ETV Bharat / state

ব্যক্তিকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যা বাবার

মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সামাল দিতে পারছিলেন না বাবা ৷ দীর্ঘ চিকিৎসাতেও সুস্থ করতে পারেননি ৷ এই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি । তার জেরেই এই ঘটনাটি ঘটে ।

image
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jan 1, 2020, 5:23 PM IST

মালদা,1 জানুয়ারি : বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে সামলাতে পারছিলেন না বাবা । তাই তাঁকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন বাবা । গাজোল ব্লকের মাঝড়া গ্রামের ঘটনা ।

মৃত ব্যক্তির নাম সাধুচরণ বিশ্বাস (39)৷ বাবা আনন্দ বিশ্বাস (70) । আনন্দবাবু দীর্ঘদিন মাঝড়া গ্রামের বাসিন্দা ৷ পেশায় কৃষক ছিলেন ৷ এ ঘটনার প্রসঙ্গে তাঁর ভাইপো সুবোধচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “ছোটো থেকেই সাধুচরণ ছিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী ৷ তার কোনও বাহ্যিক জ্ঞান ছিল না ৷ মাঝেমধ্যে হিংস্র হয়ে উঠতেন ৷ অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছে ৷ কিন্তু সুস্থ করে তোলা যায়নি ৷ এ নিয়ে কাকা মানসিক অবসাদে ভুগতেন ৷ তিনি আমাদের অনেকবার বলেছিলেন, ''সামলাতে পারছি না ৷ একে খুন করে আমিও আত্মহত্যা করব৷'' আমরা অনেকবার বুঝিয়েছি ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাত সাড়ে 9টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি হয় ৷ বাড়িতে থাকা বেগুনের কীটনাশক সাধুচরণকে জোর করে খাইয়ে দেন ৷ এরপর নিজেও সেই বিষ পান করেন ৷ খানিক পর দু’জনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি দু’জনকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ কিন্তু সেখান থেকে মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় । অবশেষে আজ সকালে দু'জনেরই মৃত্যু হয় ৷”

এ বিষয়ে গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছেন, "মালদা মেডিকেলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা থানায় জানানো হয়েছে ৷ তবে এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ থানার পক্ষ থেকে একজন পুলিশকর্মীকে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ তিনি ফিরে আসলে এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ করা হবে ৷"

মালদা,1 জানুয়ারি : বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে সামলাতে পারছিলেন না বাবা । তাই তাঁকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন বাবা । গাজোল ব্লকের মাঝড়া গ্রামের ঘটনা ।

মৃত ব্যক্তির নাম সাধুচরণ বিশ্বাস (39)৷ বাবা আনন্দ বিশ্বাস (70) । আনন্দবাবু দীর্ঘদিন মাঝড়া গ্রামের বাসিন্দা ৷ পেশায় কৃষক ছিলেন ৷ এ ঘটনার প্রসঙ্গে তাঁর ভাইপো সুবোধচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “ছোটো থেকেই সাধুচরণ ছিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী ৷ তার কোনও বাহ্যিক জ্ঞান ছিল না ৷ মাঝেমধ্যে হিংস্র হয়ে উঠতেন ৷ অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছে ৷ কিন্তু সুস্থ করে তোলা যায়নি ৷ এ নিয়ে কাকা মানসিক অবসাদে ভুগতেন ৷ তিনি আমাদের অনেকবার বলেছিলেন, ''সামলাতে পারছি না ৷ একে খুন করে আমিও আত্মহত্যা করব৷'' আমরা অনেকবার বুঝিয়েছি ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাত সাড়ে 9টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি হয় ৷ বাড়িতে থাকা বেগুনের কীটনাশক সাধুচরণকে জোর করে খাইয়ে দেন ৷ এরপর নিজেও সেই বিষ পান করেন ৷ খানিক পর দু’জনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি দু’জনকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ কিন্তু সেখান থেকে মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় । অবশেষে আজ সকালে দু'জনেরই মৃত্যু হয় ৷”

এ বিষয়ে গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছেন, "মালদা মেডিকেলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা থানায় জানানো হয়েছে ৷ তবে এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ থানার পক্ষ থেকে একজন পুলিশকর্মীকে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ তিনি ফিরে আসলে এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ করা হবে ৷"

Intro:মালদা, ০১ জানুয়ারি : মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে সামাল দিতে পারছিলেন না বাবা৷ দীর্ঘ চিকিৎসাতেও সুস্থ করতে পারেননি ছেলেকে৷ শেষ পর্যন্ত বছরের শেষ দিন জোর করে ছেলেকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ পান করেন বাবা৷ বছরের প্রথম দিন মৃত্যু হয়েছে দু’জনেরই৷ মর্মস্পর্শী ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল ব্লকের মাঝড়া গ্রামে৷ আজ মালদা মেডিকেলে বাবা ও ছেলের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷Body:মৃত ছেলের নাম সাধুচরণ বিশ্বাস৷ বয়স ৩৯ বছর৷ বাবা আনন্দ বিশ্বাসের বয়স ৭০৷ আনন্দবাবু দীর্ঘদিন মাঝড়া গ্রামের বাসিন্দা৷ পেশায় কৃষক ছিলেন তিনি৷ তাঁর ভাইপো সুবোধচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “ছোটো থেকেই সাধুচরণ ছিল মানসিক প্রতিবন্ধী৷ তার কোনও বাহ্যিক জ্ঞান ছিল না৷ মাঝেমধ্যে সে হিংস্রও হয়ে উঠত৷ কাকা তার অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন৷ কিন্তু ছেলেকে সুস্থ করতে পারেননি৷ এনিয়ে কাকা মানসিক অবসাদে ভুগতেন৷ তিনি আমাদের অনেকবার বলেছিলেন, এই ছেলেকে আর সামাল দিতে পারছি না৷ একে খুন করে আমিও আত্মহত্যা করব৷ আমরা কাকাকে এনিয়ে অনেক বুঝিয়েছি৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়৷ সেই সময় বাড়ির বারান্দায় কাকিমা রান্না করছিলেন৷ সেই বারান্দারই অন্যদিকে কাকা প্রথমে বাড়িতে থাকা বেগুনের কীটনাশক সাধুচরণকে জোর করে খাইয়ে দেন৷ এরপর নিজেও সেই বিষ পান করেন৷ খানিক পর দু’জনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ খবর পেয়ে আমরা দু’জনকে তড়িঘড়ি গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই৷ সেখানে দু’জনকেই নুন-জল খাওয়ানো হয়৷ কিন্তু গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় কাকা ও ভাইকে সেখান থেকে মালদা মেডিকেলে রেফার করে দেওয়া হয়৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের মেডিকেলে নিয়ে আসি৷ কিন্তু এখানে কাকার পেটে নল ঢোকানো যায়নি৷ তবে সাধুচরণের পেটে নল ঢোকানো হয়েছিল৷ কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে রাত একটা নাগাদ কাকা মারা যান৷ এর মিনিট দশেক পর সাধুচরণেরও মৃত্যু হয়৷”Conclusion:         গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মালদা মেডিকেলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা থানায় জানানো হয়েছে৷ তবে এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি৷ থানার পক্ষ থেকে একজন পুলিশকর্মীকে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ তিনি ফিরে আসলে এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.