মালদা, 8 জানুয়ারি : বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মালদার কালিয়াচক থানার সুজাপুর ৷ পুলিশের একাধিক গাড়ি পোড়াল বিক্ষোভকারীরা ৷ পুলিশ লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে উত্তেজিত জনতা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ ৷ শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ ৷ ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী ৷ তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানান পুলিশ সুপার ৷
বাম-কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত সুজাপুর ৷ সকাল ছ'টায় সুজাপুর নয়মৌজা ইদগাহের সামনে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা ৷ ঘণ্টাখানেক পর থেকে বনধের সমর্থনে কোনও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ঘটনাস্থানে দেখা যায়নি ৷ উপস্থিতি ছিল শুধু সাধারণ মানুষের ৷
সকাল ছ'টা থেকে 11টা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা ৷ পুলিশ গিয়ে তাদের যান চলাচল স্বাভাবিক করার আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি ৷ 11টার পর থেকে ঘটনাস্থানে আসতে শুরু করেন IC বৈষ্ণবনগর, IC কালিয়াচক, DSP (DEB), CSP (সদর) ৷ উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার ৷ তাঁরাও ঘটনাস্থানে বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেন ৷ কিন্তু, তাতেও কোনও কাজ হয়নি ৷ উলটে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে ৷ বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে ৷
রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নয়মৌজা এলাকা ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে মুড়ি মুড়কির মতো ইট-পাটকেলের পাশাপাশি বোমা ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থানে থাকা পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি বাস, গাড়ি সহ বাইকেও ভাঙচুর চালায় । একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ।
ঘণ্টা দেড়েক পর ঘটনাস্থানে পৌঁছায় দমকলের দু'টি ইঞ্জিন, পুলিশের জলকামান ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন ৷ আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ৷ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷ ঘটনায় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ জখম হয়েছেন কয়েকজন ৷ ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে ৷