিয়াচকে একই পরিবারের চার সদস্যের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গোপন জবানবন্দি পেশের প্রক্রিয়া শুরু ৷ বৃহস্পতিবার বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদের দাদা আরিফ মহম্মদকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ ৷ একই কারণে আরিফের মামা শিস মহম্মদকেও এদিন আদালতে পেশ করা হয় ৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’জনকেই মালদা জেলা আদালতে নিয়ে আসে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোপন জবানবন্দি পেশের প্রক্রিয়া শুরু হলেও জবানবন্দি দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি ৷ একইসঙ্গে, এদিন আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় ধৃত আসিফের দুই বন্ধু সাবির আলি ও মহম্মদ মাফুজকেও জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : আসিফের ফাঁসি চায় গ্রামবাসী
কথা ছিল, আজ-কালের (বৃহস্পতি-শুক্রবার) মধ্যেই গোপন জবানবন্দির জন্য আরিফকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হবে ৷ চারটি খুনের মামলায় তাঁকে রাজসাক্ষী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ ৷ কিন্তু তাঁর মামাকেও যে জবানবন্দির জন্য আদালতে পেশ করা হবে, তা আগে থেকে জানা যায়নি ৷ এই বিষয়ে পুলিশের তরফেও আগে কিছু প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের চার সদস্যকে যে খুন করা হয়েছে, সে কথা আরিফ প্রথমে তাঁর মামাকেই জানিয়েছিলেন ৷ মামার পরামর্শেই তিনি গত 18 জুন রাতে কালিয়াচক থানায় গিয়ে গোটা ঘটনা জানান ৷ তাই এই মামলার ক্ষেত্রে তাঁর মামার বক্তব্যও আদালতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ ৷
পুলিশ সুপার অলোক রাজরিয়া আগেই জানিয়েছিলেন, খুনের মামলার তদন্ত তাঁরা প্রায় শেষ করে ফেলেছেন ৷ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই মামলার চার্জশিট জমা দেবেন তাঁরা ৷ তবে এখনও কিছু তথ্য তাঁদের অজানা ৷ সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে ৷
আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : ডার্ক ওয়েবযোগের প্রমাণ মেলেনি, তবে ডিপ ওয়েবে পারদর্শী খুনি আসিফ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও চারটি মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি ৷ ভিসেরা পরীক্ষার জন্য মৃতদেহগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা কলকাতায় পাঠানো হয়েছে ৷ তারও রিপোর্ট হাতে আসেনি তদন্তকারীদের ৷ এসব রিপোর্ট পাওয়ার পরই মামলার চার্জশিট জমা করা হবে ৷
শুধু আরিফ ও শিস মহম্মদই নয় ৷ বৃহস্পতিবার আসিফের দুই বন্ধু সাবির আলি ও মহম্মদ মাফুজকেও কালিয়াচক থানার পুলিশ জেলা আদালতে পেশ করেছে ৷ এর আগে আদালতের নির্দেশে তাদের চারদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল ৷ তবে তাদের আর পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে ৷