ETV Bharat / state

হরিশ্চন্দ্রপুরে সরষের তেলে পাম তেল মেশানোর অভিযোগ, গুদামে তল্লাশি প্রশাসনের

শুক্রবার দুপুরে তুলসিহাটার সরষের তেলের পাইকারি ব্যবসায়ী দিলীপ আগরওয়ালের গুদামে হানা দেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ গুদামে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান তাঁরা ৷ সরষের তেলে পাম তেলের উপস্থিতিও পাওয়া যায় ৷ পাওয়া যায় দুটি তেল মিশ্রণের যন্ত্র, নামিদামি কোম্পানির সরষের তেলের লেবেলসহ আরও অনেক কিছু ৷

allegation to produce mixing mustard oil at chanchal in malda
হরিশ্চন্দ্রপুরে ভেজাল সরষের তেল তৈরির অভিযোগ
author img

By

Published : Jun 19, 2021, 3:44 AM IST

মালদা, 19 জুন : চাঁচলের কাণ্ডারণের পর হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা ৷ সরষের তেলে পাম তেল মেশানো হচ্ছে এমন খবর পেয়ে হানা দিল চাঁচল মহকুমা প্রশাসন ৷ সরষের তেলের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর গুদামে তল্লাশি চালিয়ে মিলল তেল মিশ্রণের যাবতীয় প্রমাণ ৷ যদিও ওই ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন আগে তিনি এই অবৈধ কাজ করলেও এখন সেসব ছেড়ে দিয়েছেন ৷ তাঁর কথায় অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি ৷ দুটি যন্ত্রসহ একাধিক সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে ৷ মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, এনিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷

শুক্রবার দুপুরে ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য ও সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তুলসিহাটার সরষের তেলের পাইকারি ব্যবসায়ী দিলীপ আগরওয়ালের গুদামে হানা দেন চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল ৷ সঙ্গে ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশও ৷ ওই গুদামে মজুত করা ছিল প্রচুর পরিমাণ সরষের তেল ৷ ছিল পাম তেলও ৷ মহকুমাশাসক জানতে পেরেছিলেন, এই গুদামে সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো হয় ৷ যা বর্তমানে নিষিদ্ধ ৷ গুদামে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান প্রশাসনিক কর্তারা ৷ সরষের তেলে পাম তেলের উপস্থিতিও পাওয়া যায় ৷ আরও পাওয়া যায় দুটি তেল মিশ্রণের যন্ত্র, নামিদামি কোম্পানির সরষের তেলের লেবেলসহ আরও অনেক কিছু ৷ সেখানে থাকা সরষের তেলের প্যাকেটে বার কোড দেওয়া থাকলেও তা স্ক্যান করা যায়নি ৷

তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, এই সময় কেউ সরষের তেল মজুত রাখতে পারে না ৷ কিন্তু গুদামে প্রচুর পরিমাণ সরষের তেল মজুত করা ছিল ৷ মহকুমাশাসকের কাছে দিলীপ আগরওয়ালা স্বীকার করে নেন, তিনি আগে সরষের তেলে পাম তেল মেশাতেন ৷ তবে এখন সেসব করেন না ৷ দিলীপ আগরওয়াল বলেন,"অফিসাররা এসে সমস্ত কিছু দেখলেন ৷ আমার কারখানায় ব্লেন্ডিং হত ৷ তার লাইসেন্সও ছিল ৷ তবে কারখানা অনেকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ৷ পাইপলাইনে কিছু তেল জমে ছিল সেগুলোই অফিসাররা দেখেছেন ৷ তেলের প্যাকেটের বার কোড স্ক্যান কেন হচ্ছে না তা নিয়ে আমি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলব ৷"

ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন বলেন," 2020 সালের অক্টোবর থেকে সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো নিষিদ্ধ ৷ তা খতিয়ে দেখতেই আমাদের এখানে আসা ৷ গুদামের মজুত থাকা তেলে পাম তেল মেশানোর প্রমাণ মিলেছে ৷ ভবিষ্যতে উনি এটা করবেন না বলে জানিয়েছেন ৷ পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে উনি পাম তেল মজুত রাখতে পারেন ৷ ওনার কাছে বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে যা মজুত করার লাইসেন্স ওনার কাছে নেই ৷ এখানে সরষের তেলে পাম তেল মেশানোর দুটি মেশিন পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই কারণে পুলিশকেও ডাকা হয়েছে ৷ উনি নিজের ব্র্যান্ডের নামে তেল প্যাকিং করতে পারবেন ৷ কিন্তু এখানে অন্যান্য নামিদামি কোম্পানির লেবেলও পাওয়া গিয়েছে ৷ যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেওয়া হবে ৷"

সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন,"তুলসিহাটা অয়েল মিলে ফুড সেফটি অফিসারকে নিয়ে তদন্ত করতে এসেছিলাম ৷ আগে এখানে দুরকম তেল মিশিয়ে প্যাকিং করা হত ৷ এখন সেটা বন্ধ করা হয়েছে ৷ সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো হত, যেটা 2020 সাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ধরনের তেল খেলে পেটের রোগ হতে পারে ৷ "

আরও পড়ুন : ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার মালদায়, গ্রেফতার চার

চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন,"আমরা তুলসিহাটার একটি মিলে এসেছি ৷ যে লাইসেন্স রয়েছে তাতে বেশ কিছু ভুল রয়েছে ৷ তা ঠিক করাতে বলা হয়েছে ৷ ব্লেন্ডিংয়ের লাইসেন্স ওনার ছিল ৷ ওই মেশিন পরিষ্কার করে রাখা আছে ৷ কিন্তু সামান্য তেল পাওয়া গিয়েছে ৷ আমরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লেবেল পেয়েছি ৷ তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই কাজ করেছেন ৷"

মালদা, 19 জুন : চাঁচলের কাণ্ডারণের পর হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা ৷ সরষের তেলে পাম তেল মেশানো হচ্ছে এমন খবর পেয়ে হানা দিল চাঁচল মহকুমা প্রশাসন ৷ সরষের তেলের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর গুদামে তল্লাশি চালিয়ে মিলল তেল মিশ্রণের যাবতীয় প্রমাণ ৷ যদিও ওই ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন আগে তিনি এই অবৈধ কাজ করলেও এখন সেসব ছেড়ে দিয়েছেন ৷ তাঁর কথায় অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি ৷ দুটি যন্ত্রসহ একাধিক সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে ৷ মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, এনিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷

শুক্রবার দুপুরে ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য ও সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তুলসিহাটার সরষের তেলের পাইকারি ব্যবসায়ী দিলীপ আগরওয়ালের গুদামে হানা দেন চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল ৷ সঙ্গে ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশও ৷ ওই গুদামে মজুত করা ছিল প্রচুর পরিমাণ সরষের তেল ৷ ছিল পাম তেলও ৷ মহকুমাশাসক জানতে পেরেছিলেন, এই গুদামে সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো হয় ৷ যা বর্তমানে নিষিদ্ধ ৷ গুদামে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান প্রশাসনিক কর্তারা ৷ সরষের তেলে পাম তেলের উপস্থিতিও পাওয়া যায় ৷ আরও পাওয়া যায় দুটি তেল মিশ্রণের যন্ত্র, নামিদামি কোম্পানির সরষের তেলের লেবেলসহ আরও অনেক কিছু ৷ সেখানে থাকা সরষের তেলের প্যাকেটে বার কোড দেওয়া থাকলেও তা স্ক্যান করা যায়নি ৷

তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, এই সময় কেউ সরষের তেল মজুত রাখতে পারে না ৷ কিন্তু গুদামে প্রচুর পরিমাণ সরষের তেল মজুত করা ছিল ৷ মহকুমাশাসকের কাছে দিলীপ আগরওয়ালা স্বীকার করে নেন, তিনি আগে সরষের তেলে পাম তেল মেশাতেন ৷ তবে এখন সেসব করেন না ৷ দিলীপ আগরওয়াল বলেন,"অফিসাররা এসে সমস্ত কিছু দেখলেন ৷ আমার কারখানায় ব্লেন্ডিং হত ৷ তার লাইসেন্সও ছিল ৷ তবে কারখানা অনেকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ৷ পাইপলাইনে কিছু তেল জমে ছিল সেগুলোই অফিসাররা দেখেছেন ৷ তেলের প্যাকেটের বার কোড স্ক্যান কেন হচ্ছে না তা নিয়ে আমি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলব ৷"

ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন বলেন," 2020 সালের অক্টোবর থেকে সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো নিষিদ্ধ ৷ তা খতিয়ে দেখতেই আমাদের এখানে আসা ৷ গুদামের মজুত থাকা তেলে পাম তেল মেশানোর প্রমাণ মিলেছে ৷ ভবিষ্যতে উনি এটা করবেন না বলে জানিয়েছেন ৷ পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে উনি পাম তেল মজুত রাখতে পারেন ৷ ওনার কাছে বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে যা মজুত করার লাইসেন্স ওনার কাছে নেই ৷ এখানে সরষের তেলে পাম তেল মেশানোর দুটি মেশিন পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই কারণে পুলিশকেও ডাকা হয়েছে ৷ উনি নিজের ব্র্যান্ডের নামে তেল প্যাকিং করতে পারবেন ৷ কিন্তু এখানে অন্যান্য নামিদামি কোম্পানির লেবেলও পাওয়া গিয়েছে ৷ যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেওয়া হবে ৷"

সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন,"তুলসিহাটা অয়েল মিলে ফুড সেফটি অফিসারকে নিয়ে তদন্ত করতে এসেছিলাম ৷ আগে এখানে দুরকম তেল মিশিয়ে প্যাকিং করা হত ৷ এখন সেটা বন্ধ করা হয়েছে ৷ সরষের তেলের সঙ্গে পাম তেল মেশানো হত, যেটা 2020 সাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ধরনের তেল খেলে পেটের রোগ হতে পারে ৷ "

আরও পড়ুন : ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার মালদায়, গ্রেফতার চার

চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন,"আমরা তুলসিহাটার একটি মিলে এসেছি ৷ যে লাইসেন্স রয়েছে তাতে বেশ কিছু ভুল রয়েছে ৷ তা ঠিক করাতে বলা হয়েছে ৷ ব্লেন্ডিংয়ের লাইসেন্স ওনার ছিল ৷ ওই মেশিন পরিষ্কার করে রাখা আছে ৷ কিন্তু সামান্য তেল পাওয়া গিয়েছে ৷ আমরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লেবেল পেয়েছি ৷ তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই কাজ করেছেন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.