ETV Bharat / state

রেজিস্ট্রারকে গালিগালাজ, দপ্তরে ঢুকে হামলার অভিযোগে ধুন্ধুমার গৌড়বঙ্গ

author img

By

Published : Sep 17, 2019, 11:15 PM IST

রেজিস্ট্রারকে অকথ্য ভাষায় গালি, দপ্তরে হামলার অভিযোগ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

রেজিস্ট্রারকে গালিগালাজ, দপ্তরে ঢুকে হামলার অভিযোগে ধুন্ধুমার গৌড়বঙ্গ

মালদা, 17 সেপ্টেম্বর : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে হামলার অভিযোগ ৷ রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করা হয়, কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এমনটাই । আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে এই ঘটনা ঘটে । অভিযোগ, পড়ুয়ারা দপ্তরের গেটে ভাঙচুর চালায় । রেজিস্ট্রারের ঘরে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । গোটা ঘটনাটি CCTV-এর ফুটেজে ধরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার । তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি । এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি দাবি করেছেন, রেজিস্ট্রারের জন্যই এদিনের ঘটনা ঘটেছে । তবে ঘটনাটি নাকি বড় কিছু নয় ।

রেজিস্ট্রার বলেন, "আজ বিকেলে আমি নিজের দপ্তরে কাজ করছিলাম । হঠাৎ নিরাপত্তারক্ষীরা এসে জানান, কিছু পড়ুয়া দপ্তরের প্রবেশদ্বারের পাশে চিৎকার করছে । তারা জোর করে ভিতরে ঢুকতে চাইছে । দু'দিন আগে যারা হঠাৎ করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েছিল, তেমন কয়েকজন পড়ুয়াও ছিল । আমি জানতে চাই, তারা কোনও কাজে এসেছে কি না । সেক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে । কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, তারা কোনও কাজে এসেছে কি না তা বলতে রাজি নয় ।''

সাধারণত কাজ নিয়ে কোনও পড়ুয়া রেজিস্ট্রারের দপ্তরে এলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এসব নিয়ে ভাবনাচিন্তার মধ্যেই ওই পড়ুয়ারা লাথি মেরে দপ্তরের গেট ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব বাবু । তিনি বলেন, পড়ুয়ারা ঘরে ঢুকে পড়ে চেয়ার-টেবিল তছনছ করে দেয় । অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি এই দপ্তরেই থাকে ।

বিপ্লববাবু বলেন, '' ওদের একটাই দাবি, গেটে তালা লাগানো যাবে না । আমি জানাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি এই দপ্তরেই থাকে । তাই নিরাপত্তার জন্য গেট তালা বন্ধ রাখতে হয় । কিন্তু তারা কোনও কথা শুনতে রাজি নয় । উলটে আমাকে কটূক্তি করে । দু'দিন আগে যারা উপাচার্যকে ঘেরাও করেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন এদিন ভাঙচুরে যুক্ত ছিল । গোটা ঘটনার CCTV ফুটেজ আমাদের কাছে আছে । আমাকে তারা শারীরিক নির্যাতন করেনি বটে, তবে মানসিক নির্যাতন অবশ্যই করেছে । সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত । মাত্র 20-25 জন পড়ুয়া বেশ কিছুদিন ধরে এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। আমি আজকের বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি । তবে এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল জেলা পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় গোটা ঘটনার জন্য রেজিস্ট্রারকে দায়ী করেন । তিনি বলেন, "আমি আজকের বিষয়টি জানতাম না । ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর ছাত্রছাত্রী নিজেদের কাজে রেজিস্ট্রারের কাছে আসছে । রেজিস্ট্রার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি । আজ কয়েকজন পড়ুয়া 12টা থেকে 2.30 মিনিট পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের ঘরের বাইরে অপেক্ষা করে । এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া ও TMCP সদস্য যখন রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়, তখনও দেখা যায় গেটে তালা মারা । বারবার ডাকাডাকি ও চিৎকার করার পরেও রেজিস্ট্রার ঘর থেকে বেরোননি । উলটে ঘেরাও হওয়ার ভয়ে তিনি বলেন, তিনি কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেবেন না । এই অবিশ্বাসের জন্যই আজ এই ঘটনা ঘটেছে । তবে ঘটনাটি বড় কিছু নয় ।''

প্রসূন রায়ের দাবি, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের কাজেই রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়েছিল । রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে দেখা না করে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে পড়ুয়াদের ভয় দেখিয়েছিলেন । এরপরেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে । তবে তালা ভাঙার কোনও ঘটনা ঘটেনি । পড়ুয়াদের কেউ অশ্লীল কথা বলেননি, দাবি প্রসূন বাবুর । রেজিস্ট্রার পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা না করায় গ্রিল ভাঙা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।

তাঁর কথায়, ''আমরা এসে পড়ুয়াদের শান্ত করি । রেজিস্ট্রারের সঙ্গেও কথা বলি । পড়ুয়াদের স্বার্থে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি । তবে এটা ঠিক, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা চলছে তা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক নয় । আমরাও চাই এর অবসান ঘটুক । সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোভাবে চালানো হোক । কিন্তু রেজিস্ট্রারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অফিসারই এই অবস্থার জন্য দায়ী ।"

মালদা, 17 সেপ্টেম্বর : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে হামলার অভিযোগ ৷ রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করা হয়, কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এমনটাই । আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে এই ঘটনা ঘটে । অভিযোগ, পড়ুয়ারা দপ্তরের গেটে ভাঙচুর চালায় । রেজিস্ট্রারের ঘরে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । গোটা ঘটনাটি CCTV-এর ফুটেজে ধরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার । তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি । এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি দাবি করেছেন, রেজিস্ট্রারের জন্যই এদিনের ঘটনা ঘটেছে । তবে ঘটনাটি নাকি বড় কিছু নয় ।

রেজিস্ট্রার বলেন, "আজ বিকেলে আমি নিজের দপ্তরে কাজ করছিলাম । হঠাৎ নিরাপত্তারক্ষীরা এসে জানান, কিছু পড়ুয়া দপ্তরের প্রবেশদ্বারের পাশে চিৎকার করছে । তারা জোর করে ভিতরে ঢুকতে চাইছে । দু'দিন আগে যারা হঠাৎ করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েছিল, তেমন কয়েকজন পড়ুয়াও ছিল । আমি জানতে চাই, তারা কোনও কাজে এসেছে কি না । সেক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে । কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, তারা কোনও কাজে এসেছে কি না তা বলতে রাজি নয় ।''

সাধারণত কাজ নিয়ে কোনও পড়ুয়া রেজিস্ট্রারের দপ্তরে এলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এসব নিয়ে ভাবনাচিন্তার মধ্যেই ওই পড়ুয়ারা লাথি মেরে দপ্তরের গেট ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব বাবু । তিনি বলেন, পড়ুয়ারা ঘরে ঢুকে পড়ে চেয়ার-টেবিল তছনছ করে দেয় । অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি এই দপ্তরেই থাকে ।

বিপ্লববাবু বলেন, '' ওদের একটাই দাবি, গেটে তালা লাগানো যাবে না । আমি জানাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি এই দপ্তরেই থাকে । তাই নিরাপত্তার জন্য গেট তালা বন্ধ রাখতে হয় । কিন্তু তারা কোনও কথা শুনতে রাজি নয় । উলটে আমাকে কটূক্তি করে । দু'দিন আগে যারা উপাচার্যকে ঘেরাও করেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন এদিন ভাঙচুরে যুক্ত ছিল । গোটা ঘটনার CCTV ফুটেজ আমাদের কাছে আছে । আমাকে তারা শারীরিক নির্যাতন করেনি বটে, তবে মানসিক নির্যাতন অবশ্যই করেছে । সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত । মাত্র 20-25 জন পড়ুয়া বেশ কিছুদিন ধরে এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। আমি আজকের বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি । তবে এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল জেলা পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় গোটা ঘটনার জন্য রেজিস্ট্রারকে দায়ী করেন । তিনি বলেন, "আমি আজকের বিষয়টি জানতাম না । ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর ছাত্রছাত্রী নিজেদের কাজে রেজিস্ট্রারের কাছে আসছে । রেজিস্ট্রার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি । আজ কয়েকজন পড়ুয়া 12টা থেকে 2.30 মিনিট পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের ঘরের বাইরে অপেক্ষা করে । এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া ও TMCP সদস্য যখন রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়, তখনও দেখা যায় গেটে তালা মারা । বারবার ডাকাডাকি ও চিৎকার করার পরেও রেজিস্ট্রার ঘর থেকে বেরোননি । উলটে ঘেরাও হওয়ার ভয়ে তিনি বলেন, তিনি কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেবেন না । এই অবিশ্বাসের জন্যই আজ এই ঘটনা ঘটেছে । তবে ঘটনাটি বড় কিছু নয় ।''

প্রসূন রায়ের দাবি, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের কাজেই রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়েছিল । রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে দেখা না করে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে পড়ুয়াদের ভয় দেখিয়েছিলেন । এরপরেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে । তবে তালা ভাঙার কোনও ঘটনা ঘটেনি । পড়ুয়াদের কেউ অশ্লীল কথা বলেননি, দাবি প্রসূন বাবুর । রেজিস্ট্রার পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা না করায় গ্রিল ভাঙা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।

তাঁর কথায়, ''আমরা এসে পড়ুয়াদের শান্ত করি । রেজিস্ট্রারের সঙ্গেও কথা বলি । পড়ুয়াদের স্বার্থে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি । তবে এটা ঠিক, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা চলছে তা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক নয় । আমরাও চাই এর অবসান ঘটুক । সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোভাবে চালানো হোক । কিন্তু রেজিস্ট্রারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অফিসারই এই অবস্থার জন্য দায়ী ।"

Intro:মালদা, 17 সেপ্টেম্বর : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে। আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, পড়ুয়ারা দপ্তরের গেটে ভাঙচুর চালায়। রেজিস্ট্রারের ঘরে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গোটা ঘটনাটি সিসি টিভির ফুটেজে ধরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি দাবি করেছেন, রেজিস্ট্রারের জন্যই এদিনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি বড় কিছু নয়।


Body:রেজিষ্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, "আজ বিকেলে আমি নিজের দপ্তরে কাজ করছিলাম। হঠাৎ নিরাপত্তারক্ষীরা এসে জানান, কিছু পড়ুয়া দপ্তরের গেট ঝাঁকাচ্ছে। তারা জোর করে ভিতরে ঢুকতে চাইছে। দু'দিন আগে যারা হঠাৎ করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন পড়ুয়া আজও রয়েছে। আমি জানতে চাই, তারা কোনও কাজে এসেছে কিনা। সেক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, তারা কোনও কাজে এসেছে কিনা তা বলছে না। সাধারণত কোনও কাজে কোনও পড়ুয়া আমার দপ্তরে এলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসব নিয়ে ভাবনাচিন্তার মধ্যেই ওই পড়ুয়ারা লাথি মেরে দপ্তরের গেট ভেঙে দেয়। তারা আমার ঘরে ঢুকে পড়ে চেয়ার-টেবিল তছনছ করে দেয়। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। যা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। তারা কেউ নিজেদের বক্তব্য জানায়নি। তাদের শুধু একটাই দাবি, গেটে তালা লাগানো যাবে না। আমি তাদের জানাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি এই দপ্তরেই থাকে। তাই নিরাপত্তার জন্য গেট তালা বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু তারা কোনও কথা শুনতে রাজি হয়নি। উলটে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। দু'দিন আগে যারা উপাচার্যকে ঘেরাও করে, আজও তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিল। গোটা ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমাকে তারা শারীরিক নির্যাতন করেনি বটে, তবে মানসিক নির্যাতন অবশ্যই করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। মাত্র 20-25 জন পড়ুয়া বেশ কিছুদিন ধরে এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। আমি আজকের বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি। তবে এখনও এনিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।"


Conclusion:এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল জেলা পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় গোটা ঘটনার জন্য রেজিস্ট্রারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, "আমি আজকের বিষয়টি জানতাম না। ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর ছাত্রছাত্রী নিজেদের কাজে রেজিস্ট্রারের কাছে আসছে। কিন্তু রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে দেখা করেন না। আজ 3-4 জন ছাত্র কাজে এসে 12টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের ঘরের বাইরে অপেক্ষা করেছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া ও টিএমসিপি সদস্য যখন রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়, তখনও দেখা যায় গেটে তালা মারা। বারবার ডাকাডাকি ও চিৎকার করার পরেও রেজিস্ট্রার ঘর থেকে বেরোননি। উলটে ঘেরাও হওয়ার ভয়ে তিনি বলেন, তিনি কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেবেন না। এই অবিশ্বাসের জন্যই আজ এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি বড়ো কিছু নয়। কিন্তু একটা কথা ঠিক, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের কাজেই রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়েছিল। রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে দেখা না করে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে পড়ুয়াদের চমকান। এরপরেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। তবে তালা ভাঙার কোনও ঘটনা ঘটেনি। সেই সময় গেট বন্ধ থাকলেও তালা মারা ছিল না। পড়ুয়ারা জোর করে রেজিস্ট্রারের ঘরে ঢুকে নিজেদের বক্তব্য জানায়। দুটো কথা বলেই তারা রেজিস্ট্রারের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তাঁকে কেউ অশ্লীল কথা বলেনি। আজ রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে অনেক পড়ুয়া ছিল। তারা সকাল থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে দেখা না করায় আজ গ্রিল ভাঙার ঘটনা ঘটে। আমরা এসে পড়ুয়াদের শান্ত করি। রেজিস্ট্রারের সঙ্গেও কথা বলি। পড়ুয়াদের স্বার্থে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তবে এটা ঠিক, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা চলছে তা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক নয়। আমরাও চাই এর অবসান ঘটুক। সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোভাবে চালানো হোক। কিন্তু রেজিস্ট্রারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অফিসারই এই অবস্থার জন্য দায়ী।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.