মালদা, 21 এপ্রিল : এবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদার কালিয়াচকে (Allegation of Gang Rape in Kaliachak ) ৷ অভিযোগ, বুধবার রাতে কালিয়াচক-3 নম্বর ব্লকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া ৷ নির্যাতিতার মা ইতিমধ্যেই কুম্ভীরা পুলিশ ফাঁড়িতে চার যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স 13 বছর । স্থানীয় একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ৷ নাবালিকার বাবা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক, বর্তমানে কেরলে কর্মরত । বাড়িতে তিন মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন নির্যাতিতার মা । তিনি জানান, বুধবার রাতে তিনি নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন । সেই সময় মেয়ে ঘরে শুয়েছিল । তারই সুযোগ নিয়ে এলাকার চারজন বাড়ির পাঁচিল টপকে ঘরে ঢুকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে মেয়েটিকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় । এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি শিশুগাছের বাগানে গণধর্ষণ করা হয় তাঁর মেয়েকে ৷
আরও পড়ুন : হাসনাবাদে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত প্রৌঢ়ের 3 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ
ঘরে ফিরে মেয়েকে দেখতে না-পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মহিলা ৷ রাতের দিকে অসুস্থ অবস্থায় ঘরে ফেরে নাবালিকা ৷ ঘরে ঢুকেই সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় । জ্ঞান ফিরলে সে সব কথা বাড়িতে জানায় । রাতেই তাকে নিয়ে স্থানীয় কুম্ভীরা পুলিশ ফাঁড়িতে ছুটে যান তার মা ও প্রতিবেশীরা ৷ এই ঘটনায় আলমগীর শেখ, তোতা শেখ, সেলিম শেখ ও সুজন রবিদাস নামে চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায় । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 448/363/328/376ডি/511 ধারা এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সেলিম ও সুজনকে গ্রেফতার করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ । তবে, অতিরিক্ত জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অনীশ সরকার দাবি করেছেন, এটা গণধর্ষণের ঘটনা নয় । তবে ওই নাবালিকার সঙ্গে কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন । তদন্ত চলছে ৷