মালদা, 19 মে : লকডাউনের মধ্যেই মাত্র 20 দিন আগে সামাজিক নিয়ম মেনে নিকাহ হয়েছিল । এরই মধ্যে বিবিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে । তবে, পালানোর সুযোগ পায়নি যুবক । নেশাগ্রস্থ ওই যুবককে মারধর করে গ্রামবাসীরা । বর্তমানে সে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । গতরাতে ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক থানার চামা এলাকার নাজিরপুর গ্রামে । পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
মৃতের নাম রশিদা খাতুন (19) । আব্বার বাড়ি কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকার বালিয়াপুরে । আব্বা মেহেরু শেখ পেশায় শ্রমিক । মাত্র 20 দিন আগেই রশিদার নিকাহ হয় নাজিরপুর গ্রামের রাজেশ শেখের সঙ্গে । রাজেশ রাজমিস্ত্রির কাজ করে । অভিযোগ, আগে তারা জানত না রাজেশ ড্রাগের নেশায় আসক্ত । 20 দিনের মধ্যেই বেশ কয়েকবার নেশা করে রশিদাকে মারধর করে । প্রতিবেশীরা বিষয়টি মেহেরু শেখকে জানায় । রাজেশের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা । কিন্তু, তার আগেই গতরাতে ড্রাগের নেশায় রাজেশ রশিদাকে ফের মারধর করতে শুরু করে । শেষে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ ।
স্থানীয়রা জানায়, রশিদাকে মেরে টোটোতে চেপে সে গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করে । কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ তাকে ধরে ফেলে । তারপরই তাকে মারধর করতে থাকে । খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে রাজেশকে উদ্ধার করে । তাকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় । উদ্ধার করা হয় রশিদার দেহ । দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
আজ মর্গে উপস্থিত রশিদার কাকা আখির হোসেন বলেন, "মাত্র 20 দিন আগে নিকাহ হয়েছিল ৷ গতকাল রাতে ছেলেটা ভাতিজিকে খুন করে লাশ ঘরে ফেলে পালাচ্ছিল ৷ গ্রামের লোকজন তাকে ধরে ফেলে ৷ মারধর করে ৷ ছেলেটা ব্রাউন সুগারের নেশা করে ৷ আগে আমরা জানতে পারিনি ৷ ড্রাগের নেশাতেই সে আমার ভাতিজিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালাচ্ছিল ৷ খবর পেয়ে আমরা ওদের বাড়িতে যাই ৷ রশিদাকে নিয়ে যাই হাসপাতালে ৷ কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে ৷ তার গলায় দাগ স্পষ্ট ৷ ভাতিজি যদি অন্য কোনও কারণে মারা যায়, তবে ও পালাবে কেন? এতেই গ্রামের লোকজন ওকে মারধর করেছে ৷ রাজেশ এখন হাসপাতালে ভরতি ৷" কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃতের আব্বার বাড়ির তরফে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ অভিযুক্ত এই মুহূর্তে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ৷ ওই যুবতির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷